সমুদ্র উপকূলের অজো-পাড়াগাঁও এলজিইডি’র উন্নয়ন ছোঁয়ায় এখন যেন এক একটি শহর
১৬ জুলাই ২০২৩, ১১:১০ পিএম | আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের শত’ কোটি টাকা উন্নয়ন ব্যয়ে সমুদ্র উপকূলের এক একটি অজোপাড়া গাঁও এখন যেন এক একটি শহর। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুত ’গ্রাম হবে শহর’ এটি এখন দৃশ্যমান উপকূলীয় জনপদে। একসময় উপজেলা সদরে খেয়া পার হয়ে আসতে যেখানে সময় লাগতো ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা সেখানে এখন ব্রিজ, কালভার্ট ও পাকা সড়কের বদৌলতে সময় লাগছে মাত্র ২০-৩০ মিনিট। ফলে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, মৎস্য চাষে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল হয়েছে। কৃষক, জেলে, ক্ষুদ্র খামারি, মৎস্য চাষি তাদের কষ্টার্জিত উৎপাদন স্বল্প সময়ের মধ্যে বাজারজাত করে ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে। এক কথায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে উপকূলের গ্রামীণ এলাকায় এলজিইডি টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার আলীপুর-চাপলি বাজার ১২ কি.মি. কার্পেটিং সড়ক সম্পন্ন হয়েছে ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকা ব্যয়ে, বাবলাতলা বাজার-চাপলি বাজার ৭ কি.মি. কার্পেটিং সড়ক ৫.৫ কোটি টাকা, মহিপুর ২.১ কি.মি. কার্পেটিং সড়ক ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা, লোন্দা-ধানখালী ২.১ কি.মি. সড়ক ১ কোটি ৭৯ লাখ টাকা, লালুয়া-নীলগঞ্জ ২.৮ কি.মি. সড়ক ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, মহিপুর মৎস্যবন্দর-বিপিনপুর-কোমরপুর ২ কি.মি. সড়ক ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা, ধানখালী-হাফেজপুর ৭৫০ মিটার সড়ক ৭২ লাখ টাকা, উত্তর চাকামইয়া ১ কি.মি. সড়ক ৯৩ লাখ টাকা, বড়বালিয়াতলি-ডালবুগঞ্জ ১ কি.মি. সড়ক ৯৮ লাখ টাকা, নীলগঞ্জ-পক্ষিয়াপাড়া ১ কি.মি. সড়ক ৮৭ লাখ টাকা এবং নীলগঞ্জ-টঙ্গিবাড়িয়া ১ কি.মি. সড়ক ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে সমাপ্ত হয়েছে।
এছাড়া সংসদ সদস্যের অনুকূলে বরাদ্দকৃত ২.২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ধূলাসার-পক্ষিয়াপাড়াহাট-বৌলতলি গ্রাম পর্যন্ত ৩ কি.মি সড়ক নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে, ১.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সুলতানগঞ্জ মাদরাাসা-নীলগঞ্জ আবাসন খেয়াঘাট ২ কি.মি. সড়ক, ৭৮ লাখ টাকা ব্যয়ে হাজীপুর রোডস্ এন্ড হাইওয়ে-হাজীপুর হাইস্কুল ১ কি.মি. সড়ক, ৬৬ লাখ টাকা ব্যয়ে ইটবাড়িয়া ওয়াপদা সড়ক-ইটবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টার ১.২৫ কি.মি. সড়ক, ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আদমপুর ব্রিজ-নীলগঞ্জ ফতেহপুর ৬০০ মিটার সড়ক, ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে নীলগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ-ফতেহপুর খেয়াঘাট ৬০০ মিটার সড়কের কাজ শেষ হয়েছে এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে।
এছাড়া প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ সড়ক উন্নয়নে ১২ কি.মি. নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ ও ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ১.৫ কি.মি. সড়ক সংস্কার কাজের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া লালুয়া-নীলগঞ্জ ৬ কি.মি. ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক সংস্কারে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বরাদ্দ পেলেই দরপত্র প্রক্রিয়া শেষ করে কাজ শুরু করবে এলজিইডি।
সূত্রটি আরো জানায়, ১১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা সদরের সাথে ৭টি ইউনিয়ন সংযুক্ত করে কলাপাড়া-বালিয়াতলী-গঙ্গামতি সড়কের আন্ধারমানিক নদীর উপর ৬৭৭ মিটার শহীদ নজরুল ইসলাম সেতু, ৩.৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নীলগঞ্জ ও মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের সড়ক যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে পাখীমারা সড়কের ৭৩৫০ মিটার চেইনেজে মধুখালী খালের উপর ৫৪ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ। শেষের পর্যায়ে রয়েছে ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের মধুখালী খালের উপর ৪৫ মিটার দৈর্ঘ্য ব্রিজ।
এছাড়া ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদের সম্প্রসারিত প্রশাসনিক বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি। প্রাথমিক স্তরের শিশুদের স্মার্ট স্কুল ক্যাম্পাস ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি বাউন্ডারী ওয়ালসহ নতুন বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ কাজের বাস্তবায়ন শেষ হয়েছে। ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০টির কাজ চলমান রয়েছে এবং ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৫টি নতুন ভবন নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন। সংসদ সদস্যের অনুকূলে বরাদ্দকৃত অর্থে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮২টি মসজিদ ও মন্দির সংস্কার কাজ এলজিইডি’র তত্ত্বাবধানে শেষ হয়েছে। ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৫টির সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে, ৬০ লাখ টাকার কাজের দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ২০টির এবং ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রাক্কলন অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে ৪৭টি।
এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ন বলেন, ‘এলজিইডি গত ক’বছরে এ উপজেলায় শত’ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন করেছে। এরপরও গ্রেটার পটুয়াখালী প্রজেক্ট থেকে ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ছাড় পেলে কলাপাড়া উপজেলার অবশিষ্ট বাকী কাঁচা সড়ক পাকাকরণ এবং বিভিন্ন খালের উপর যেসকল কালভার্ট, ব্রিজের প্রস্তাব ডিপিপির অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে সেগুলো অতিদ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারবো।’
কলাপাড়া ইউএনও মো: জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোটা দক্ষিণাঞ্চলসহ সমুদ্র উপকূলীয় কলাপাড়ায় লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করেছেন। পায়রা সমুদ্র বন্দর, পায়রা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, শের-ই-বাংলা নৌ-ঘাঁটি, সাবমেরিন ল্যান্ডিং স্টেশনসহ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে। আরো একাধিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বেশকিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের অপেক্ষায় রয়েছে। এ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে এ এলাকার মানুষের জীবন ধারা পাল্টে যাবে। সমৃদ্ধ হবে দেশের অর্থনীতি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
গাজীপুরে হাজিরা বোনাস বৃদ্ধির দাবিতে সড়ক অবরোধ
আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসায় আসছে চীনের মেডিক্যাল টিম
মীলাদুন্নবী মাহফিল থেকে আমরা ঈমানকে পুনর্জ্জীবিত করতে পারি -সায়্যিদ মাআন আল হাসানী আল মক্কী
কলাপাড়ায় নবজাতককে রেখে পালিয়ে গেলেন মা
প্রথম সেশনেই বাংলাদেশের গলায় পরাজয়ের মাল্য
সিলেটে একদিনে ৫ থানার ওসি বদলি
সংখ্যালঘু কমিউনিটি থেকে ভিসি-প্রোভিসি নিয়োগের দাবি
তেজগাঁও থানার হত্যা মামলা ইনু-মেনন-পলক-দীপু মনি, মামুন-রুপা-শাকিল গ্রেপ্তার
নিজ বাড়িতে কোয়াড নেতাদের আমন্ত্রণ জানালেন বাইডেন
ফিরলেন লিটনও, সঙ্গী পাচ্ছেন না শান্ত
থিতু হয়ে ফিরলেন সাকিব
হঠাৎ কেন ভারত সফরে যাচ্ছেন চীন ঘনিষ্ঠ মুইজ্জু
সাবেক রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরীর পদত্যাগ
হেলিকপ্টারের তেল শেষ! ভোটপ্রচারে যেয়ে বিপাকে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী
নির্বাচনের পর শ্রীলঙ্কায় কারফিউ জারি
রামাল্লায় ভারী অস্ত্র নিয়ে আল জাজিরা অফিসে ইসরাইলি সেনাদের হানা
শান্ত-সাকিবের সাবধানী শুরু
ট্রাম্পের সঙ্গে আবারো মুখোমুখি হতে চ্যালেঞ্জ কমলার
পরিচারককে অপমান! মেয়েকে ‘শিক্ষা’ দিতে গিয়ে বিপাকে রণবীরের বোন