অস্ত্রসহ তিন ছিনতাইকারী গ্রেফতার
১৮ জুলাই ২০২৩, ১১:১৮ পিএম | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০২৩, ১২:০০ এএম
আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী আদনান সাঈদ রাকিব হত্যাকান্ডের ঘটনায় মূল হত্যাকারীসহ তিন ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার ডিবি। গত সোমবার তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা হলেন-মো. ইকবাল (১৬), মো. সুমন ভুঁইয়া ওরফে বড় সুমন (২৫) ও মো. সুমন ওরফে কালু সুমন ওরফে ছোট সুমন (১৪)। অভিযানে তাদের থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত ব্যাটারি চালিত একটি রিকশা ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত একটি সুইচ গিয়ার চাকু উদ্ধার করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, ধানমন্ডি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আদনান সাঈদ রাকিব (১৭) হত্যাকা-ের ১২ ঘণ্টার মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন, মূল আসামিসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছি। হত্যাকা-ে ব্যবহৃত চাকুও উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধার করেছি।
ঘটনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভুক্তভোগী আদনান সাঈদ রাকিব কলাবাগানের গ্রীনরোড স্টাফ কোয়াটারে ৪/বি/২ বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। রোববার রাতে বাসা থেকে তার বন্ধু রাইয়ানসহ ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবরে চা পানের কথা বলে বাসা থেকে রাত অনুমান সাড়ে ১০টার দিকে বের হয়ে যায়। ভুক্তভোগী ও তার বন্ধু রাইয়ানসহ রবীন্দ্র সরোবর হতে চা পান করে বাসায় ফেরার পথে মিরপুর রোড সংলগ্ন শেখ জামাল মাঠের পূর্বপাশে নার্সারির সামনে ফুটপাতের ওপরে হেঁটে আসছিলেন।
তিনি বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনার পর রাকিব চিৎকার করলে আশপাশের কোনো লোকজন এগিয়ে না আসায় ভুক্তভোগী রাস্তা পার হয়ে পূর্ব পার্শ্বে গ্রীনরোড স্টাফ কোয়ার্টারের ১ নম্বর গেট দিয়ে ৫০ গজ সামনে এসে রাজুর বাড়ির সামনে রাস্তার ওপর পড়ে যায়। ভুক্তভোগী যে কোয়ার্টারে থাকতেন সেখানকার একজন আবু বক্কর সিদ্দিক রাকিবের বাবাকে মোবাইলে অবগত করে এবং ভুক্তভোগীর বড় ভাই আরমান সজিব হৃদয়কে ডাকেন। এই খবর পেয়ে ভিকটিমের বড় ভাই দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে রাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পায়। এরপর তাকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে নিয়ে যায়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ঈদের পর ছিনতাইয়ের ঘটনা কিছুটা বেড়েছিল। এরপর ডিবি ও থানা পুলিশ ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে। অভিযান আমরাই (ডিবি) প্রায় ১০০ জনের মতো ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করেছি। কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট ও রমনা এলাকার সব থেকে বড় যে ছিনতাইকারী সরদার কামরুলসহ অনেককে আমরা গ্রেফতার করেছি। মাঝে মধ্যে বিচ্ছিন্ন যে দুয়েকটা ঘটনা ঘটে সেগুলোর যদি আমরা খবর পাই, তাহলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেই। এই ধরনের ঘটনা ঘটলে যেন থানা পুলিশকে জিডি বা অন্য কোনোভাবে জানানো হয়। থানা পুলিশ যদি রেসপন্স না করে তাহলে ডিবিকে জানালে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
দেখা যায় যেসব এলাকায় স্ট্রিট লাইট কম থাকে সেসব এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। যেহেতু স্ট্রিট লাইট লাগানোর কাজ সিটি করপোরেশনের সেক্ষেত্রে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ডিবির কোনো কথা হয়েছে কিনা? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আমার মনে হয় এ প্রশ্নটি আপনারা (সাংবাদিক) মেয়র মহোদয়দের করলে ভালো হয়। তবে অন্ধকার জায়গা গুলোতে আলোর ব্যবস্থা থাকলে এই ধরনের ঘটনা কমতে পারে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
শেষ মিনিটের গোলে পয়েন্ট হারাল মায়ামি
ভিনিসিউস-এমবাপ্পে ঝলকে রিয়ালের বড় জয়
ফের বিবর্ণ ইউনাইটেড হারাল পয়েন্ট
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
এবার বুন্দেসলীগায়ও বায়ার্নের গোল উৎসব
দিয়াজের জোড়া গোলে চূড়ায় অলরেডসরা
দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও অজিদের অনায়স জয়
প্লটবঞ্চিত পূর্বাচলের আদিবাসিন্দাদের ৩শ’ ফুট সড়কে অবস্থান : বিক্ষোভ অব্যাহত
দেশে সংস্কার ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ছাত্রলীগের হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের মামলা করতে বললেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
উম্মাহর কল্যাণে মুসলমানদের ঐক্যের বিকল্প নেই
বৈরুতে ইসরাইলি হামলায় হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডারসহ নিহত ১৪
পুলিশের লুট হওয়া অস্ত্র অপরাধে ব্যবহারের আশঙ্কা
মস্কোয় হামলার উপযুক্ত ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভে পাঠাবে না জার্মানি
জিয়ার ভূমিকাকে অবহেলা করায় পাহাড়ে সমস্যা হচ্ছে : জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী
মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করতে ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই: তারেক রহমান
বিচার বিভাগে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা প্রধান বিচারপতির
একদিনে ৮৪৩ জনের ডেঙ্গু শনাক্ত, মৃত্যু ১
কুষ্টিয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সুগার মিলের নিরাপত্তা প্রহরীর মৃত্যু
সাজেক ভ্রমণে আটকা পড়েছেন ৮০০ পর্যটক