চট্টগ্রামের অনেক নেতাকর্মী পল্টনের মহাসমাবেশে
২৭ জুলাই ২০২৩, ১০:৪০ পিএম | আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩, ১২:০১ এএম
সবার নজর এখন রাজধানী ঢাকার দিকে। এক দফা দাবিতে বিএনপির মহাসমাবেশ আজ। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে ওই মহাসমাবেশের আবহ আন্দোলন সংগ্রাম ঐতিহ্যের নগরী চট্টগ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে। বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের অনেকেই মহাসমাবেশে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ঢাকায় পৌঁছে গেছেন। আজ সমাবেশ শুরুর আগেই অনেকে পৌঁছবেন সেখানে। চট্টগ্রামের নেতারা মিছিলে মিছিলে মহাসমাবেশে যোগ দেয়ার প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে।
মহাসমাবেশকে ঘিরে সরকারের ব্যাপক দমন-পীড়ন আর ধরপাকড়েও থামেনি নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস। যারা সমাবেশে যেতে পারেননি তারাও যেন কেন্দ্রের ওই কর্মসূচির সাথে একাত্ম হয়ে আছেন। নানা যোগাযোগ মাধ্যমে সার্বক্ষণিক নিচ্ছেন খোঁজখবর। মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী আন্দোলনের কী ঘোষণা আসে তা নিয়েও কৌতুহল এবং আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মাঝে। সাধারণ মানুষও উৎসুক হয়ে উঠেছেন বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে। সরকারি দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকেরাও নজর রাখছেন রাজধানী ঢাকার দিকে।
মাঠের প্রধান বিরোধী দলের চলমান এক দফা আন্দোলনের এ কর্মসূচিতেও যথারীতি পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগের কয়েকটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের এ দুইটি বড় কর্মসূচিকে ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে নানা নাটকীয়তা চলছে রাজধানীতে। বিশেষ করে বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ধরপাকড়, দমন-পীড়নের ঘটনা আলোচিত হচ্ছে সর্বত্রই। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে ঘিরে শেষ পর্যন্ত কি হয় তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠাও রয়েছে অনেকের মাঝে। তবে বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, সরকারি দলের কোন উস্কানিতেই তারা পা দেবেন না। শান্তিপূর্ণভাবে মহাসমাবেশ শেষ হবে। তাদের প্রত্যাশা নয়াপল্টনেও এ মহাসমাবেশ হবে চলমান সরকার পতন আন্দোলনের টার্নিং পয়েন্ট। সেখান থেকে ঘোষিত পরবর্তী কর্মসূচি দেশে গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হবে বলেও প্রত্যাশা তাদের।
বিগত দেড় দশকের বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে জাতীয়বাদী দল বিএনপি। মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকারের দাবিতে রাজপথে সরব রয়েছে দলটি। ব্যাপক ধরপাকড়, মামলা, হুলিয়া, গুম, খুনসহ সব ধরনের জুলুম, নির্যাতন মোকাবেলা করে মাটি কামড়ে পড়ে রয়েছেন দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। বিশেষ করে গত এক বছর ধরে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ বেড়েই চলেছে। সরকারের নানা উস্কানি, পাল্টা কর্মসূচি, পদে পদে নানা প্রতিবন্ধকতাকে ঠেলে নজিরবিহীন শান্তিপূর্ণ এবং স্বতঃস্ফূর্ত সব কর্মসূচি সফল করছেন এ অঞ্চলের নেতারা। বিএনপি রাজপথে নামলেই নাশকতা হবে বলে সরকারের মন্ত্রী, নেতাদের ব্যাপক প্রচারকে মিথ্যা প্রমাণ করে দিয়ে প্রতিটি কর্মসূচিকেই শান্তি ও শৃঙ্খলার নজির স্থাপন করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হওয়ায় তাতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণও বেড়েই চলেছে। সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হয়ে একটি দুর্বার গণআন্দোলন সৃষ্টি করতে পেরেছে বিএনপি। চট্টগ্রাম বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। আন্দোলন সংগ্রামের ঐতিহ্যের এ মহানগরী অতীতের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বিএনপির চলমান এক দফার আন্দোলনেও অগ্রগামী চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা। ঢাকায় মহাসমাবেশ ঘোষণার পর থেকে ঢাকামুখী হন চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা। দলবেঁধে এবং নিজ উদ্যোগে নেতারা ছুটে যান রাজধানীতে। অতীতের অভিজ্ঞতায় গ্রেফতার আর হয়রানি এড়াতে নানা কৌশল অবলম্বন করেন তারা। আবাসিক হোটেল, মোটেলে অবস্থান করার বদলে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব এমনকি দলের নেতাকর্মীদের বাসাবাড়িতে উঠেন অনেকে। চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর, দক্ষিণ এবং তিন পার্বত্য জেলার বিএনপি নেতাকর্মীদের অনেকে এখন ঢাকায়। তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও রাজধানীর কর্মসূচিতে যোগ দিতে ছুটে গেছেন। দলের নেতারা বলছেন, এক দফার আন্দোলনকে ঘিরে সারাদেশে বিএনপিসহ যুগপৎ আন্দোলনে থাকা রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও এ আন্দোলনে একাত্ম হয়েছেন। মহাসমাবেশ থেকে পরবর্তী যে কর্মসূচি দেয়া হবে তা সফল করতে মাঠে নেমে পড়বেন দলের নেতাকর্মীরা।
এদিকে চট্টগ্রামে আজ বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিল করার অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করেছে জামায়াতে ইসলামী। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত অনুমতি না পেলেও দলটি কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এছাড়া ইসলামী আন্দোলনসহ আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দল নগরীতে মিছিল সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিয়েছে। অন্যদিকে সরকারি দল আওয়ামী লীগের কোন রাজনৈতিক কর্মসূচি না থাকলেও দলের নেতাকর্মীদের একটি অংশ মহানগরীর প্রাণকেন্দ্র চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। আজ নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে বিভিন্ন এলাকায় পথসভা, মিছিল ও গণসংযোগ করবেন দলের নেতারা।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
সিলেটের টানা জয়ে উচ্ছ্বসিত স্বাগতিক দর্শকরা
সংবিধানে জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি লিপিবদ্ধ থাকতে হবে - সারজিস আলম
মুরাদনগরে শীতার্ত মানুষের মাঝে পীরসাহেব চরমোনাই'র পক্ষ থেকে কম্বল বিতরণ
লিটনকে সেরা ছন্দে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাতে চাই: প্রধান নির্বাচক
মাস্তুল ফাউন্ডেশন বিতরণ করলো ১ লক্ষ কেজি চাল
লক্ষ্মীপুরে রঙ-কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে শিশুখাদ্য, ২ ফ্যাক্টরি সিলগালা
সীমান্তে বিএসএফের কর্মকাণ্ড নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ প্রকাশ
উৎসব মুখর পরিবেশে পালিত হলো জাবির ৫৪ তম দিবস
২ হাজার কেজি পলিথিন জব্দ, কারখানা সিলগালা
কুষ্টিয়ায় স্কুল কমিটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষ, আহত ৩০
জুলাই বিপ্লবে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ির চাকার পিষ্ট হয়ে নিহত মাহবুব আলমের পরিবারের পাশে তারেক রহমান
ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ষড়যন্ত্রকারী বিএনপির ক্ষতি করতে পারবে না : আমিনুল হক
যায়যায়দিন পত্রিকায় নির্বাহী সম্পাদক হলেন খুরশীদ আলম
বিধ্বংসী শতকে লিটনের জবাব, ঝড়ো সেঞ্চুরি তানজিদেরও, বিপিএলে রেকর্ড
ফরিদপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় তিন দিনে মোট ১১ জন নিহত, আহত ৩৫
চলমান সংস্কার গতিশীল করতে হবে, যাতে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে : মান্না
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ৬ হাজার প্রতিষ্ঠান: বিপিজিএমইএ
পাটগ্রাম সীমান্তে বাংলাদেশিকে লক্ষ্য করে বিএসএফের গুলি, আহত ১
ওসি মুহিবুল্লাহকে বাঁচাতে স্বজনদের মানববন্ধন
ব্র্যাক ব্যাংকের টপ টেন রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড জয় ২০২৪ সালে ১.৬ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স সংগ্রহ