জলঢাকায় আখ চাষে কৃষকের মুখে হাসি
০১ আগস্ট ২০২৩, ১০:২৬ পিএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
এ যেন এক আখের রাজ্য। সবুজ পাতার নিচে সারি সারি দাঁড়িয়ে আছে সোনালী ও সাদা রং এর আখ। অল্প পুঁজি ও বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় একদিকে যেমন কৃষক খুশি। তেমনি মিষ্টি আখের মিষ্টি হাসি ফুটেছে আখ চাষিদের মুখে। এতে করে এবার সাফল্যের মুখ দেখছে জেলার জলঢাকা উপজেলার আখ চাষিরা। আখের বাম্পার ফলন হওয়ায় অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন তারা। এতে করে দিন দিন উপজেলায় আখ চাষ বেড়েই চলছে। এমনি চিত্র ফুটে উঠেছে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড বিন্যাকুড়ী গ্রামে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কৃষকরা ব্যস্ত সময় পার করছে আখ কাটতে। সারি সারি ভ্যান দাড়িয়ে আছে এ আখ নিয়ে যাওয়ার জন্য। এখান থেকে আখ স্থানীয় বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাইকাররা এসে নিয়ে যায়। এছাড়া পার্শ্ববর্তী উপজেলার অনেক পাইকাররা আসেন এখানে আখ কিনতে। এবিষয়ে কথা হয় আখ কিনতে আসা পার্শ্ববর্তী ডিমলা উপজেলার ৬ নম্বর নাওতারা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড এর বাসিন্দা মো. আমির হোসেন এর সাথে। তিনি বলেন আমি ৫ থেকে ৬ বছর আখ ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রতি বছর এখান থেকে আখ ক্রয় করে থাকি। আজও প্রায় ১৫০ পিচ আখ ক্রয় করেছি। এখানকার আখ খুব মিষ্টি ও সুস্বাদু এখানকার আখ বিক্রি করতে আমাদের কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় না।
কৈমারী ইউনিয়নের ভিন্না কুড়ি ২ নম্বর ওয়ার্ড এর আখ চাষি মো. খাদেমুল বাসার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সার্বিক সহযোগিতায় প্রথম আমি অল্প পরিসরে আখের চারা রোপণ করি। এ বছর তাদের পরামর্শ অনুযায়ী আমি ৭ বিঘা জমিতে ঈশ্বরদী ও ফিলিপাইন জাতের আখের চারা রোপণ করি। আখের চারা রোপণের কয়েক মাস পর তা বিক্রির উপযোগী হয়। এছাড়া আখ চাষের মধ্যেই সাথী ফসল হিসেবে আলু-৭ ও স্কোয়াস চাষ করেছিলাম। বর্তমানে এ দুই ফসলে আমার খরচের সব টাকা উঠে এসেছে। বর্তমানে আখ আমার বোনাস ফসল। আখের বাম্পার ফলন হয়েছ। ৭ বিঘা জমিতে প্রায় ১০ লাখ টাকার আখ বিক্রি করার স্বপ্ন দেখছি।
এছাড়া এ গ্রামে বর্তমানে ১০০ পরিবার এ আখ চাষের সাথে জড়িত আছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, বেলে ও দোআঁশ মাটি আখ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ৭ থেকে ৮ মাসের মধ্যে আখের ফলন পাওয়া যায়। এছাড়া মাঠ পর্যায়ে আমারা কৃষকদের সব সময় পাশে থেকে পরামর্শ দিয়ে থাকি। যারা উপজেলায় আখ চাষ করেছে তাদের সাথী ফসল হিসেবে আখ চাষের মধ্যে অন্যান্য ফসল রোপণ করার পরমর্শ দিয়েছি। এতে আখ চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। আখ উঁচু ও নিচু জমিতেও চাষ করা যায়। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের কারণে আশানুরূপ ফলন ও বাজারে বেশ চাহিদা থাকায় দিন দিন আখ চাষের প্রতি কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে। আখের সঙ্গে সাথী ফসল হিসেবে, সরিষা, বাদাম, মিষ্টি কুমড়া, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, স্কোয়াশ ইত্যাদি চাষ করা যায়।
এবিষয়ে জলঢাকা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ জানান, উপজেলায় এবছর আখের আবাদ হয়েছে ১৬ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। বিভিন্ন রোগবালাই থেকে চাষিরা যেন তাদের ফসল বাঁচাতে পারে সে জন্য যথাসময়ে কৃষি অফিসের মাধ্যমে সঠিক পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত