শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধের সঙ্গে নৈকট্য ব্যতীত বাঙালি হওয়া যায় না
০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১১:০০ পিএম | আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
বাঙালির ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মিনার এবং জাতীয় স্মৃতিসৌধের সঙ্গে নৈকট্য ছাড়া দেশপ্রেমিক বাঙালি হওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের শেকড় বুঝতে হলে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধকে বুঝতে হবে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে লালন করতে হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল বিজয়ী হয়েছেন সেটি আনন্দের হতে পারে। কিন্তু রোহিঙ্গা সংকটে তার নীরবতা, স্মৃতিসৌধে ও শহিদ মিনারের সঙ্গে তার গভীর নৈকট্য না হওয়া, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর পক্ষে তার দৃঢ় অবস্থান না নেয়া আমাদের ব্যথিত করে। বরং তার নেতৃত্বে প্রান্তিক মানুষের যে শ্রম শোষণ হয়েছে সেটি কোনো বিবেচনায় অর্থনীতির অগ্রসরতার বিষয় নয়।
গতকাল শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদ আয়োজিত ৭ম জাতীয় কাউন্সিলের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রোহিঙ্গা সংকটে ও আশ্রয়ে পশ্চিমা বিবৃতিদাতাদের ভূমিকা প্রত্যাশিত ছিল উল্লেখ করে ড. মশিউর রহমান বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ দাতাগোষ্ঠীদের যদি একটি প্রশ্ন করি- আজ আপনারা একজনের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু যেদিন লাখো শরণার্থী মিয়ানমারে বিপন্ন হয়েছিল, সেদিন বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া দুই কন্যা- এক বোন আরেক বোনকে বলেছিলেন ১৬ কোটি মানুষকে যদি খাওয়াতে পারি তাহলে আর কিছু মানুষকে কি খাওয়ানো যাবে না? অবশ্যই যাবে। তারা দায়িত্ব নিলেন মানবতার। কিন্তু কোথায় ছিল সেদিন আপনাদের বিবৃতি, অনুভূতি? লাখো শরণার্থীর পাশে কেন দাঁড়ালেন না?
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি বলেন,‘আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাত ধরে উন্নয়ন হচ্ছে। ভেবে দেখুন, উন্নয়নের এই পর্যায়ে আমাদের স্বপ্ন এবং সম্ভাবনাকে নিয়ে ডিজিটাল এবং স্মার্ট বাংলাদেশের পথ ধরে যখন হাঁটব, ঠিক সেই সময়ে ১৬০ জন বিবৃতিদাতার উদ্ভব হল। একটু মিলিয়ে দেখুন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্রব ছিল। কেননা বঙ্গবন্ধু সেদিন যে দ্বিতীয় বিপ্লব প্রতর্বন করেছেন সেটি ছিল পুঁজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে। বঙ্গবন্ধুর সমাজতান্ত্রিক দর্শন। সেদিন বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন বিশে^র অন্য কোনো দেশ থেকে ইজম ধার করে নয়, আমি আমার আদলে সমাজতান্ত্রিক সমাজ গড়ব।’
ড. মশিউর রহমান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সমবায়ী পদ্ধতির মধ্যদিয়ে কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের মুক্তির দিশারী হয়ে নতুন সমাজ গড়তে চাইলেন। তিনি বললেন, প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থা আমি ভেঙে ফেলব, নতুন সমাজ গড়ব। সেই নতুন সমাজ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পছন্দ হয়নি। কেননা তাঁর পথ ধরে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, বিশে^ এক নতুন অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক জাগরণ সৃষ্টি হত।
তিনি বলেন, ঠিক একইচিত্র আজকে ১৬০জন বিবৃতিদাতাদের মধ্যে দেখি। আপনারা কার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন? ড. ইউনূস? যার অর্থনৈতিক মুনাফা ও সুদের বাণিজ্য যেটি পুঁজিবাদের পক্ষে যায়। সে কারণেই আপনারা তার পক্ষে। আর আপনারা কার বিপক্ষে? শেখ হাসিনার? যিনি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করেছেন। শেখ হাসিনার সামাজিক নিরাপত্তার মডেল আর ড. ইউনূসের মুনাফার মডেল এক নয়। সামাজিক নিরাপত্তার মডেলে প্রতিটি মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। আর গ্রামীণ ব্যাংকের ওই মুনাফার মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণ ব্যাংক এবং ড. ইউনূস নিজে বেনিফিসিয়ারি হয়। এ কারণেই আপনারা পুঁজিবাদের পক্ষে থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনির সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশিদুল আলম। প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, বিশেষ অতিথি সাবেক রেলমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক প্রমুখ।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
খালিশপুরে শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বগুড়ায় পুলিশের উদাসীনতায় রাতের আঁধারে জমি দখল করে ছাদ ঢালাই
গুচ্ছ নয়, সঠিক সময়েই হবে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষা - জবি শিক্ষক সমিতি
২৯ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া
সোমবার বিপিএলের মিউজিক ফেস্ট, গাইবেন রাহাত ফাতেহ আলী খান
নকলায় শহীদ জিয়াউর রহমান স্মৃতি সংঘের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
রাবিতে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকার হিসাব না দেওয়ার অভিযোগ, সাময়িক অব্যাহতি
রাজশাহীতে তেলের ট্রাকে বিস্ফোরণ: ৪শ’ ব্যারেল তেল ও ৮ দোকান ভস্মীভূত
স্ত্রী পর্দা করতে না চাইলে করণীয় প্রসঙ্গে।
কক্সবাজার প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন
১০০ টাকা ঘুষ খেলেও চাকরি থাকবে না: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
সংস্কার কমিশনের কাছে নিজের সম্পদের হিসাব দিলেন দুদক চেয়ারম্যান
মানিকগঞ্জে প্রথম নারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করলেন ইয়াছমিন খাতুন
ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদকের পিতৃবিয়োগ বিভিন্ন মহলের শোক জ্ঞাপন
মির্জাপুরে নিখোঁজের পাঁচ মাস পরও খোঁজ মিলেনি
মোরেলগঞ্জে উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতির ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক