১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ : প্রতিমন্ত্রী
০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:২১ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৪ এএম
বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে এমপি মোকাব্বির খানের এক প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।
নসরুল হামিদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার তাদের চলতি ৩ মেয়াদে ৮২টি বেসরকারি এবং ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ মোট ১ লাখ ৪ হাজার ৯২৬ কোটি ৮১ লাখ টাকা পরিশোধ করেছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসে। অর্থাৎ গত ১৪ বছরে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো এই ক্যাপাসিটি চার্জ পেয়েছে। নসরুল হামিদ বলেন, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭ হাজার ৪৫৫ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে। রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করা হয়েছে অ্যাগ্রেকো ইন্টারন্যাশনাল প্রজেক্টকে। তিনি ৮২টি বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও ৩২টি রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের নামের তালিকা এবং তাদের দেওয়া ক্যাপাসিটি চার্জের তালিকা তুলে ধরেন।
সর্বোচ্চ পরিমাণ চার্জ প্রাপ্ত অন্যান্য আইপিপি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে মেঘনা পাওয়ার লিমিটেডকে ৫ হাজার ৪৭৫ কোটি ১২ লাখ টাকা, রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে চার হাজার ৪ কোটি ৮ লাখ, সামিট মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডকে তিন হাজার ৬৪৪ কোটি ৩৯ লাখ, সেমক্রপ এনডব্লিউপিসি লিমিটেডকে দুই হাজার ৮২৩ কোটি ৬৬ লাখ, এপিআর এনার্জিকে দুই হাজার ৭৮৮ কোটি ৪ লাখ, সামিট বিবিয়ানা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডকে দুই হাজার ৬৮৩ কোটি ৩ লাখ, হরিপুর পাওয়ার লিমিটেডকে দুই হাজার ৫৫৭ কোটি ৬৩ লাখ, ইউনাইটেড আশুগঞ্জ এনার্জি লিমিটেডকে দুই হাজার ৩৭৬ কোটি ৬৪ লাখ ও বাংলা ট্র্যাক পাওয়ার ইউনিট-১ লিমিটেডকে এক হাজর ৮৫৩ কোটি ২২ লাখ টাকা।
গত তিন মেয়াদে ৩২টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় (রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট) ভাড়া বাবদ প্রদান করা হয়েছে ২৮ হাজার ৬৮৪ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস তার পাঁচটি ইউনিটের মাধ্যমে ছয় হাজার ৪১১ কোটি ২২ লাখ টাকা পেয়েছে। এ ছাড়া অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (১৪৫ মেগাওয়াট) দুই হাজার ৩৪১ কোটি ২৮ লাখ, কেপিসিএলকে (ইউনিট-২) এক হাজার ৯২৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকা, সামিট নারায়ণঞ্জ পাওয়ার লিমিটেডকে এক হাজার ৫৬৮ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (৮৫ মেগাওয়াট) লিমিটেডকে এক হাজার ৫৫৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা, ডাচবাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডকে এক হাজার ৫৩০ কোটি ৯ লাখ টাকা, অ্যাক্রন ইনফ্রাস্টাকচার সার্ভিসেস লিমিটেডকে এক হাজার ৪৮৪ কোটি ৩০ লাখ, অ্যাগ্রেকো ইন্টরন্যাশনাল প্রজেক্টস (৯৫ মেগাওয়াট) লিমিটেডকে এক হাজার ৪৩৯ কোটি ১৯ লাখ টাকা, দেশ এনার্জি সিদ্দিরগঞ্জকে এক হাজার ৩৯১ কোটি ২১ লাখ, ম্যাক্স পাওয়ার লিমিটেডকে এক হাজার ৩০৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ও পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা কেরানীগঞ্জকে ১ হাজার ২৯১ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
এম আব্দুল লতিফের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, বর্তমানে দেশে মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৮ হাজার ১৩৪ মেগাওয়াট। মোট উৎপাদিত বিদ্যুতের মধ্যে এক হাজার ১৯৫ মেগাওয়াট নবায়নযোগ্য উৎস হতে উৎপাদিত হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে উৎপাদনের ব্যবস্থা করতে হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে বিদ্যুৎ বিভাগ বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করছে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে সম্ভাব্য বিদ্যুতের উৎপাদন ক্ষমতা হবে প্রায় ৬০ হাজার মেগাওয়াট।
সেক্ষেত্রে নবায়নযোগ্য খাত হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রয়োজন হবে ২৪ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য চলমান, প্রক্রিয়াধীন ও পরিকল্পনাধীন মোট প্রকল্পের সংখ্যা ১০৮টি। প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে ২০৩০ সাল নাগাদ ১০ হাজার ১২৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রতিমন্ত্রী জানান, এডিবির সহায়তায় সোলার ইরিগেশন রোডম্যাপ (২০২৩-৩১) প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। উক্ত রোডম্যাপের আওতায় ৪৫ হাজার ডিজেলচালিত পাম্পকে সৌর বিদ্যুৎ চালিত পাম্পে রূপান্তর করা হবে। এর মাধ্যমে প্রায় ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
বগুড়-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবর রহমানের প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের নিট লোকসান দুই হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা। এ সময়ে ডেকসোর নিট লোকসান ২২৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, একই অর্থ বছরের ৯ মাসে ডিপিডিসির কর পরবর্তী লোকসান ৪৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রতিবেশী ভারত থেকে ছয়টি চুক্তির মাধ্যমে দুই হাজার ৬৫৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ