নরসিংদী পৌরসভা ভবনের সাথে একটি নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের ১৩ তলা থেকে দুজন শ্রমিক পরে গিয়ে পলাশ চন্দ্র রায় নামে একজন নিহত ও সম্পদ নামে আরেকজন গুরুতর আহত হন। আহত ব্যক্তিকে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।

গতকাল শনিবার সকালে পুরান বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন নদী-বাংলা সেন্টার পয়েন্ট নামের ১৭ তলা ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই শ্রমিকের নাম পলাশ চন্দ্র রায়। সে দিনাজপুরের খানসামা এলাকার নিরেন রায়ের ছেলে। অন্যদিকে গুরুতর আহত অপর শ্রমিকের নাম সম্পদ। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায় বলে জানা গেছে। হতাহত দুজন শ্রমিকই বিকাশ চন্দ্র রায় নামের এক রাজমিস্ত্রির তত্ত্বাবধানে গত তিন মাস ধরে ভবনটিতে কর্মরত আছেন। রাজমিস্ত্রি বিকাশ রায় বলেন, ১৩ তলার ওই ফ্লোরে দুই ভাগে ভাগ হয়ে মোট চারজন শ্রমিক দেয়াল পলেস্তারার প্লাস্টারের কাজ করছিলেন। হতাহত দুজন লিফটের ফাঁকা স্থানে কাজ করছিলেন। হয়তো এ সময় তারা পড়ে যান। আহত সম্পদের কথা বলার মতো পরিস্থিতি নেই। সে সুস্থ হওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

বহুতল ভবনটির প্রকল্প পরিচালক জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, পৌনে ৯টার দিকে হঠাৎ ধপাস শব্দ শুনতে পাওয়ার পর প্রথমে মনে করা হয়েছিল, ময়লা বা কোনো কিছু হয়তো ফেলা হয়েছে বা পড়ে গেছে। মিনিটখানেক পর কয়েকজন শ্রমিকের চিৎকার শুনে সেখানে গিয়ে দেখেন দুজন শ্রমিক রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। দ্রুত তাদের নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়ার পরপরই জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক পলাশ চন্দ্র রায়কে মৃত ঘোষণা করেন এবং সম্পদকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করেন। পরে তারা দুজনকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে পলাশকে মৃত ঘোষণা করলেএই হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয় এবং সম্পদকে উপযুক্ত চিকিৎসা জন্য জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসায় কর্মকর্তা (আরএমও) মাহমুদুল কবির বাসার কমল জানান, বহুতল ভবন থেকে পড়ে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়। একজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে, অন্যজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে দুজনকেই নিয়ে তাদের সহকর্মীরা ঢাকায় গেছেন।