দিনভর অস্থিরতার মধ্য দিয়ে অক্টোবরের প্রথম কর্মদিবসে পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। বিমা, খাদ্য, বস্ত্র, ওষুধ ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দাম কমায় এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছে ১৯ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ২৭ পয়েন্ট। এদিন ডিএসইতে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, বিপরীতে কমেছে ১২০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। অর্থাৎ দাম কমার বিপরীতে বেড়েছে তিনগুণ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর তাতে দেশের পুঁজিবাজারে বড় দরপতন হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির ইস্যুতে দরপতন হয়েছে। মূলত বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নতুন করে আরও ভয়ানক ভিসা নীতি দিতে যাচ্ছে মার্কিন সরকার। এই ভয় ও আতঙ্কে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করে বাজার থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। ফলে দরপতন হয়েছে।

ডিএসই’র দেয়া তথ্য মতে, রোববার বাজারে লেনদেন হওয়া ৩০২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৭০টির, কমেছে ৭৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এতে ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে দশমিক ৮৩ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২৮৪ পয়েন্টে। ডিএসইয়ের অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১৯ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৬৪ পয়েন্টে। ডিএস-৩০ সূচক ৪ দশমিক ৬৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ১৩৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই সূচক ২ দশমিক ২২ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ২৫৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

এদিন ৩০২টি প্রতিষ্ঠানের ৮ কোটি ৮৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬১৩টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে; যা টাকার অঙ্কে ৫৩১ কোটি ১৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪২২ কোটি ৩০ লাখ ৪ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন বেড়েছে।

ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল সোনালী পেপারের শেয়ার। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ক্রিস্টাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার। তৃতীয় অবস্থানে ছিল খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার। এরপরে ছিল যথাক্রমে ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, জেমিনি সি ফুড, ফুয়াং ফুড, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল, অ্যাপেক্স ফুডস, ফু-ওয়াং ফুড, লাফার্জহোলসিম ও টিবি২ওয়াই ০৯২৫ বন্ডের শেয়ার।

অন্যদিকে, সিএসই’র প্রধান সূচক ২৭ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৫৫৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৪৬টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ২৭টির, কমেছে ৭০টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯টির। দিন শেষে সিএসইতে ১১ কোটি ৮৪ লাখ ৬৬ হাজার ৪৫৪ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি ৮৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৭২ টাকার শেয়ার।