সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদানে হাইকোটের বিরুদ্ধে বাস মালিকদের আপিল শুনানি শুরু হয়েছে। বিচারিক আদালত রায় প্রদানের ৭ বছর পর গতকাল বুধবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুরু হলো এ শুনানি। বাস মালিকদের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী।

২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর ওই মামলাটির রায় দেন বিচারপতি জিনাত আরা এবং বিচারপতি কাজী মো: ইজারুল হক আকন্দের ডিভিশন বেঞ্চ। রায়ে তারেক মাসুদের পরিবারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৫ হাজার ৪৫২ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। পরে বাস মালিকপক্ষ এ রায় স্থগিত লিভ টু আপিল করেন।

২০১১ সালের ১৩ আগস্ট মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মিশুক মনির। তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটির সঙ্গে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। এতে তারেক মাসুদ ও মিশুক মনিরসহ মাইক্রোবাসের পাঁচ আরোহী নিহত হন। এ ঘটনায় বাদী হয়ে একটি মামলা করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি মানিকগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মোটরযান অর্ডিন্যান্সের ১২৮ ধারায় বাস মালিক, চালক এবং ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ চেয়ে আলাদা দুটি মামলা করেন নিহতদের পরিবার। পরবর্তীতে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে মামলা দুইটি হাইকোর্টে বদলির নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন বাদীরা। বিচারিক আদালত থেকে মামলা দুইটি স্থানান্তরে সংবিধানের ১১০ অনুচ্ছেদ অনুসারে হাইকোর্টে ওই আবেদন দুইটি করা হয়। ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর হাইকোর্টে ওই দুটি আবেদন করেন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথেরিন মাসুদ এবং মিশুক মনিরের স্ত্রী কানিজ এফ কাজী ও তাদের ছেলে। প্রাথমিক শুনানি শেষে ওইবছর ৩ অক্টোবর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিবাদীদেরকে ক্ষতি পূরণ প্রদানের নির্দেশ দেন।