শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটির এই সময়ে সহপাঠি-বন্ধুরা যখন শীতের মিষ্টি রোদ্দুরে বৌচি-গোল্লাছুট খেলায় ব্যস্ত তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে কাতরাচ্ছেন ৫ বছরের ফুটফুটে মেয়ে ইমা আক্তার। ঝাকড়া তুলে দুটি ঝুটি বাঁধায় কি সুন্দর দেখাচ্ছে ইমাকে, কিন্তু মুখটা মলিন। ইমা যে বিছানায় শুয়ে তার ঠিক মাথার উপরে গোল করে লাল কালিতে ইংরেজি হরফে লেখা ৫১। হাতে ফোটানো ইয়া মোটা একটা সুচ। যার মাধ্যমে নল বেয়ে রক্ত যাচ্ছে ইমার শরীরে। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ইমা। এক বছরের ছোট ভাইকে কোলে নিয়ে সাথে থেকে তাকে দেখভাল করছেন মা মর্জিনা বেগম। পেশায় ইজি বাইক চালক বাবা ইমরানের চোখে-মুখে অসহায়ত্বের ছাপ। মেয়েকে বাঁচাতে এত টাকা কোথায় পাবেন তিনি। নিজের যা কিছু ছিল, সাথে বন্ধু-পরিজনদের সহায়তায় এখন পর্যন্ত চিকিৎসা চলছে ইমার। কিন্তু এভাবে কতদিন?

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া থানার প্রত্যন্ত গ্রাম ভগিরতপুরে ব্যাটারি চালিত বাহন চালান ইমরান। তার সাথে কথা বলে জানা গেল, উন্নত চিকিৎসার আশায় তারা মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু সেখানকার বেড ভাড়া, বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ খরচ কুলাতে না পেরে আবার উঠেছেন ঢাকা মেডিকেলে। এখানে বিছানা খরচ নেই, হাসপাতাল থেকে ওষুধ, ইনজেকশনও মেলে। কিন্তু মেয়েকে বাঁচাতে যে আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন তা ঠিকই বুঝতে পারছেন ইমরান।

উপায়ন্ত না পেয়ে সমাজের হৃদয়বান মানুষের দিকে সাহায্যের বাত বাড়িয়েছেন অসহায় এই বাবা। তার কোনো ব্যাংক একাউন্ট নেই। তাই দিয়েছেন নিজের বিকাশ নম্বর। চাইলে আগে কথা বলে তারপর এই (০১৭৪৭৬৬৫৮২৮) নম্বরে বিকাশে সাহায্য পাঠাতে পারেন যে কেউ। হাজারো বাড়ানো হাতের সহায়তায় হয়ত আবারও প্রাণখুলে হাসবে ইমা, খেলবে সহপাঠিদের সাথে।