ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নতুন ভবন থেকে অ্যাপ্রোণ পরা ও গলায় স্টেথোস্কোপ ঝোলানো অবস্থায় মুনিয়া আক্তার রোজার (২৫) নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে আনসার সদস্যরা। এছাড়া তার কাছ থেকে ঢাকা মেডিকেলের লোগো দিয়ে বানানো একটি আইডি কার্ড জব্দ করা হয়। গত শনিবার রাতে হাসপাতালের নতুন ভবনে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রের (আইসিইউ) সামনে থেকে ওই নারীকে গ্রেফতার করা হয়।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মুনিয়া প্রথমে নিজেকে গাইনি চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেন। তিনি ২০২০ সালে সূত্রাপুরের ন্যাশনাল হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন জানিয়ে দুমাস আগে ঢাকা মেডিক্যালে গাইনি ওয়ার্ডে যোগ দেন। তবে রাত ১২টার দিকে প্রশাসনের চাপে পড়ে সত্য প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যান। তার বাড়ি চাঁদপুর সদরে। পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে মাক্কুশা মাজার সংলগ্ন এলাকায় থাকেন তিনি।

আনসার সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদে মুনিয়া বলেন, ভয়ে প্রথমে বলেছিলাম আমি ঢাকা মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। কিন্তু আমার ভুল আমি বুঝতে পেরেছি। সত্যিকার অর্থে আমি কোনো চিকিৎসক না। আমি নীলক্ষেত থেকে ৫৫০ টাকা দিয়ে অ্যাপ্রোন এবং ২০০ টাকা দিয়ে আইডি কার্ড তৈরি করে ব্যবহার করেছি। আইডি কার্ডে পরিচালকের জাল সই দিয়েছি। আর মিটফোর্ড এলাকা থেকে স্টেথোস্কোপ কিনেছি।

তিনি বলেন, আমি ঢাকা মেডিক্যাল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যেতাম। এ ছাড়া অ্যাপ্রোন পরে ডাক্তারদের অগোচরে রুমে ঢুকে তাদের মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী হাতিয়ে নিতাম। ভুয়া নারী চিকিৎসককে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আনসার সদস্যদের প্রধান উজ্জ্বল বলেন, ধারণা করা হচ্ছে ওই ভুয়া চিকিৎসক ছদ্মবেশ ধারণ করে রোগীদের মোবাইলফোন চুরি করে থাকেন, কারণ কিছুদিন আগে আইসিইউ থেকে মোবাইলফোন চুরি হয়েছে। বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে এবং তার নামে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।