আমি কাউকে ভয় পাই না ভয় দেখাইয়া লাভ নেই
১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১২:০৫ এএম
২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে শরিয়া ভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকট নিয়ে বিশেষ করে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন ৫টি ব্যাংক নিয়ে সাংবাদিকদের লাগাতার প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। এই ৫ ব্যাংক হলোÑফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
গতকাল মুদ্রানীতি ঘোষণা বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান জানান, তারল্য সংকটে ভোগা ব্যাংকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ ভিত্তিক ইসলামি ব্যাংকের অবস্থা বেশি খারাপ। পরে মুদ্রানীতি ঘোষণা শেষে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, শুধু ইসলামি ব্যাংক না, অনেক ব্যাংকই বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে প্রতিদিন ৩০-৩৫ হাজার কোটি টাকা ধার নিচ্ছে। কিন্তু এসব ব্যাংক সমস্যায় না পড়লেও ইসলামি ব্যাংকগুলো সমস্যায় পড়ছে এদের কাঠামোগত কারণে।
শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর কাঠামোর প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, ব্যাংকগুলো যাতে তারল্য সংকটে না ভোগে সেজন্য অন্যান্য ব্যাংকের এসএলআর নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশ, ইসলামি ব্যাংকের বেলায় তা ৫ শতাংশ। এর বিপরীতে ইসলামি ব্যাংকের সুকুক বন্ডের পরিমাণ মাত্র আড়াই শতাংশ।
ব্যাংকগুলোতে টাকার সংকট দেখা দিলে তারা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বন্ড জমা রেখে টাকা নিতে পারে। ইসলামি ব্যাংকের বন্ড না থাকায় তারা সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। এতে করে গ্রাহক যখন টাকা চাচ্ছে তখন ব্যাংক টাকা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে বলেও জানান গভর্নর।
তিনি বলেন, ব্যাংকের বিনিয়োগ হয় দীর্ঘস্থায়ী, অন্যদিকে গ্রাহকের ব্যাংকে টাকা রাখার সময়সীমা ব্যাংক বিনিয়োগের থেকে তুলণামূলক কম। এতে করে এক ধরণের ‘মিসম্যাচ’ তৈরি হয়েছে আর এ কারণেই তারল্য সংকট দেখা দিয়েছে। তবে একই কাঠামোতে এতদিন চলে আসা ইসলামি ব্যাংকগুলোতে কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও এখন কেন সমস্যা দেখা দিচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান আব্দুর রউফ তালুকদার।
চট্টগ্রামভিত্তিক এস আলম গ্রুপের হাতে থাকা পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের সংকটময় পরিস্থিতির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে গভর্নর বলেন, আমি কাউকে ভয় পাই না, ভয় দেখাইয়া লাভ নাই। আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, আমার চেয়ার ছাড়ার কোনো ভয় নাই। আমি কাউকে ভয় পাই না। এসব ভয়-টয় দেখাইয়া লাভ নাই। গভর্নর বলেন, আমি সচিব ছিলাম, এক বছরের বেশি সময় চাকরি ছিল। এখন গভর্নর হয়েছি চুক্তিভিত্তিক নিয়োগে। আমি চাইলে চাকরি ছেড়ে দিতে পারবো, আবার সরকার চাইলেও আমাকে সরিয়ে দিতে পারে। তবে চেয়ার হারানোর ভয় নাই, কোনো হুমকিও নাই। ভয় দেখাইয়াও লাভ নাই। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংকগুলোর কাঠামোতে সমস্যা ছিল। সেখানে তারল্য সংকট হয়েছে অন্য কারণে, তাদের সুকুক বন্ড রয়েছে টোটাল ইসলামী ব্যাংকের দুই শতাংশ। অন্য ব্যাংকগুলোয় তারল্য সংকট ছিল। তবে তাদের বন্ডে বিনিয়োগ থাকায় তারা টাকা পেয়েছে।
আর্থিক খাতের দুর্বলতার বিষয়ে গভর্নর বলেন, আমরা আগেই দুর্বল ব্যাংকগুলো চিহ্নিত করেছিলাম। দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে কোনো ব্যাংক বন্ধ হয়নি, হবেও না। তবে দুর্বল ব্যাংকগুলোর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সময় লাগে। তারা খারাপের দিকে যায়নি, আর দুর্বলতা কাটিয়ে উঠবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
কুমিল্লার আদালতে মামলা স্থগিতেও সাবেক আইনমন্ত্রীর প্রভাব
আ'লীগের মতো বিএনপিও যদি জুলুম করে জনগণ যাবে কোথায়? - সোনারগাঁয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম
এম আবদুল্লাহ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের এমডি হওয়ায় সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের অভিনন্দন
পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে পাবনায় বর্ণাঢ্য র্্যালী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বিজয় ছিনিয়ে নিতে নানামুখি ষড়যন্ত্র চলছে, মন্তব্য নজরুল ইসলাম খানের
তারেক জিয়ার বার্তা দেশবাসী অনুধাবন করতে পারবে - ডা. মাজহার
যত্রতত্র দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা-নামা বন্ধ করতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
বিচার বিভাগে হয়রানির সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হবে: আইন উপদেষ্টা
পর্তুগালের নতুন রাষ্ট্রদূত হচ্ছেন মাহফুজুল হক
অস্ট্রেলিয়া কোচের পদ ছাড়লেন অর্নল্ড
ঈশ্বরগঞ্জে জামিয়াতুল মোদার্রেছীনের কমিটি গঠন
পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে বাইরে থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে: স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা
বাংলাদেশের স্মৃতি ফিরলো শ্রীলংকা-নিউজিল্যান্ড টেস্ট
‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এ রকম ইতিহাস আর হবে না’: জয়নুল আবেদীন ফারুক
হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর বাউফল
বড় পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ
বেগমগঞ্জে নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানগ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যাওর্য়াডস পেল ইসলামী ব্যংক
কোন শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করবে না: শ্রম সচিব
নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যারা