কেন্দুয়ায় চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ
০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম | আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৩ এএম
নেত্রকোনার কেন্দুয়া নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দূরপাল্লার বাসে, খেলার মাঠের পাশে সিএনজি স্ট্যান্ডে এবং অস্বচ্ছল অটোরিকশা বা রিকশা চালকদের থেকে দীর্ঘ সময় ধরে একটি চক্র জোরপূর্বক চাঁদা আদায় করে আসছিল। প্রায় ৭ বছর চাঁদাবাজি নীরবে সহ্য করে আসলেও এবার ঘুরে দাঁড়িয়েছেন চালকরা। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অসীম কুমার উকিলকে হারিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই চাঁদাবাজ চক্রের অবৈধ সিন্ডিকেট ভাঙতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় চালকরা। তাদের অভিযোগ সাবেক এমপি অসীম উকিলের আস্থাভাজন কেন্দুয়া পৌরসভার মেয়র আসাদুল হক ভূইয়ার মদদেই এই চাঁদা উঠাতো তারই অনুগতরা।
সংসদ সদস্য ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু নির্বাচনী সভাতেও প্রকাশ্যে এই চাঁদাবাজি বন্ধের অঙ্গীকার করেছিলেন। এর প্রেক্ষিতেই সম্প্রতি চাঁদাবাজির শিকার চালকরা প্রতিকারের আশায় প্রতিবাদ মিছিল করে কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে গতকাল স্মারকলিপি প্রদান করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক সাবেক ছাত্রনেতা অভিযোগ করে বলেন, মূলত মেয়র এবং কেন্দুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূইয়ার নেতৃত্বেই চাঁদা আদায় করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান বিপুল।
বিপুল বলেন, সিএনজি স্ট্যান্ডে প্রতিদিন লটারির ভিত্তিতে ট্রিপ চলে। কিন্তু মেয়রের ভাইয়ের সিএনজিগুলোতে থাকে না কোন সিরিয়াল। লটারির ভিত্তিতে চললেও প্রতিদিন গুণতে হয় বিশাল অঙ্কের চাঁদা। অটোরিকশা চালকরাও এই চাঁদাবাজি থেকে রেহাই পান না। পৌরসভার বাৎসরিক চাঁদার পাশাপাশি প্রতিদিন ৩০ টাকা করে চাঁদা নেয়া হয়। ক্ষেত্র বিশেষে চাঁদার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং সঠিক চাঁদা না দিলে পৌরসভায় প্রবেশ করতে দেয়া হয় না।
চাঁদাবাজি বন্ধে সোচ্চার স্থানীয় এক শ্রমিক নেতা বলেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার পিন্টু নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছেন, কেন্দুয়াকে চাঁদাবাজদের হাত থেকে মুক্ত করা হবে। অসীম কুমার উকিলের বিপক্ষে পিন্টুর জয় মূলত চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জনতার রায়। অটোরিকশায় চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে অটোরিকশা চালকগণ কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদের চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন এবং চাঁদাবাজি বন্ধে সোচ্চার হয়েছেন। আশা করি প্রশাসন শ্রমজীবী মানুষের রক্ত শোষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে এবং স্থায়ীভাবে চাঁদাবাজি বন্ধ করবে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. এনামুল হক জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে চাঁদাবাজী বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বায়তুল মোকাররমের ঘটনার জেরে ইফা মহাপরিচালক প্রত্যাহার
কোর্ট ম্যারেজ করা প্রসঙ্গে?
এখনো ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেম্বরদের রেখেছেন কেন? - রিজভী
নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে
রাষ্ট্র গঠনে যা করা জরুরি
নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে একটি প্রস্তাবনা
ঈশ্বরদীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনসহ যুবদল নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
ইসরাইল এখনো সন্ত্রাসীর মতো হামলা চালাচ্ছে
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অতিশী
ওরা পার্বত্য অঞ্চলকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানাতে চায়
বৃষ্টির মতো রকেট নিক্ষেপ হিজবুল্লাহর পালিয়েছেন লাখ লাখ ইসরাইলি
পাহাড়ে অশান্তির বীজ উপরে ফেলতে হবে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে যে কোন চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে
পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে : বাংলাদেশ ন্যাপ
শৈলকুপায় অস্ত্র ও গুলিসহ ২ জন আটক
অশান্ত মণিপুরে সেনা টহল
‘ট্রাম্প ও তার দল ভণ্ডামি করছে’
হেলিকপ্টারে যেতে পারলেন না ভারতের দুই মন্ত্রী
মার্কিনিদের লেবানন ছাড়ার আহ্বান
সংঘাতের মধ্যে নতুন অস্ত্র সামনে আনলো ইরান
ভারতকে পারমাণবিক সাবমেরিন আন্ডারওয়াটার ড্রোন দেবে ফ্রান্স