রমজানের আগে পেঁয়াজ এবং চিনি আমদানির ব্যাপারে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
আগামী রমজান সামনে রেখে পেঁয়াজ এবং চিনির ব্যাপারে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এ দুটি পণ্যের বিষয়ে রপ্তানি নিষিদ্ধ ছিল, বাংলাদেশকে প্রতিবেশী বন্ধুসুলভ দেশ হিসেবে কনসিডার করে তারা আমাদের এ রমজানের আগেই পেঁয়াজ এবং চিনি রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেবেন বলে আশা করছি। জাতীয় সংসদে গতকাল ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমনের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম (টিটু) এ কথা বলেন।
এসময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল ভারত থেকে এসেছেন। সেখান থেকে তিনি আশ্বস্ত হয়ে এসেছেন যে, প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশা করি রমজান শুরুর আগেই ভারত থেকে এবং বিকল্প অন্য মাধ্যম থেকেও পেঁয়াজ এনে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। আসন্ন রমজান সামনে রেখে কোনো ধরনের মজুতদারি বা কারসাজি করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রথম কেবিনেট থেকেই দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আন্ত:মন্ত্রণালয় একটি সমন্বয় কমিটির মাধ্যমে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেখানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিনিধি আমাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে। এ টাস্কফোর্সের মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহের বিষয়ে গতকালও প্রধানমন্ত্রী আমাদের বিভিন্ন পর্যায়, বিশেষ করে পরিবহন পর্যায়ে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা না হয়, বাজার ব্যবস্থাপনায় না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলো যেন বাস্তবায়ন হয় সেজন্য আমরা সমন্বিতভাবে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছি।
আহসানুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করছি আগামী রমজানে নিরবচ্ছিন্নভাবে খাদ্যের সরবরাহ ভোক্তা পর্যায়ে নিশ্চিত করতে পারবো। কোনো ধরনের মজুতদারি বা কোনো রকম কারসাজি করার চেষ্টা করা হলে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব আমরা।
আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য আলী আজমের এক প্রশ্নের উত্তরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, অপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। বর্তমানে বিদেশ থেকে জ্বালানি তেল, তুলা, সার, লোহা ও স্টিল, নিউক্লিয়ার রিয়েকটর, বয়লার্স, যান্ত্রিক সরঞ্জাম, ভোজ্যতেল, তেলবীজ, প্লাস্টিক পণ্য, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি, গাড়ি, রেলওয়ে ইঞ্জিন, নিটওয়্যার, লবণ, বিভিন্ন প্রকার জৈব রাসায়নিক দ্রব্যাদি, গবাদি পশুর খাদ্য এবং বিভিন্ন ধরনের মসলা আমদানি করা হয়ে থাকে। যে কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য আমদানির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। তবে আমদানি রোধ নয় বরং দেশের স্বার্থে তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
অধিক গাড়িতে সারচার্জ খড়গ
সীমান্ত থেকে বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল বিএসএফ
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডেই বিদায় অলিম্পিক সোনাজয়ীর
সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পতিত স্বৈরাচারের ৯ দোসর নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
মারা গেছে ইনফ্লুয়েন্সার তনির স্বামী
সিটির ড্রয়ের রাতে পয়েন্ট হারাল লিভারপুল-চেলসিও
পুলিশকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত করতে অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে: আইজিপি
রাধানগর উচ্চ বিদ্যালয় এডহক কমিটির সভাপতি হলেন মাহাবুব চেয়ারম্যান
হাজীগঞ্জে ভেকু দিয়ে কৃষি জমির মাটি কাটার হিড়িক
৪ হাজার বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার ঘোষণা দিলো গ্রিস
গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের কারাদণ্ড
খুঁজে খুঁজে একে একে সবাইকে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বিএনপি নির্বাচনের জন্য ‘অস্থির’ কেন?
বরিশালে সঞ্চয়পত্রের গ্রাহকগন মুনফা সহ বিনিয়োগকৃত আসল অর্থ তুলতে পারছেন না
মানিকগঞ্জে ক্যান্সার আক্রান্ত দুই সন্তানের জননীকে জবাই করে হত্যা
ভারত কেন এখন তালিবানকে কাছে টানছে ?
মুরাদনগরে ভূমিদস্যুদের আতঙ্ক এসিল্যান্ড
বিশ্ব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করলেই সফল হবে জাতিসংঘ : ফিলেমন ইয়াং
গুরুদাসপুরে একই গ্রামে প্রবাসীর স্ত্রী ও কলেজ ছাত্রের রহস্যজনক মৃত্যু
মতলবে বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন