নগরীকে জঞ্জালমুক্ত করবোই
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:০৪ এএম
১১শ’ কোটি টাকার দেনা নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিন বছরে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা ঋণ শোধ করা হয়েছে। এছাড়া যানজট নিরসনে নগরীতে নিউমার্কেট ও ইপিজেড মোড়ে দুটি আন্ডারপাস এবং যানজট নিরসনে নগরীতে আরো ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
গতকাল বুধবার নগরীর টাইগারপাসে চসিকের অস্থায়ী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর উপলক্ষে এ মতবিনিময় সভায় নগরীর উন্নয়নে মেয়রের পরিকল্পনা এবং সাম্প্রতিক হকার উচ্ছেদ নিয়ে অনড় অবস্থানের কথাও ব্যক্ত করেন। এসময় কাউন্সিলর ও করপোরেশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চসিক মেয়র বলেন, নগরীকে জঞ্জাল মুক্ত করতে কোনো আপোস করা হবে না।
প্রায় ১১শ’ কোটি টাকা দেনা নিয়ে আমি দায়িত্ব গ্রহণ করি। গত তিন বছরে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা ঋণ শোধ করা হয়েছে। পরিশোধ করা হয়েছে বকেয়া বিদ্যুৎ বিল এবং ঠিকাদারদের পাওনা। শত বাধা উপেক্ষা করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে নিউ মার্কেট মোড়ের নালা, রাস্তা ও ফুটপাত দখলমুক্ত করেছি। এসব স্থান রক্ষায় মনিটরিং করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে নগরীর গুরুত্বপূূর্ণ পয়েন্টগুলোকে সৌন্দর্যবর্ধন করে নান্দনিক চট্টগ্রাম গড়া হবে। এই ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব প্রতিপত্তি আমাকে থামাতে পারবে না। নাগরিকদের মধ্যে থেকে একটাই দাবি উঠেছে, হকারমুক্ত ফুটপাত চাই। চলাচলের জন্য ফুটপাত চাই। ফুটপাত সাধারণ মানুষের হাঁটার জন্য। সেখানে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ সব বয়সীরা হাঁটবে। ফুটপাত কাঁচা বাজার, মাছ বাজার আর কাপড়ের বাজার বসানোর জন্য নয়। নিউমার্কেট এলাকার ফুটপাত আমরা মুক্ত করেছি। সেটা মুক্ত রাখতে পুনর্দখল ঠেকাতে অভিযানে গেলে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এত দুঃসাহস তারা পায় কোথায়? আমরা দ্রুত বিচার আইনে মামলা করেছি। আমি আগেও বলেছি, হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট করে দিব। সেখানে তারা শুক্র-শনিবার ব্যবসা করবেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রাম শহর অপরিকল্পিত একটি শহর। অতীতে কোনো একজন মেয়রের চোখে যেটা সুন্দর মনে হয়েছে, সেটা করেছে। আরেকজন মনে করেছে অন্যভাবে সুন্দর, সেটাও করেছে। কিন্তু মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ করা হয়নি। মাস্টারপ্ল্যান অনুসরণ হলে আজ শহরের এ দুর্দশা হত না। অনেক কিছু আমরা পরিকল্পিতভাবে করিনা বলে সুন্দর শহরটা অসুন্দর হচ্ছে। নগরীর সব কাঁচা সড়ক পাকা করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। যানজট নিরসনে নগরীতে আরও ৩৮টি ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে এবং নিউ মার্কেট ও ইপিজেড মোড়ে দুটি আন্ডারপাস নির্মাণ করা হবে এবং পে পার্কিং সিস্টেম চালু করা হবে।
পানিবদ্ধতা নিরসনে নানা উদ্যোগের কথা জানিয়ে চসিক মেয়র বলেন, পানিবদ্ধতা নিরসনে বহদ্দারহাট বারই পাড়া থেকে কর্ণফুলী নদী পর্যন্ত খালটির খনন কাজ চলছে। ১ হাজার ৩৬২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে খনন করা খালটির কাজের অগ্রগতি ৬০ শতাংশ। ২০২৪ সালের মধ্যে কাজ শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন খাল খনন কাজ শেষ হলে ১০ লাখ মানুষ পানিবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে। শহরে ৭২টি খাল ছিল। এখন ৫৭টি। এরমধ্যে ৩৬টি খাল নিয়ে চউক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সেখানে হাত দেওয়ার সুযোগ আমাদের নেই।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
জাপানকে হারিয়ে উত্তর কোরিয়ার রেকর্ড
তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠক: আলোচনায় যে সব বিষয়
ভারতে পালানোর সময় সীমান্তে আওয়ামী লীগ নেতা আটক
১,০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে ফিরল হারানো বিড়াল!
গাজীপুরে নারী নিহত : বাসে আগুন
চোটে মৌসুম শেষ রদ্রির
পরিবেশবান্ধব শহরে পরিণত হচ্ছে শাংহাই
জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতে নিহত ৬
ভারতীয় পেসাররা এখন আকরাম-ইউনিসের সমতুল্য
লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় একদিনেই নিহত ৪৯২
নতুন স্পাইমাস্টার নিয়োগ দিলো পাকিস্তান
মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি সিয়াম গ্রেপ্তার
বার্সা চাইলে ফিরতে প্রস্তুত ব্রাভো
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্যে অস্ট্রেলিয়া
চোটে পড়ে মৌসুম থেকে ছিটকেই গেলেন টের স্টেগেন
ইন্টার মায়ামি ছাড়ছেন মেসি?
ডেভিস কাপ দিয়ে কোর্টে ফিরছেন নাদাল
দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারে অনুমতি পাচ্ছে না ইউক্রেন
গাজা-লেবাননে নিহত আরো ২২২
আসাদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য প্রস্তুত এরদোগান