তদানীন্তন নিখিল ভারত মুসলিম লীগের সভাপতি ড. আল্লামা ইকবালের ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ড. আল্লামা ইকবালের কবিতা কোনো দেশ, কাল, সম্প্রদায়, জাতির জন্য নয় বরং সমগ্র মানবজাতির উদ্দেশ্যে লিখিত ছিল। মৌলিক বিশ্বাস, জীবনবোধ এবং দার্শনিক চিন্তা চেতনা প্রতিফলিত হয়েছে তার রচনায়। অথচ রাজনৈতিক কারণে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে তাকে আড়ালে রেখে তার রচনা ও দর্শন থেকে শিক্ষা অর্জনের সুযোগ থেকে গোটা জাতিকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। একজন সত্যিকারের মুসলিম হিসাবে ইকবাল সকল মানুষকে নিয়েই ভেবেছেন। তিনি শুধু একজন দার্শনিক কবিই ছিলেন না- তিনি ব্রিটিশ ভারতের ইতিহাসের একজন দূরদর্শী রাজনীতিকও ছিলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতেও আল্লামা ইকবালের মতাদর্শ অনুযায়ী ঐক্যবদ্ধ মুসলমান জাতি ছাড়া মুসলিম বিশ্বের সঙ্কট উত্তরণের কোন বিকল্প পথ নেই। অথচ দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য বিশ্ব রাজনীতিতে মুসলমানদের ঐক্য পরিস্থিতি তৈরি হলেই তা অজানা কারণে ভেঙে চুরমার হয়ে যাচ্ছে। উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক আল্লামা ইকবালের দর্শন অনুযায়ী সমগ্র মুসলমান জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার উদ্যোগ নিতে মুসলিম বিশ্বের নেতাদের প্রতি সভায় আহ্বান জানানো হয়।

সোমবার বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডস্থ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে দার্শনিক, রাজনীতিক ও মরমী কবি ড. আল্লামা ইকবালের ৮৫তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় দলীয় নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আজিজ হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মহসীন রশীদ।

আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট টক শো ব্যক্তিত্ব কর্নেল মো. আব্দুল হক, ব্যারিস্টার মেজর (অব:) এম সরোয়ার, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নূরুল হক নূর, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, জাতীয় পার্টির মহাসচিব সাবেক এমপি আহছান হাবীব লিংকন, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ফারুক রহমান, এবি পার্টির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে. এম রকিবুল ইসলাম রিপন, বিশিষ্ট কবি মাহমুদ হাসান নিজামী, বিশিষ্ট সাংবাদিক মোস্তফা কামাল মজুমদার, সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন খোকন।