সিলেটের বিশ্বনাথ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুত্বর আহত কাউন্সিলর রাসনা বেগম বাদি হয়ে বিশ্বনাথ থানায় দাখিলকৃত অভিযোগ পুলিশ মামলা হিসেবে রেকর্ড করেছে। মুহিবুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।

মামলার অন্যান্য আসামিরা হচ্ছেন- কাউন্সিলার ফজর আলী ও বারাম উদ্দিন, জানাইয়া মাঝপাড়া গ্রামের মৃত আজেফর আলীর ছেলে জমির আলী, শিমুলতলা গ্রামের আত্তর আলীর ছেলে সুরমান আলী, শরিপুর গ্রামের সুনাফর আলীর ছেলে আমির আলী, দক্ষিণ মীরের চর গ্রামের মৃত রুস্তুম আলী ছেলে সিতাব আলী, রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মৃত তবারক আলীর ছেলে আনোয়ার আলী, রহমান নগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে ড্রাইভার হেলাল আহমদ, জানাইয়া গ্রামের মৃত তোতা মিয়ার ছেলে আব্দুস শহীদসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮ থেকে ১০জন।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল বিশ্বনাথ পৌরসভার ১০ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৭ জন কাউন্সিলর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, টাকা আত্মসাৎ, ক্ষমতার অপব্যবহার, নিজের নামে ফেসবুক খুলে বিশ্বনাথের সম্মান ক্ষুন্ন এবং সামাজিক বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে অনাস্তা প্রস্তাব করা হয়।

এই আক্রোশে মঙ্গলবার মুহিবুর রহমান তার গাড়ি দিয়ে কাউন্সিলর রাসনা বেগমকে গাড়ির চাকায় পৃষ্ট করে হত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক লোক মুহিবুর রহমানকে গ্রেফতার দাবি করে সন্ধ্যার পর ঝাড়– মিছিল করে। এ ঘটনায় মামলা রেকর্ড করা হলেও পুলিশ এখন কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা জানান, আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।