ওসমানীর সনদেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি ফারুক আহমদ
২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ এএম
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া গ্রামের আলী সিকদার পাড়ার মরহুম আবদুল হাকিমের পুত্র ফারুক আহমদ একজন স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন বীর সৈনিক। তিনি এক নম্বর সেক্টরে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তার অবদান উজ্জ্বল হয়ে রইবে উল্লেখ করে তাকে একটি সনদ দিয়েছিলেন মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী। আনসার কমান্ডার মরহুম ফারুক আহমদকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বাধীনতার সংগ্রামের সনদপত্র দিয়েছেন বাংলাদেশ সশস্ত্রবাহিনীর অধিনায়ক মহম্মদ আতাউল গণী ওসমানী। যার ক্রমিক নম্বর ১৩৩৫২৫। অথচ এরপরও লোহাগাড়া উপজেলার (সাবেক সাতকানিয়া) ফারুক আহমদের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নেই, নেই মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি। মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি ও সম্মান না পাওয়ার দুঃখ নিয়েই দুনিয়া থেকে চলে গেছেন তিনি।
তার সন্তানেরা জানান, আমাদের পিতা মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্থানীয়ভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে পদুয়া হানিফার চর বরতলী হয়ে বান্দরবান, সাতকানিয়া, দোহাজারী ও পটিয়া এলাকায় সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ লোহাগাড়ার কমান্ডার আকতার আহমদ শিকদার বলেন, কমান্ডার মরহুম ফারুক আহমদ ১ নম্বর সেক্টরে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। আমি নিশ্চিত তিনি একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। তাকে স্বীকৃতি দেয়া উচিত। যুদ্ধে অংশ নিয়েও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি না পাওয়া দুঃখজনক। জীবনবাজি রেখে দেশকে স্বাধীন করতে যারা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের জাতির শ্রেষ্ঠসন্তান (মুক্তিযোদ্ধা) হিসেবে মূল্যায়ন করা হয়। কিন্তু এখনও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পাননি আনসার কমান্ডার ফারুক আহমদ। এখন পিতার স্বীকৃতি চান সন্তানরা।
জানা গেছে, আনসার কমান্ডার ফারুক আহমদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি বঞ্চিত হওয়ায় তার পুত্র নাছির মাহমুদ পিতার স্বীকৃতি চেয়ে আবেদন করেছেন। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলে ১৫/০৯/২১ তারিখে করা তার আবেদনের কোন সাড়া মিলেনি এখনো।
আবেদনে নাছির মাহমুদ উল্লেখ করেন, তার পিতা ফারুক আহমদ ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ১ নম্বর সেক্টরে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি লোহাগাড়া উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হিসেবে পরিচিত। ১৯৭২ সালে আনসার প্লাটুন কমান্ডার হিসাবে থানায় যোগদান করেন। ১৯৭৬ সালে আনসার ব্যাটেলিয়ানে অস্ত্র চালানো প্রতিযোগিতায় ফারুক আহমদ প্রথম হয়েছিলেন। ১৯৭৭ সালে তিনি সেনাবাহিনী সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেন। ১৯৭৮ সালে চট্টগ্রাম কোতোয়ালী থানায় থাকাকালে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ফারুক আহমদকে নিরাপত্তার জন্য নিরাপত্তা অফিসার হিসেবে সঙ্গে রাখতেন। ১৯৭৯ সালে সাতকানিয়া এলাকার নয়াখালের ব্রিজ উদ্বোধন করতে এসেছিলেন উপ-প্রধানমন্ত্রী জামাল উদ্দীন আহমদ। ওইসময় ফারুক আহমদসহ আনসার সদস্যরা নয়াখাল খনন ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। সহকারী কোম্পানি কমান্ডার ফারুক আহমদ প্রধানমন্ত্রী জামাল উদ্দীনকে আভিবাদন জানিয়েছিলেন। খাল খনন ও প্রশিক্ষণের জন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে একটি সনদও দেন। কিন্তু অসুস্থতার কারণে ১৯৮০ সালে চাকরি ছেড়ে দেন। ১৯৮১ থেকে ২০০৮ সালের ৬ মে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। আর এ কারণে তিনি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি নিতে পারেননি। তার সন্তানেরা এখন তার স্বীকৃতি চান।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা