বরিশালে ছাত্রদল নেতার নেতৃত্বে দুই ফটোসাংবাদিককে মারধর
২৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ এএম | আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৫, ১২:২৮ এএম

বরিশাল জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে হত্যা মামলার বাদীকে তুলে নেয়ার সময় ছবি ধারণ করায় দুই ফটোসাংবাদিককে মারধর করে মোটেরসাইকেল পুড়িয়ে দিল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়িসহ তার অনুসারীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার নগরীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রধান গেটের সামনে এ ঘটনার পরে এলাকায় ব্যাপেক উত্তেজনার সাথে আতংকও ছড়িয়ে পরে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষসহ বিচারঙ্গনের সংশ্লিষ্টদের মধ্যে নানা ধরনের প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর আগমন টের পেয়ে সটকে পড়েন সোহেল রাঢ়ি ও তার সহযোগীরা।
অভিযুক্ত হামলাকারীরা হচ্ছে- বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রাঢ়ি, বরিশাল মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নগরীর ১০নং ওয়ার্ড ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাসুম হাওলাদার মাসুম, মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলমাস, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ও রাজিব আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসাইন, সদস্য জুয়েলসহ তাদের সাথে থাকা নাইম, শাওন, জাহিদ ও শাহিন।
বরিশাল থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার ফটোসাংবাদিক এন আমিন রাসেল বলেন, আদালতের প্রধান ফটকে পুলিশের একটি গাড়ি গতিরোধ করে ছাত্রদল নেতারা। সেখানে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের ওপর চড়াও হন সোহেল রাঢ়িসহ অন্যান্যরা। তারা আব্বাস নামের এক ব্যক্তিকে পুলিশ রক্ষা করেছে এমন দাবি তুলে এবং পুলিশের সাথে তর্কে জড়িয়ে পরে। এ সময় ছবি সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে হামলা চালিয়ে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে ছাত্রদল নেতা ও তার সহযোগীরা। খবর পেয়ে অন্যান্য সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হলে ছাত্রদল নেতারা সেখান থেকে সটকে পরে। এ সময় সাংবাদিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে পুলিশের ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা সড়ক থেকে উঠে যায়।
অভিযুক্ত সোহেল রাঢ়ি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে, ফ্যাসিস্টের সহযোগী হিসেবে সাংবাদিকরা কাজ করেছে বলে অভিযোগ করেন। তার দাবি সে সাংবাদিকের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ কিংবা তাদের ওপর কোনো হামলা করেননি।
আব্বাস হাওলাদার বলেন, তিনি মুলাদী উপজেলার বাসিন্দা। তার পিতা আব্দুর রব হাওলাদার মুলাদীর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি থাকায় গত বছর প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। ওই মামলার বাদী হিসেবে আব্বাস আদালতে আসলে তাকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়া হয়। বিষয়টি তিনি পুলিশ প্রশাসনসহ সাংবাদিকদের অবহিত করেন। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে প্রধান ফটকে আসলে সোহেল রাঢ়ীর নেতৃত্বে তাকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, পুড়ে যাওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও






আরও পড়ুন

বন্দরে গণমাধ্যম কর্মীকে কুপিয়ে জখম, বিএনপি অফিস ভাংচুর

নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ৪ ও ৫ এপ্রিল সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অষ্টমী স্নানোৎসব

জুলাই কন্যাদের সম্মানজনক মার্কিন পুরস্কার, যা বলছে যুক্তরাষ্ট্র

সাভারে বিএনপি নেতা মোঃ খোরশেদ আলমকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ, আটক ২

শহীদের স্বীকৃতি পেলেন সেই যুবক, পরিবার পেল ১০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র

দাউদকান্দিতে চাঁদাবাজির অভিযোগে বিএনপি নেতাকে অব্যাহতি

বকশীগঞ্জে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ

ছুটির দিনেও ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’

নিউইয়র্কে আয়োজিত হবে 'বাংলাদেশ ডে প্যারেড-২০২৫'

হাতিয়ায় সংঘাত বন্ধে শপথ করালেন এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদ

ঈদের দিন ছুটি কাটিয়ে মেট্রোরেল ও আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু

বিভিন্ন অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস

শান্তিপূর্ণ ঈদ উদযাপনে সেনাবাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

রাজধানীর বংশালে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ৬

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ৮০ ফিলিস্তিনি

ইসরাইলি অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

গোদাগাড়ীতে ব্যতিক্রমধর্মী অনুষ্ঠান করে প্রশাংসায় ভাসছেন ইউএনও

মির্জাপুরে প্রতিপক্ষের হামলায় এক পরিবারের ৩ জন আহত

সুন্দরগঞ্জে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংস্কৃতিক উৎসব

নেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের শুভেচ্ছা বিনিময়