বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস কমিয়ে ৩.৩ শতাংশ করল বিশ্বব্যাংক
২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৪ এএম | আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৩৪ এএম

বিশ্বব্যাংক ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। জানুয়ারিতে এই প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছিল ৪ দশমিক ১ শতাংশ। গতকাল বুধবার প্রকাশিত বিশ্বব্যাংক তাদের সর্বশেষ দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদন ‘সাউথ এশিয়া ডেভেলপমেন্ট আপডেট: ট্যাক্সিং টাইমস’-এ জানিয়েছে, রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও দীর্ঘস্থায়ী আর্থিক সংকটের কারণেই এই প্রবৃদ্ধি হ্রাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের ১২ মাসের গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।
বিশ্বব্যাংক জানায়, গত গ্রীষ্মে সংঘটিত সামাজিক অস্থিরতা ও রাজনৈতিক উত্তেজনার ফলে সৃষ্ট বিঘেœর প্রতিফলন এটি। এছাড়া বাণিজ্যে বিঘœ, দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি, ব্যাংক খাতের দুর্বলতা, সুশাসনের সংকট এবং রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে অনিশ্চয়তা—সব মিলিয়ে বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এর এক দিন আগেই আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাংলাদেশে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এবং ১০ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়। আর এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) চলতি মাসের শুরুতে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ও ১০ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির পূর্বাভাস দেয়।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধিও কমছে
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাড়তে থাকা অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ এশিয়ার প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনাও দুর্বল হয়ে পড়েছে। অঞ্চলটির অধিকাংশ দেশেরই প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে আনা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, আভ্যন্তরীণ রাজস্ব আহরণ জোরদার করা গেলে অর্থনৈতিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী হবে এবং ভবিষ্যতের সংকট মোকাবেলায় সহায়ক হবে। ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার গড় প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হতে পারে, যা অক্টোবরের পূর্বাভাসের চেয়ে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ কম। ২০২৬ সালে তা সামান্য বেড়ে ৬ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়াতে পারে। তবে এই পূর্বাভাস অনেক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার পাশাপাশি অঞ্চলটির সীমিত আর্থিক সক্ষমতাও বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইজার বলেন, গত এক দশকে একের পর এক ধাক্কার ফলে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর অর্থনৈতিক সহনশীলতা অনেক কমে গেছে। তিনি বলেন, এখনই সময় নির্দিষ্ট কিছু সংস্কারের দিকে মনোযোগ দেওয়ার-যাতে অর্থনীতির সহনশীলতা বাড়ে, প্রবৃদ্ধি জোরদার হয় এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়। বাণিজ্য আরও উন্মুক্ত করতে হবে, কৃষিখাতে আধুনিকায়ন আনতে হবে এবং বেসরকারি খাতে গতি আনতে হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন

‘দেশের প্রচলিত আইনে শ্রমিকেরা পুঁজিপতিদের ক্রীতদাসে পরিণত হয়েছে’

শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় মজুরি কমিশন গঠনের দাবি জাগ্রত পার্টির

শেরপুরে ভারতীয় চিনি, মদ ও গাজাসহ গ্রেপ্তার ৫

জিয়াউর রহমান ছিলেন শ্রমিকদের প্রকৃত বন্ধু: নুরুজ্জামান লিটন

মুরাদনগর নোমান কলেজের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হলেন শরীফুল ইসলাম

বর্ণিল আয়োজনে পটুয়াখালীতে মহান মে দিবস পালিত

পটুয়াখালীতে জেলা শ্রমিক দলের আয়োজনে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস পালিত

চাকরি হারানো তিন সাংবাদিককে ধুয়ে দিলেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় পাশে থাকবে বিএনপি : ওয়াহাব আকন্দ

গণঅভ্যুত্থানে আহত ও নিহত শ্রমিকদের স্মরণ ও আ‘লীগ নিষিদ্ধের দাবি করলো সিলেটে এনসিপি

টঙ্গীতে বজ্রপাতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু

কৃষিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে নতুন টেকনোলজির মাধ্যমে- ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিসের নতুন কমিটি সভাপতি নাজমুল সম্পাদক আনিসুজ্জামান

মুজিবনগরে কৃষকের ৩০০ ড্রাগন গাছ কেটে দিল দুর্বৃত্তরা

“বিক্ষোভে নতি, রুয়া নির্বাচনে ফেরার আভাস: কালই গঠিত হচ্ছে নতুন অ্যাডহক কমিটি”

সিলেটে লাল পতাকা মিছিল করলো সমাজতান্ত্রিক ফ্রন্ট

সীমান্তে আরাকান আর্মির কার্যক্রমে অসন্তুষ্ট মানুষ

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে ধান কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে এক কৃষকের মৃত্যু

এবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প

জনগণ নির্বাচন ঠেকাতে চাওয়া শক্তিকে ক্ষমা করবে না: আমীর খসরু