সার্জেন্ট মোর্শেদার সহায়তায় ফুটপাতে ভূমিষ্ঠ হল নবজাতক
১১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৩ পিএম | আপডেট: ৩১ মার্চ ২০২৩, ০৮:৫৩ পিএম

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপির) ট্রাফিক বিভাগের কর্তব্যরত সার্জেন্ট মোর্শেদার সহায়তায় রাজধানীর নতুন বাজার এলাকার ফুটপাতে ভূমিষ্ঠ হয়েছে এক নবজাতক।
ডিএমপির ট্রাফিক গুলশান বিভাগ সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নতুন বাজার এলাকার ফুটপাতে হঠাৎ প্রসব বেদনা ওঠে এক নারীর। আশপাশের কেউ এগিয়ে না আসায় ওই নারী অসহায় হয়ে পড়েছিলেন। তার অসহায়ত্ব দেখে সেখানে কর্তব্যরত সার্জেন্ট মোর্শেদা এগিয়ে আসেন। সঙ্গে এক নারী কনস্টেবলকে নিয়ে রাস্তার পাশে বাস কাউন্টারের নিচে গড়ে তোলেন একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী। কিছুক্ষণ পর ওই নারী জন্ম দেন ফুটফুটে এক নবজাতকের।
নবজাতকের নাড়ি কাটা নিয়ে দেখা দেয় বিপত্তি। তখনো আবার এগিয়ে আসেন সার্জেন্ট মোর্শেদা। দ্রুত ওই নারীসহ তার শিশুকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। পরে হাসপাতালে নবজাতকের নাড়ি কাটা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই নারী ও শিশু দুজনই ভালো আছেন।
শুক্রবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যার দিকে ডিএমপির গুলশান ট্রাফিক বিভাগের ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্টের মাধ্যমে এসব তথ্য জানানো হয়।
পোস্টে জানানো হয়, নতুন বাজার এলাকায় সার্জেন্ট মোর্শেদা দায়িত্ব পালন করছিলেন। দায়িত্বরত অবস্থায় ঢাকার চাকা পরিবহন কাউন্টারের একজন স্টাফ সার্জেন্ট মোর্শেদাকে জানায়, নতুন বাজারের ফুটপাতে একজন নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। একথা শোনার পর একটুও দেরি না করে মোর্শেদা দ্রুত ট্রাফিক কনস্টেবল তানিয়াকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে চলে যান। গিয়ে দেখতে পান যে, সেই নারীর প্রসব ব্যথা উঠেছে এবং তিনি যন্ত্রণায় মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন।
আশপাশে কোনো ভবনও ছিল না তাকে নেওয়ার মতো। এ অবস্থা দেখে সার্জেন্ট মোর্শেদা ও কনস্টেবল তানিয়া দ্রুত বাস কাউন্টার থেকে কয়েকটি ছাতা নিয়ে আসেন এবং চারপাশ ঢেকে দিয়ে এবং ওই নারীকে বাচ্চা প্রসবে সহযোগিতা করেন। কিছুক্ষণ পরে একটা ফুটফুটে বাচ্চা বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে।
কিন্তু তখনো নাড়ি না কাটাতে সার্জেন্ট মোর্শেদা ৯৯৯ এ কল করেন। দ্রুত একটা ইমার্জেন্সি এম্বুলেন্সের সাহায্যে নবজাতকসহ দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। বর্তমানে উপশম হাসপাতালে নবজাতক ও তার মা দুজনেই ভালো এবং সুস্থ আছেন।
এ বিষয়ে সার্জেন্ট মোর্শেদা গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনার সময় আমি রাস্তায় দায়িত্ব পালন করছিলাম। তখন খবর পেলাম এক নারী প্রসব বেদনায় রাস্তায় ছটফট করছেন। খবর পেয়ে আমি দ্রুত ওই নারীর কাছে যাই। পরে আমার সঙ্গে থাকা এক নারী কনস্টেবলকে নিয়ে তার প্রসবে সহায়তা করি। পরে নবজাতকের নাড়ি কাটার জন্য তার মা-সহ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
এই বিভাগের আরও





আরও পড়ুন

পাকোড়া ছাড়া ইফতারই হয় না পাকিস্তানে

বাছুরের গায়ে স্মাইলি ইমোজি

সত্তর বছর পর

আধা ঘণ্টার পরিচয়ে কিডনিদান

প্রথম আলোর ভিত্তিহীন সংবাদের নিন্দা বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের

হলিউড শীর্ষ পাঁচ

হকি ঢাকা ইউনাইটেড ও ব্যাচেলর্সের জয়

এশিয়ান কাপ বাছাই খেলতে সিঙ্গাপুরে যাবে কিশোরীরা

মতলবে ৩ প্রতিষ্ঠান কে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা

এবার পুরুষ সাফে দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দেশ!

দানব’ ব্ল্যাক হোলের সন্ধানে বিস্মিত বিজ্ঞানীরা গিলে নিতে পারে ৩,৩০০ কোটি সূর্যকে

স্বাধীনতার উপর আঘাত আসলে ব্যবস্থা নেয়া সরকারের দায়িত্ব : হানিফ

গণমাধ্যম স্বাধীন আছে, অপসাংবাদিকতা কেউ সমর্থন করে না : তথ্যমন্ত্রী

করাচিতে পদদলিত হয়ে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু

মোদী হটাও, দেশ বাঁচাও’ ভারতজুড়ে ১১ ভাষায় পোস্টার, গ্রেফতার ৮

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদপত্রের টুটি চেপে ধরেছে সরকার : ড. মঈন খান

মিরপুরে বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা

যুদ্ধের ৪০০তম দিনে মিত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জেলেনস্কির

জ্বালানি তেল বিক্রিতে রাশিয়ার নতুন রেকর্ড

১৩ দিন পর অবসরপ্রাপ্ত সেনাকে মুক্তি দিলো কেএনএফ