শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন নয়, শিক্ষার্থীদের মান বৃদ্ধি আমাদের প্রধান লক্ষ্য: ভিসি ড. মশিউর রহমান

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

১৮ মার্চ ২০২৩, ০৬:২১ পিএম | আপডেট: ২৮ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম

 

জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান বলেছেন, শুধু অবকাঠামোগত উন্নয়ন বা বেতন কাঠামো নয়, আমাদের শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শিক্ষার্থীদের মান বৃদ্ধি এবং যুক্তিবাদী ও দেশপ্রেমিক নাগরিক তৈরি করা। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন দরকার। আমাদের ঘরে ঘরে আধুনিক, যুক্তিবাদী, বিজ্ঞানমনস্ক, স্মার্ট এবং দেশপ্রেমিক সন্তান গড়ে তুলতে হবে। আমাদের লক্ষ্য ভবন বা অন্য সুবিধাপ্রাপ্তি নয়। বরং আমাদের প্রতিটি সন্তান আদর্শিক, দেশপ্রেমী, অসাম্প্রদায়িক নাগরিক হয়ে গড়ে উঠুক। গত শুক্রবার চট্টগ্রামের বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের প্রথিতযশা সমাজবিজ্ঞানী ড. মশিউর রহমান বলেন, মানচিত্রসম প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়। সারাদেশে বিস্তৃত ২ হাজার ২৫৭টি কলেজে ৩৫ লক্ষ শিক্ষার্থী। সেই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানসকাঠামো গঠন করে। আমাদের শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে শুধু নিজেকে তৈরি করে না- বাবা-মা, ভাই-বোনকে দেখাশোনা করে। আমার শিক্ষার্থীরা ভীষণভাবে দেশপ্রেমী, সমাজপ্রেমী, মানবিক, সাংস্কৃতিবান ও ক্রীড়ামোদী। এসব লালন করে মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে বুকে ধারণ করে তারা।

ড. মশিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে তাঁর হত্যাকারীদের প্রতি আমাদের ঘৃণা, বিদ্বেষ ও ক্ষোভ প্রকাশ করছি। ঘাতকরা সারাজীবনের অপরাধী। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে হত্যার প্রচেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য- বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের পুনরুত্থান ঘটিয়ে বাংলাদেশকে উন্নয়নের দিকে ধাবিত করছে। আমরা সেই অভিযাত্রাকে এগিয়ে নিতে চাই। জাতীয় বিশ^বিদ্যালয় আধুনিক-প্রযুক্তিমুখী শিক্ষার পাশাপাশি আপনাদের প্রতিটি সন্তানকে আইসিটি, সফ্ট স্কিল, অন্ট্রাপ্রেনারশিপ, ল্যাংগুইজসহ আধুনিক সব কোর্সে দক্ষ করে গড়ে তুলতে চায়। সেজন্য আমরা ইতোমধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্র্রহণ করেছি।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একমাত্র নেতা যিনি কখনো শাসক হতে চাননি বরং সকল সময়ে বাঙালি জাতির মুক্তি চেয়েছিলেন। এই ভূখ-ে প্রাগৈতিহাসিক আমল থেকেই নেতৃত্ব ছিল। গোত্র প্রধান ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক নেতা ও গোত্র প্রধানেরা নেতৃত্ব দিয়েছেন। তারা সকলেই কোন না কোন সময়ে শাসক হতে চেয়েছেন। কিন্তু একমাত্র বঙ্গবন্ধুই এদেশের হাজার বছরের গ্লানি, নির্যাতন, নিপীড়ন, নিগ্রহের মধ্যে থেকে মুক্তির গান গেয়েছেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন শোষিতের গণতন্ত্রের প্রবক্তা। একমাত্র বঙ্গবন্ধুই এদেশের মানুষকে ঐক্যের সূতায় গেঁথেছেন।'

তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু বলেছেন পৃথিবী আজ দু’ভাগে বিভক্ত-শোষক আর শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে। তিনি পৃথিবীকে বদলে দিতে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করলেন। এটি ছিল পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক নতুন অর্থনৈতিক মডেল। এ কারণেই বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তানে পরিণত হয়েছেন। এ কারণেই আজও মানুষ পোশাকে মুজিব কোট পরতে চায়। আমরা বঙ্গবন্ধুর মতো প্রবল ব্যক্তিত্বের মানুষ হতে চাই। সাহসী মানুষ হতে চাই। অকুতোভয়, বিপ্লবী মানুষ হওয়ার জন্য আমরা বারংবার বঙ্গবন্ধুর কাছে ফিরে যাই।’

 

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর স্থানীয় সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী, বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামাল উদ্দিন। সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ড. মো. জমির উদ্দিন সিকদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন বাঁশখালী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফারুক প্রমুখ।

 

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


আরও পড়ুন

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বদলেযেতে পারে ২০২৪ সালে

মার্কিন পররাষ্ট্র নীতি বদলেযেতে পারে ২০২৪ সালে

মেক্সিকোতে শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী অগ্নিকা-ে মৃত অন্তত ৪০

মেক্সিকোতে শরণার্থী শিবিরে বিধ্বংসী অগ্নিকা-ে মৃত অন্তত ৪০

বিতর্কে নারী ডিসি-ইউএনও

বিতর্কে নারী ডিসি-ইউএনও

মামলার আগেই র‌্যাব গ্রেফতার করতে পারে কি না -প্রশ্ন হাইকোর্টের

মামলার আগেই র‌্যাব গ্রেফতার করতে পারে কি না -প্রশ্ন হাইকোর্টের

সুলতানার মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি করেছে র‌্যাব

সুলতানার মৃত্যুতে তদন্ত কমিটি করেছে র‌্যাব

ওলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে

ওলী আউলিয়াদের মাধ্যমে এদেশে ইসলাম এসেছে

রমজানে গোশত নিম্নবিত্তের নাগালে নেই

রমজানে গোশত নিম্নবিত্তের নাগালে নেই

বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমছে না তেলের দাম

বিশ্ববাজারে কমলেও বাংলাদেশে কমছে না তেলের দাম

তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু হচ্ছে

তিন দিনব্যাপী জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু হচ্ছে

বিএনপিকে সংলাপ নয়, আলোচনার জন্য ডেকেছি

বিএনপিকে সংলাপ নয়, আলোচনার জন্য ডেকেছি

সৌদিতে নিহত ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ২ জনের বাড়ী কুমিল্লা

সৌদিতে নিহত ৮ বাংলাদেশীর মধ্যে ২ জনের বাড়ী কুমিল্লা

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

নগরবাসীর ভোগান্তি চরমে

আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

আরাভ খানের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

বিএনপি নেতাদের বিবেক-বুদ্ধি-চক্ষুলজ্জা হারিয়ে গেছে

বিএনপি নেতাদের বিবেক-বুদ্ধি-চক্ষুলজ্জা হারিয়ে গেছে

ঢাবি ছাত্রীদের মুখম-ল খোলা রাখার নোটিশ হাইকোর্টে স্থগিত

ঢাবি ছাত্রীদের মুখম-ল খোলা রাখার নোটিশ হাইকোর্টে স্থগিত

লেপার্ড ট্যাঙ্কের প্রথম চালান পেল ইউক্রেন

লেপার্ড ট্যাঙ্কের প্রথম চালান পেল ইউক্রেন

আফগান শরণার্থীদের হোটেল থেকে উচ্ছেদ করবে ব্রিটেন!

আফগান শরণার্থীদের হোটেল থেকে উচ্ছেদ করবে ব্রিটেন!

এই তাসকিন দেখেন শীর্ষ দল হওয়ার স্বপ্ন

এই তাসকিন দেখেন শীর্ষ দল হওয়ার স্বপ্ন

চীনের পাশেই থাকছে পাকিস্তান

চীনের পাশেই থাকছে পাকিস্তান

পেলে, ম্যারাডোনার পাশে মেসিও

পেলে, ম্যারাডোনার পাশে মেসিও