ঢাকায় ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না নগর পরিল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ

Daily Inqilab ইনকিলাব

১৮ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৩ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:২২ পিএম

ঢাকা শহর অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠেছে। রাজধানীতে ইমারত নির্মাণে বিধিমালা অনুসরণ করা হচ্ছে না। দুর্যোগ ঝুঁকি নিয়ে এ শহরে বাস করছে দেড়কোটি মানুষ। নগরীর ৬৫ শতাংশ ভবন দূর্বল মাটির ওপর প্রতিষ্ঠিত। যা ভবন নিরাপত্তা ঝুঁকির অন্যতম কারণ। এভাবে ভবন ধসের ঝুঁকি নিয়ে একটি শহর টিকতে পারে না। ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে মানুষের প্রাণহানী ও সম্পদ ক্ষতির ঝুঁকি বাড়বে এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্র অর্জন সম্ভব হবে না। ভবন নিরাপত্তার জন্য দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান সমূহ যথাযথ দায়িত্ব পালন করছে না। রাজউক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মান হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারীর ঘাটতি রয়েছে। এমনকি নকশা অনুমোদনের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ভবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে দায়িত্ব প্রাপ্ত সংস্থা, পেশাজীবী ও ভবন মালিক সবাইকে সমন্বিত ভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিরাপদ ভবন নিশ্চিত করার জন্য মহানগর ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও বিল্ডিং কোডের অনুশীলন নিশ্চিত করা জরুরি। আজ শনিবার বাংলাদেশ চলচিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) অনুষ্ঠিত এক ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিশিষ্ট নগর পরিল্পনাবিদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ এসব কথা বলেছেন। প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, সাইন্সল্যাবরোটরি ও পুরান ঢাকায় বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে কত ভায়াবহ ঝুঁকির মধ্যে আমরা বসবাস করছি। নগর ব্যবস্থাপণায় সুশাসনের অভাব, অপরিকল্পিত নগরয়ন, বিল্ডিং কোড না মেনে ভবন নির্মাণ, সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর অবহেলা, দুর্নীতি ও নাগরিকদের উদাসীনতা ভবন ধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলছে। অভিযোগ রয়েছে রাজউক থেকে নকশার অনুমোদন পেতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যায়। নির্মাণ শেষে বিল্ডিংয়ের অকোপেন্সি সার্টিফিকেট পেতেও বেশ কষ্ট হয়। ইমারত নির্মান বিধিমালা যথাযথ ভাবে অনুসরন না করায় ভবন নিরাপত্তাহীনতা সহ নগর দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তিনি আরো বলেন ভবন ধসে যেসব সাধারণ মানুষ, পথচারী আকস্মিক ভাবে নিহত ও আহত হচ্ছে তাদের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর কোন রাষ্ট্রীয় মেকানিজম নেই। কলকারখানার দুর্ঘটনায় আহত-নিহত শ্রমিকরা শ্রমিক কল্যাণ তহবিল ও মালিকদের নিকট থেকে আর্থিক সহযোগিতা পেয়ে থাকে। কিন্তু ভবন ধসে প্রাণ হারানো বা আহত ব্যক্তি বা তাদের পরিবার তেমন কোন আর্থিক সহযোগিতা পায় না। তাই আজ এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিগত সময়ে ভবন ধসের ঘটনায় আহত ও নিহত পরিবারকে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা প্রদানের দাবি করেন।‘মালিকদের উদাসীনতাই ভবন নিরাপত্তাহীনতার প্রধান কারণ’ শীর্ষক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় শরিয়তপুরের মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুল এন্ড কলেজকে পরাজিত করে ঢাকার সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে ট্রফি ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
আরও

আরও পড়ুন

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত

শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা

বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা

‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব

‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব

সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০

মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ

মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার

কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার

পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক

পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত

পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ

পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ

ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি

ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি

এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!

আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!

ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু

ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকে সিটিজেন’স চার্টার অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র

মতিঝিলে বিশ্বমানের ডায়াগনস্টিক সেবা প্রদান শুরু আইসিডিডিআর,বি’র

স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?

স্বামীর অগোচরে স্ত্রী অন্য কারও সাথে কথা বলা প্রসঙ্গে?

চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১

চাঁদপুর মেঘনায় মালবাহী জাহাজে ৭ জনকে কুপিয়ে হত্যা, গুরুতর আহত ১

পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি

পতিত স্বৈরাচার হাসিনাকে ফেরাতে ভারতকে চিঠি

যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত

যাকাত বোর্ডের ১১ কোটি টাকা বিতরণের প্রস্তাব অনুমোদিত

১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান

১৬ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা নির্বাসনে চলে গিয়েছিল : সংস্কার কমিশন প্রধান