রমজানে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে কঠোর আন্দোলন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা

Daily Inqilab স্টাফ রিপোর্টার

২১ মার্চ ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৪৬ পিএম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, রহমত, বরকত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে রমজান সমাগত। রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। তাকওয়া অর্জনের এ মাসে তাকওয়াপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করা সরকারের দায়িত্ব। বরাবরের মতো সরকার এ দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার সম্পূর্ণ বাইরে। তিনি সরকারকে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে অশ্লীলতা বেয়াপনা নিয়ন্ত্রণ ও দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের নাগালে রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। মজুদদার, মুনাফাখোর ও সি-িকেটদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে এদের দমন করতে হবে। অন্যথায় জনগণকে সাথে নিয়ে দুর্বার গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা, দিনের বেলায় হোটেল রেস্তোঁরা বন্ধ রাখা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম স্থিতিশীল রাখা এবং সকল প্রকার বেহায়াপনা বন্ধ রাখার দাবিতে রমজানের স্বাগত মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্দোলনের সহকারী মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নগর দক্ষিণ সহ-সভাপতি আলহাজ আনোয়ার হোসেন, সেক্রেটারী ডা. শহীদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা কেএম শরীয়াতুল্লাহ, দফতর সম্পাদক ফজলুল হক মৃধা, এমএম শোয়ইব, মুফতি শওকত উসমান, ইউসুফ পিয়াস। সমাবেশ শেষে একটি মিছিল বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে পল্টন মোড় হয়ে বিজয়নগর পানির ট্যাংকি এসে সমাপ্ত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা মুহাম্মাদ ইমতিয়াজ আলম বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়বে না। অথচ তার ঘোষণার আগেই সরকার দলীয় সি-িকেট বুর্জোয়া গোষ্ঠী শবে বরাতের আগেই বহুগুণ বাড়িয়ে জনগণকে নিষ্পেষণ করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী এ সি-িকেট ভাঙ্গতে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি রোজাদারদের শান্তিপূর্ণভাবে রোজা পালনে নিত্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রাখতে কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

আরও পড়ুন

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন আলোচিত অ্যাক্টিভিস্ট ড. ফয়জুল

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন আলোচিত অ্যাক্টিভিস্ট ড. ফয়জুল

মেয়েদের শিক্ষার বার্তা নিয়ে তানজানিয়ায় মালালার জন্মদিন উদযাপন

মেয়েদের শিক্ষার বার্তা নিয়ে তানজানিয়ায় মালালার জন্মদিন উদযাপন

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত

এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না

এখনও ধাক্কা সামলে উঠতে পারিনি, তবে হাল ছাড়ছি না

কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় সাংবাদিক দম্পতির জিপিএ ৪.১১ প্রাপ্তি

কিশোরগঞ্জে এসএসসি পরীক্ষায় সাংবাদিক দম্পতির জিপিএ ৪.১১ প্রাপ্তি

মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেফতার: র‍্যাবের একের পর এক অভিযান

মিডফোর্ডে ভাঙারি ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় দুই আসামি গ্রেফতার: র‍্যাবের একের পর এক অভিযান

কেউ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করলে তাদের বিএনপি করার অধিকার নেই: ব্যারিস্টার খোকন

কেউ সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি করলে তাদের বিএনপি করার অধিকার নেই: ব্যারিস্টার খোকন

আজ বিশেষ সেমিনার 'ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’

আজ বিশেষ সেমিনার 'ভবিষ্যতের চলচ্চিত্র : বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট’

এডাস্টে ‘ইংলিশ ফর ওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

এডাস্টে ‘ইংলিশ ফর ওয়ার্ক’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বললেন—বিমানে বোমা আছে

ছেলের পরকীয়া ঠেকাতে মা ফোন করে বললেন—বিমানে বোমা আছে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেস সচিব

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালেন প্রেস সচিব

মিটফোর্ডের সামনে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে

মিটফোর্ডের সামনে হত্যার ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে

বলিউডে আবেগের ঘাটতি রয়েছে— সঞ্জয় দত্ত

বলিউডে আবেগের ঘাটতি রয়েছে— সঞ্জয় দত্ত

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী

সুনামগঞ্জ সীমান্তে বিএসএফ'র গুলিতে নিহত এক বাংলাদেশী

গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে, ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

গাজার যুদ্ধবিরতির আলোচনা অনিশ্চয়তার মুখে, ইসরায়েলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরল রনির মরদেহ

ক্রেন দুর্ঘটনায় মৃত্যুর ৭ দিন পর মালয়েশিয়া থেকে বাড়ি ফিরল রনির মরদেহ

সোহাগ হত্যার দায়ে টিটন গাজী নামে আরও একজনসহ মোট গ্রেপ্তার ৫

সোহাগ হত্যার দায়ে টিটন গাজী নামে আরও একজনসহ মোট গ্রেপ্তার ৫

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলায় মার্কিন তরুণ নিহত

পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলায় মার্কিন তরুণ নিহত

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণ :স্বামী-স্ত্রীর পর চলে গেল সন্তানও

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালাতে গিয়ে বিস্ফোরণ :স্বামী-স্ত্রীর পর চলে গেল সন্তানও

গুলির নির্দেশদাতা হাসিনা! উদ্ভট স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জয়ের হাস্যকর কাণ্ড!

গুলির নির্দেশদাতা হাসিনা! উদ্ভট স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জয়ের হাস্যকর কাণ্ড!