কোটালীপাড়ায় জোর করে জায়গা দখলের চেস্টা বাধাঁ দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী- স্ত্রী আহত

Daily Inqilab কোটালীপাড়া ( গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা

০৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:১০ পিএম | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১০:৫৬ পিএম

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় জোর করে মাটি কেটে জায়গা দখল করার চেস্টা বাধাঁ দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় স্বামী - স্ত্রী আহত হয়েছে। স্হানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কোটালীপাড়া স্বাস্হ কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তারের ব্যবস্হা পত্রে বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। রবিবার (২ এপ্রিল) আমতলী ইউনিয়নের উনশীয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ-ঘটনায় আহত বিধান ঠাকুর বাদী হয়ে ৬ জনকে বিবাদী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার (৩ এপ্রিল) সরেজমিনে গেলে প্রতক্ষদর্শী হাফিজ ফকির আনোয়ারা বেগম ও রাবেয়া বেগম বলেন রবিবার সকালে বিধান ঠাকুরের বাড়ির সামনের জায়গায় জোর করে মাটি কেটে ঘর তুলতে যায় মস্তফা বিশ্বাস এবং তার লোকজন এ সময় বিধান ঠাকুর বাধাঁ দিলে মস্তফা বিশ্বাস, নুরু বিশ্বাস, সাদেক বিশ্বাস ও বেল্লাল বিশ্বাস সঙ্গীও লোকজন নিয়ে বিধান ঠাকুর (৫০) এর উপর হামলা চালায় এ-সময় তার স্ত্রী অঞ্জনা ঠাকুর (৩২) তার স্বামীকে বাচাতে এগিয়ে গেলে তাকে ও তারা পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন এ ভাবে তাদের স্বামী- স্ত্রী দুজনকে গুরুতর আহত করে। তারা আরো বলেন মস্তফা বিশ্বাস এবং তার লোকজন যে ভাবে একজন নারীর স্পর্শকাতর স্হানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন এটা চরম অমানবিক। পরে স্হানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কোটালীপাড়া স্বাস্হ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তারের ব্যবস্হা পত্রে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিছানায় আহত অঞ্জনা ঠাকুর বলেন ইওনো স্যার সার্ভেয়ার ও ইউনিয়ন ভূমি তহশিলদার মিলে এক-বছর আগে আমাদের জায়গা পরিমাপ করে দিয়েছে কিন্তু তারা সেই সরকারি লোকের মাপ না মেনে রবিবার সকালে গাযের জোরে আমাদের জায়গায় মাটি কেটে ঘর তুলে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে. আমরা বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্হানে গুরুতর জখম করেন। আমাদের ডাক চিৎকারে প্রতক্ষর্দশী হাফিজ ফকির,আনোয়ারা বেগম ও রাবেয়া

বেগম দৌড়ে এলে। আমরা প্রানে রক্ষা পাই।

এ-ঘটনায় আমার স্বামী বিধান ঠাকুর বাদী হয়ে মস্তফা বিশ্বাস সহ ৬ জনকে বিবাদী করে কোটালীপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি তাদের কঠিন বিচারের দাবি জানাই। কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জিল্লুর রহমান বলেন অভিযোগটি তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।

 


বিভাগ : বাংলাদেশ


মন্তব্য করুন

HTML Comment Box is loading comments...

এই বিভাগের আরও

সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই
লাখো রোহিঙ্গাদের ইফতার স্থানে প্রবেশের হুড়োহুড়িতে নিহত ১ আহত ২
ভূরুঙ্গামারীতে নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন
বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের ফল-মিষ্টি দিলেন আগরতলা পৌরসভার মেয়র
পতিত স্বৈরাচারের দোসররা একেক সময় একেক নামে আবির্ভাব হচ্ছে: খায়ের ভূঁইয়া
আরও
X

আরও পড়ুন

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট আমরা বুঝি' -  ড. ফায়েজ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কষ্ট আমরা বুঝি' - ড. ফায়েজ

সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই

সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ৮ দোকান পুড়ে ছাই

লাখো রোহিঙ্গাদের ইফতার স্থানে প্রবেশের হুড়োহুড়িতে নিহত ১  আহত ২

লাখো রোহিঙ্গাদের ইফতার স্থানে প্রবেশের হুড়োহুড়িতে নিহত ১ আহত ২

ভূরুঙ্গামারীতে নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

ভূরুঙ্গামারীতে নদ থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন

বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের ফল-মিষ্টি দিলেন আগরতলা পৌরসভার মেয়র

বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের ফল-মিষ্টি দিলেন আগরতলা পৌরসভার মেয়র

পতিত স্বৈরাচারের দোসররা একেক সময় একেক নামে আবির্ভাব হচ্ছে: খায়ের ভূঁইয়া

পতিত স্বৈরাচারের দোসররা একেক সময় একেক নামে আবির্ভাব হচ্ছে: খায়ের ভূঁইয়া

আল হিকমাহ ইসলামিক অলিম্পিয়াড পুরুষ্কারে ভূষিত হলো নোয়াখালী মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা

আল হিকমাহ ইসলামিক অলিম্পিয়াড পুরুষ্কারে ভূষিত হলো নোয়াখালী মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা

মাগুরায় শিশু আছিয়ার নির্মম মৃত্যু: রাবি শিক্ষক ফোরামের বিচার দাবি

মাগুরায় শিশু আছিয়ার নির্মম মৃত্যু: রাবি শিক্ষক ফোরামের বিচার দাবি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন মার্ক কার্নি

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে, নইলে সংকট বাড়বে:  শিপন

ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে হবে, নইলে সংকট বাড়বে: শিপন

কয়েকজন ছাত্রনেতা মনে করে ৫ আগষ্টের আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রই ছিলো না: ইশরাক

কয়েকজন ছাত্রনেতা মনে করে ৫ আগষ্টের আগে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রই ছিলো না: ইশরাক

ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না - আমিনুল হক

ঐক্যবদ্ধ ও সুসংগঠিত থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না - আমিনুল হক

আল-আকসা মসজিদে ৮০ হাজার মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

আল-আকসা মসজিদে ৮০ হাজার মুসল্লির জুমার নামাজ আদায়

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু মেয়েদের

থাইল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু মেয়েদের

হটপটে মূত্রত্যাগ! চাপের মুখে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা চীনের বিখ্যাত রেস্তরাঁর

হটপটে মূত্রত্যাগ! চাপের মুখে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা চীনের বিখ্যাত রেস্তরাঁর

রাহুল নয়, দিল্লির নেতৃত্বে প্যাটেল

রাহুল নয়, দিল্লির নেতৃত্বে প্যাটেল

কিছু ধর্মান্ধের জন্য রঙের উৎসব মুসলমানদের ভীতির কারণ: মেহেবুবা

কিছু ধর্মান্ধের জন্য রঙের উৎসব মুসলমানদের ভীতির কারণ: মেহেবুবা

আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল

আছিয়ার ধর্ষকদের অতিদ্রুত বিচার ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে টাঙ্গাইলে মশাল মিছিল

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুকুরে ডুবে ১৪ মাসের শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পুকুরে ডুবে ১৪ মাসের শিশুর মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নদীর দখলদার উচ্ছেদ না হওয়ায় হাতাশা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নদীর দখলদার উচ্ছেদ না হওয়ায় হাতাশা