ময়মনসিংহ সদর উপজেলায় প্রতিপক্ষের হামলার ৪ দিন পর আহত যুবক মো: সজীব মিয়া (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার ও স্বজন-সৃহৃদদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মৃত্যুবরণ করে।

নিহত সজীব মিয়া সদর উপজেলার ১২ নং ভাবখালী ইউনিয়নের ডাকাতবাড়ী নেহালিয়াকান্দা গ্রামের গরু ব্যবসায়ি মো: মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে।

গত ১৪ এপ্রিল জমির সীমানা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত সজীব মিয়া মারাত্মক আহত হয়েছিল বলে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো: কামাল আকন্দ।

তিনি আরও জানান, হামলার ঘটনায় নিহতের জেঠা আ: রাজ্জাক বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় সাহেদ আলী নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তবে আহত ভিকটিম মারা যাওয়ায় ঘটনাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।

নিহতের স্বজনরা জানায়, স্থানীয় শহীদুল্লাহ ও সাহেদ আলী গংদের সাথে জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল নিহতের পরিবারের। এনিয়ে গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) স্থানীয় গন্যমান্যদের মধ্যস্থতায় সামাজিক ভাবে শালিসে বসে দুই পক্ষ। এ সময় শালিস অমান্য করে শহীদুল্লাহ ও সাহেদ আলী গংরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে নিহত সজীব ও তার পরিবারের লোকজনের উপর স্বশস্ত্র হামলা করে। এতে সজীব, তার মা, চাচা ও জেঠাসহ প্রায় পাঁচ জন মারাত্মক আহত হয়।

এ ঘটনায় মারাত্মক আহত সজীব মিয়াকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে ৪ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যায়।