নারী সহকর্মীর ধর্ষণের মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি কারাগারে

খুলনা ব্যুরো

০৮ মে ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম | আপডেট: ০৮ মে ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম

নারী সহকর্মীর ধর্ষণ মামলায় খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. শহীদুর রহমান খানকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন আদালত। আজ সোমবার ‍বিকাল ৪টায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান জামিন আবেদন বাতিল করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. রুবেল খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্র জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বর্তমান রেজিস্ট্রার খন্দকার মাজহারুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে মামলা করেন ভিসির ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) । এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন গ্রহণ করেন ভিসি। জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পন করে পুনরায় জামিনের আবেদন করেন। সোমবার বিকালে ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুস সালাম খান আবেদন বাতিল করে দিয়ে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়, ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২১ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টোর কিপার (পরবর্তীতে ভিসির পিএ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ভিসি ড. শহীদুর রহমান খান নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় ভাড়া করা প্রশাসনিক ভবনের ৫ম তলায় একা থাকতেন। কিন্তু সেখানে খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা না থাকায় রেজিস্ট্রার ওই নারীকে তার খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব দেন। এরপর থেকে ওই নারী প্রতিদিন তাকে খাবার পৌঁছে দিতেন। সেই সুবাদে ভিসি বিভিন্ন সময় তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। ভুক্তভোগী তার কথায় রাজি না হয়ে বিষয়টি রেজিস্ট্রারকে জানান। ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই ভুক্তভোগী খাবার দিতে গেলে ভিসি পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রেজিস্ট্রারের সহযোগিতায় তাকে ধর্ষণ করেন। ভিসির কাছ থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে ওই নারী তার স্বামীকে তালাক দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ভিসি ও ওই নারী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে মেলামেশা করতে থাকেন। পরে ভিসি বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে প্রথমে সোনাডাঙ্গা থানায় যান। থানা মামলা গ্রহণে অস্বীবৃতি জানালে ওই নারী আদালতের শরণাপন্ন হন। এ বছর ১৩ মার্চ আদালত থানাকে মামলা নেয়ার নির্দেশ দেন। ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে গত বছরের সেপ্টেম্বর অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রহমান খান ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে গেছেন। তিনি সেখানে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আর ভুক্তভোগী নারী বর্তমানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন।

বিভাগ : বাংলাদেশ