রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দ হয়েছে লটারীর মাধ্যমে। মেয়র প্রার্থীরা দলীয় হওয়ায় তাদের নিজ নিজ দলের প্রতীক পেয়েছেন। সদ্য সাবেক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নৌকা প্রতীক। সকালে ওঠে নগরবাসী প্রত্যক্ষ করে প্রত্যেক রাস্তায় তার ফেষ্টুন আর পোষ্টারে ছেয়ে গেছে। এবার তার নির্বাচনী প্রচারনা বেশ গোছানো। আগেই প্রস্তুত ছিল পোষ্টার ফেষ্টুন। শুধু অপেক্ষা ছিল দিনক্ষনের। ২জুন প্রতীক বরাদ্দের দিন ছিল। প্রস্তুত ছিল ব্যানার পোষ্টার। সারা রাত ধরে চলেছে লাগানো। উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া হয়েছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী হাতপাখা, জাতীয় পাটির সাইফুল ইসলাম স্বপনের লাঙ্গল ও জাকের পাটির নুরুল আলম গোলাপ ফুলের পোষ্টার এখনো নজরে পড়েনি।

সকাল থেকেই শিল্পকলা একাডেমীতে শুরু হয় প্রতীক বিতরনের অনুষ্ঠান। প্রথমে মেয়র প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক দেয়া হয়। প্রতীক পেয়েই আওয়ামীলীগের খায়রুজ্জামান লিটন সিএন্ডবি মোড়ে দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুারালে পুস্পস্তবক অর্পন করেন। এরপর তার পিতা মাতার কবর জিয়ারত করেন। জুম্মার নামাজে হযরত শাহমখদুম মাজার জিয়ারত করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় তার আনুষ্ঠানিক প্রচারনা। ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী তাদের হাতপাখা প্রতীক নিয়ে মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেল র‌্যালি নিয়ে হাতপাখা নাড়াতে নাড়াতে নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।

বিকেলে কাউন্সিরর প্রার্থীরা প্রতীক পেয়ে ছুটেছে ছাপাখানা আর ব্যানার তৈরী স্থানগুলোয়। আগে থেকে সবঠিক ছিল শুধু কি প্রতীক ভাগ্যে জোটে তার অপেক্ষা। অনেকেই তাদের কাংখিত প্রতীক পাননি তারপর যেটা ভাগ্যে উঠছে সেটি নিয়ে ব্যাস্ত। কে কার আগে ব্যানার ঝোলাতে পারে । বিশেষ করে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডের দূশ্যমান স্থান গুলোয়। পোষ্টার চেয়ে যাবে রাজপথ থেকে অলি গলি। বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে পোষ্টার গুলো পরিথিন দিয়ে লেমিনেটিং করা হয়েছে। যাতে ভিজে নষ্ট না হয়। সাদা কালো পোষ্টার। বিদ্যুতের খুটিতে লাগানো হচ্ছে ফেষ্টুন। সবার লক্ষ্য ভোটারদের আকৃষ্ট করা। কদর বেড়েছে এলাকার টিনএজদের। আগে এদের প্রার্থীরা তাদের কাছে ভিড়িয়েছে। তারাই এখন পোষ্টারের কাজটা করছে। তার জন্য দিন প্রতি দেড় থেকে দুশো টাকা। সাথে সকাল বিকেল নাস্তা। বাধের নীচের বস্তীর মানুষ গুলোর বড্ড কদর। তাদের লাগানো হচ্ছে লিফলেট বিতরনের কাজে। বিশেষ করে মহিলাদের। কে কত বড় শোডাউন দিতে পারে তার প্রতিযোগিতা। এ সময়টা নির্বাচনী টাকা আর ধরার জন্য যে যেভাবে পারে তা খুজে নেয়। আবার বুথে বুথে পোলিং এজেন্ট হবার জন্য এলাকার শিক্ষিত যুবক যুবতীদের কদর বেড়েছে। তাদের নিয়ে চলছে টানাটানি। যত দিন যাবে ততই বাড়বে নির্বাচনী উত্তাপ। বিকেল থেকেই নেমে গেছে মাইক। আগে থেকেই রেকর্ড করা গান ও উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে প্রচার শুরু হয়ে গেছে। সাবেক মেয়র লিটনের প্রচারনায় সবদিক দিয়েই বেশী। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও রেকর্ড করা বিভিন্ন শ্লোগান বাজানো হচ্ছে। মহল্লায় মহল্লায় কোন কোন কাউন্সিলর প্রার্থী ইতিমধ্যে মিছিল করে শোডাউন করে ফেলেছে। দিন যত যাবে ততই প্রচার প্রচারনার মাত্রাও বাড়বে। বাড়বে ভোটারদের কদর।