ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তগ্রাম বাজারের এক চা-দোকান থেকে একটি মাছের থলে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ র‍্যাব ১৪ এর একটি দল। পরে ব্যাগের ভেতরে থাকা মাছের পেট কেটে ইয়াবা বড়ির তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়। প্যাকেটগুলো লাল স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ঘটনাটি ঘটে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চা দোকানের সামনে লোকজনের ভিড়। ভিড় ঠেলে দোকানের ভেতরে গিয়ে দেখা যায়, দুটি বোয়াল, একটি করে তেলাপিয়া ও ইলিশ মাছ। এর মধ্যে একটি বোয়াল ও তেলাপিয়া মাছের পেট কাটা। কাটা মাছের পাশে পড়ে রয়েছে ইয়াবা বড়ি ভর্তি প্যাকেটগুলো। র‍্যাব ১৪ এর সাদা পোষাকের সদস্যরা সেখানে মোতায়েন ছিলো। তাঁরা সেখানে জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন র‍্যাব দাবি করেন, চা-দোকানীর ফ্রিজ থেকে মাছগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। দোকানীর নাম মো. আমিনুল (৫০)। তিনি দত্তগ্রাম বাজারের পাশে বলদার চর গ্রামের মৃত আসন আলীর পুত্র।

আমিনুল বলেন, তিনি দত্তগ্রাম বাজারে ছোটবেলা থেকে ব্যবসা করেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে মুখে মাস্ক পরিহিত এক ব্যক্তি মাছ ভর্তি প্লাস্টিকের থলেটি তাঁর দোকানে রেখে চলে যায়। এসময় তিনি বলে যান নাজমুল নামের এক ব্যক্তি থলেটি এসে নিয়ে যাবে। কিন্তু তিনি কোন নাজমুল জিজ্ঞেস করতে করতে ওই ব্যক্তি একটি অটোরিকশায় উঠে চলে যান। তিনি তাঁর পরিচিত দুজন নাজমুলকে মাছ রেখে যাওয়ার খবরটি জানান। কিন্তু দুজনেই তাঁকে বলেন, মাছের থলে তাঁদের নয়। এভাবে মাছের থলেটি তাঁর দোকানের বারান্দায় প্রায় দু'ঘন্টার মতো পড়ে থাকে। ওই সময় বিদ্যুৎ ছিল না। বিদ্যুৎ আসার পর মাছগুলো নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে তিনি সরল মনে থলেটি তাঁর ফ্রিজে রেখে দেন। এ সময় সাদা পোষাকের একটি দল এসে থলেতে কী আছে জানতে চান। আমিনুল বলেন, তখন তিনি কিছু বলতে পারেননি। পরে মাছের পেট কেটে লাল প্যাকেট বের হলে এতে তিনি হতভম্ব হয়ে পড়েন। দত্তগ্রাম বাজার এলাকার লোকজন আমিনুলকে একজন সজ্জন ব্যক্তি বলেই জানেন। এ সময় মাছ ও ইয়াবা বড়ির ছবি তুলতে গেলে র‍্যাব সদস্যরা বাঁধা দেন।

এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনাটি সাংবাদিকদের পড়ে জানানো হবে। এ বিষয়ে তিনি দত্তগ্রাম বাজারে দাঁড়িয়ে কোনো তথ্য দিতে রাজী হননি। তবে তাঁদের ময়মনসিংহ কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলেন।