ইন্টারনেট ব্যবহার করা ৮৫.৯% শিক্ষার্থী মানসিক সমস্যার শিকার
১১ জুন ২০২৩, ১০:২৮ এএম | আপডেট: ১১ জুন ২০২৩, ১০:২৮ এএম
পড়ালেখাসহ বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে জীবনের কোনো না কোনো সময় মানসিক সমস্যার শিকার হয়েছে ৮৫.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের এই মানসিক সমস্যার পেছনে ভূমিকা রেখেছে ইন্টারনেট।
সম্প্রতি এক হাজার ৭৭৩ জন শিক্ষার্থীর ওপর পরিচালিত এক জরিপে এ তথ্য পেয়েছে আঁচল ফাউন্ডেশন। গতকাল শনিবার ভার্চুয়াল এক সংবাদ সম্মেলনে ‘শিক্ষার্থীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রভাব : কতটুকু সতর্ক হওয়া জরুরি’ শীর্ষক জরিপটি প্রকাশ করা হয়।
জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৭২.২ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহারে তাদের মানসিক সমস্যার কথা জানিয়েছে। এর মধ্যে ইন্টারনেটকে পুরোপুরি দায়ী করে ২৬.১ শতাংশ, মোটামুটি দায়ী করে ৫৯.৮ শতাংশ। মানসিক সমস্যার জন্য ইন্টারনেটকে দায়ী করে না ৮.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জরিপে শিক্ষার্থীরা জানায়, ইন্টারনেটে সময় ব্যয় করার কারণে স্বাভাবিক জীবনে প্রচণ্ড নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ৩৪.৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর।
কিছুটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ৫৭.২ শতাংশ শিক্ষার্থীর। প্রভাব বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ৫৯.৬ শতাংশ শিক্ষার্থী মনে করে তাদের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগ হারানোর পেছনে দায়ী ইন্টারনেট ব্যবহার। ১৭.৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটে পর্নো দেখা, সাইবার ক্রাইম, বাজি ধরা ও বুলিয়ের মতো অপ্রীতিকর কাজে যুক্ত হয়ে পড়েছে। ২৩ শতাংশ ধীরে ধীরে অন্তর্মুখী হয়ে পড়েছে, ৩৫.৬ শতাংশ ডিপ্রেশনসহ বিভিন্ন ধরনের মানসিক চাপ অনুভব করেছে এবং ২০.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
জরিপের ফলাফল নিয়ে আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট তানসেন রোজ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ অবসর সময় কাটানোর জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। বিশ্বায়নের এই সময় ইন্টারনেট ব্যবহার না করলে আমাদের তরুণ প্রজন্ম পিছিয়ে পড়বে। কিন্তু ইন্টারনেটকে তারা বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে চায়। কারণ আমাদের দেশে বিনোদনের ক্ষেত্র সংকুচিত হয়ে পড়েছে। পর্নো দেখা, অনলাইনে গেম খেলা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও দেখা, এসব কাজে শিক্ষার্থীদের বড় একটা অংশ যুক্ত থাকে।
পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি : জরিপে দেখা গেছে, ৩২.৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ইন্টারনেটে পর্নোগ্রাফি দেখে। পর্নোগ্রাফি দেখার পর এই কাজে আগ্রহ অনুভব করে ১৩.৬ শতাংশ, হীনমন্যতায় ভোগে ২৫.৫ শতাংশ, বিপরীত লিঙ্গের মানুষকে অসম্মানের দৃষ্টিতে দেখে ১৫.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী।
ইন্টারনেট আসক্তিতে পড়ালেখা হুমকিতে : জরিপে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ৯১ শতাংশ ইন্টারনেটে আসক্ত। এর মধ্যে খুব বেশি আসক্ত ২২.৪ শতাংশ, মোটামুটি আসক্ত ৪৭.৭ শতাংশ, অল্প আসক্ত ২০.৯ শতাংশ। ৮০.১ শতাংশ শিক্ষার্থী জানায়, পড়ালেখার সময় প্রচণ্ড আসক্তি জেগে ওঠে।
বাড়ছে অপরিমিত ব্যবহার : অপরিমিত ইন্টারনেট ব্যবহার করছে ৬২.৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬.২ শতাংশ শিক্ষার্থী দিনে ১১ ঘণ্টার বেশি অনলাইনে থাকে। ১৯.৫ শতাংশ ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে। ৩৬.৬ শতাংশ শিক্ষার্থী পাঁচ থেকে সাত ঘণ্টা এবং ৩২.৩ শতাংশ দুই থেকে চার ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
আঁচল ফাউন্ডেশনের ১০ প্রস্তাব : এ সমস্যা সমাধানে ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্কুল-কলেজে ডিজিটাল লিটারেসি প্রগ্রাম চালু করাসহ আঁচল ফাউন্ডেশন ১০টি প্রস্তাব দিয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
পাকিস্তান দলে ফিরলেন ৩৭ বছর বয়সী নোমান
বদলে গেল চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালের ভেন্যু
লিগ কাপে সিটি ও চেলসির জয়
আনচেলত্তির মাইলফলক ম্যাচ জয়ে রাঙাল রিয়াল
৩০ পেরোনোর আগেই ফুটবলকে বিদায় বলে দিলেন জিদানপুত্র
ব্রুকের সেঞ্চুরিতে অজিদের জয়রথ থামিয়ে টিকে থাকল ইংল্যান্ড
বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন বাইডেনের
পাবর্ত্য চট্টগ্রামে দুর্গম পাহাড়ি সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন সেনা প্রধানের
নিউইয়র্কে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সাথে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক
আম্মু তোমাকেও আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে
দেশের মাজার রক্ষা করতে হাইকোর্টের নির্দেশ
বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য চীন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
ক্ষোভ বাড়ছে ভারতে
ভারতীয় সাংবাদিকদের এড়িয়ে গেলেন ড. ইউনূস
সোনারগাঁওয়ে তিতাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর হামলা, আহত ৮
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উপাচার্য চায় পবিপ্রবির গ্রাজুয়েটবৃন্দ
হামজাকে পাওয়ার আরও কাছে বাংলাদেশ
বান্দরবানে জামাতুল আনসারের ৩১ সদস্য কে ৪ মামলায় জামিন
সাগরে লঘুচাপ, চার সমুদ্রবন্দরে বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত
সকল অপকর্মে জড়িতদের বিরুদ্ধে যার যার অবস্থান থেকে সামাজিক আন্দোলন জোরদার করতে হবে -চকরিয়ায় নারী সমাবেশে বক্তারা