চোরাকারবারির নিরাপদ স্পট ছাতক-দোয়ারার সীমান্ত !
২৪ জুন ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম | আপডেট: ২৪ জুন ২০২৩, ০৪:২৩ পিএম
সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারার সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে প্রতিদিন দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে চোরাকারবারিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সীমান্তের ওপার থেকে চোরাই পথে আনা হচ্ছে গরু-মহিষ, মদ-গাজা, হিরোইন, প্রেন্সিডিলসহ বিভিন্ন ধরণের পণ্য। সীমান্তরক্ষি বিজিবি, ছাতক ও দোয়ারা থানা পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে হরহামেশাই সড়ক পথে ট্রাক- পিকআপ যোগে এবং নদী পথে পরিবহন হচ্ছে এসব অবৈধ পণ্য। আমদানিকৃত গরু মহিষসহ ভারতীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন হাট-বাজারে। রহস্যজনক কারণে প্রশাসন নিরব থাকায় চোরাকারবারিরা নির্বিগ্নে তাদের এ রমরমা অপকর্ম করে যাচ্ছে। ফলে রাতারাতি চোরাকারবারিরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছবনে যাচ্ছে। বেড়েছে চোরাকারবারিদের দৌরাত্ম্য।
জানা যায়, ছাতক ও দোয়ারাবাজার উপজেলার উত্তর সীমান্তে রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য। ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও, নোয়াকোর্ট ছাড়া সবগুলো সীমান্ত স্পটগুলো রয়েছে দোয়ারাবাজারে। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে কৌশলে প্রতিদিন কোটি টাকার মালামাল অবৈধ পথে দেশের অভ্যন্তরে ঢুকছে। আর এসবের নেতৃত্বে রয়েছে সীমান্তের শক্তিশালী একাধিক চক্র। সীমান্তরক্ষিদের সাথে গোপন আতাত করেই সিন্ডিকেটরা দীর্ঘদিন ধরে এই পথে চোরাচালান আনছে। চোরাকারবারিদের নিরাপদ রুট হচ্ছে বাংলাবাজার ইউনিয়নের কলাউড়া এলাকা। সীমান্তের ১২৩৪ থেকে ১২৩৬ পর্যন্ত পিলারের নেই কোন কাঁটাতারের বেড়া। যে কারণে এই পথ চোরাকারবারিদের জন্য নিরাপদ স্পট। এ চোরাইপথে প্রতি রাতে দেশে অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে ৩ থেকে ৪শ’ মহিষ ও ২শতাধিক গরু। এছাড়া মদ, গাজা, হিরোইন, পেন্সিডিল, অস্ত্র, মোটর সাইকেল, শাড়ী কাপড়, নাসির বিড়ি, কসমেটিক্স, রান্নার মসলা, সাবানসহ চোরাই পথে প্রত্যেহ প্রবেশ করছে ভারতীয় চিনি, পেঁয়াজসহ নানা পণ্য। এ রুট ছাড়াও ইউনিয়নের শিমুলতলা, মৌলাপাড়, বাঁশতলা, ঝুমগাঁও, পেকপাড়া, বোগলা ইউনিয়নের বাগানবাড়ি, গাছুগড়া ও ইদু কোনা, লক্ষিপুরের ভাঙ্গাপাড়া, মাঠগাঁও, নরসিংপুরের শ্যামেরগাঁও, ত্রিপুরা, চারগাঁও ও সোনাপুর সীমান্ত দিয়ে দেশে ঢুকছে প্রতিরাতে ভারতীয় পণ্য। সীমান্ত এলাকার সিন্ডিকেটের প্রতিটি সদস্যদের বাড়ি-ঘরে যেন একেকটা ভারতীয় অবৈধ মালামালের মিনি হাট-বাজার! তাদের বাড়ি থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আরেক শ্রেনির চোরাকারবারিরা এসব পণ্য ক্রয় করে ছাতক সুরমা নদীর সেতু হয়ে ছাতকবাজার, গোবিন্দগঞ্জ বাজার, জাউয়াবাজার, দোলারবাজার, জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে এবং সিলেট শহরে পাইকারী মূল্যে বিক্রয় করে যাচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, সীমান্তের বিছনাকান্দি থেকেও সুরমা নদী হয়ে নৌকা যোগে চোরাচালান ছাতকের গোবিন্দগঞ্জে আসে। এ কারণে গোবিন্দগঞ্জ বাজারসহ আশপাশ এলাকায় হাত বাড়ালেই মিলছে মদ, গাজা, হিরোইন, ইয়াবা, বাবা, ভারতীয় চিনি, পেঁয়াজ, কসমেটিক্সসহ নিষিদ্ধ পণ্য। ছাতক থানা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত চোরাচালান ও মাদক মামলায় ৪৮জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। একই সময়ে দোয়ারাবাজার থানায় ১০টি মাদক ও ১৩টি চোরাচালান মামলা দায়ের হয়েছে। সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার (ছাতক-দোয়ারার সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক জানান, চোরাচালানের বিরুদ্ধে তাদের নীতি জিরো টলারেন্স। চোরাচালানের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
হঠাৎ ঝড়ে লণ্ডভণ্ড পটুয়াখালীর বাউফল
বড় পরাজয়ের মুখে বাংলাদেশ
বেগমগঞ্জে নামাজ পড়ে ফেরার পথে প্রাণ গেল বৃদ্ধের
কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামানগ্লোবাল ইসলামিক ফাইন্যান্স অ্যাওর্য়াডস পেল ইসলামী ব্যংক
কোন শ্রমিক তার কারখানার ক্ষতি করবে না: শ্রম সচিব
নাঙ্গলকোটে প্রাথমিক শিক্ষা পদকে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যারা
সিলেটে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে নিহত ২
আ'লীগের চিহ্নিত সুবিধাভোগী সিলেট করিমউল্লাহ মার্কেট মালিকপক্ষের প্রতারণার শিকার এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর আর্তনাদ !
জুলাই-আগষ্ট বিপ্লবে শহিদ ছাত্র-জনতা চোখে আঙুল দিয়ে অনেক কিছু দেখিয়ে গেছেন-বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি
লৌহজংয়ে বিএনপির বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
শান্তর ফিফটির পর দিনের খেলার ইতি
নিউইয়র্কে বৈঠকে বসছেন তৌহিদ-জয়শঙ্কর
ছক্কা হাঁকানোর পরের বলেই আউট মুশফিক
ঝাড়খন্ডে কথিত বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য অমিত শাহের
মুমিনুলকেও হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ
রাবির মাদার বখ্শ হলের পানির ট্যাংক থেকে উদ্ধার হলো দেশীয় অস্ত্র
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ড. ইউনূসের ভাষণ ২৭ সেপ্টেম্বর
ঢাবির হত্যার ঘটনায় প্রভোস্টকে অব্যাহতি
আইন-শৃঙ্খলা অবনতির চেষ্টা করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না: রাঙামাটিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মেক্সিকোতে মাদক কারবারিদের মধ্যে সংঘর্ষে দুই সপ্তাহে নিহত ৫৩