অপ্রসস্ত বরিশালÑফরিদপুরÑঢাকা জাতীয় মহাসড়কের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় যত্রতত্র পার্কিং সহ অবৈধ স্থাপনায় দুঃসহ যানযটে বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চল থেকে রাজধানী ও সন্নিহিত এলাকা ছাড়াও উত্তরবঙ্গ মুখি কর্মস্থলমুখি মানুষের চরম দূর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে। ঈদের আগের ৩-৪ দিনও ঘরমুখি মানুষকে চরম বড়িম্বনা ভোগ করতে হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষকে। অপ্রসস্ত এ মহাসড়করে ফরিদপুরের ভাংগা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার অতিক্রমেই গত দিন দশেক যাবত ৪-৬ ঘন্টা সময় লাগছ।ে বরিশালÑফরিদপুর জাতীয় মহাসড়করে নানামুখি দুরবস্থার জন্য ঈদরে তনি দনি আগে থকেে ঈদ পরবর্তি কর্মস্থল মুখি মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে সীমাহীন বিড়ম্বনার শিকার গত শণবিার দুপুর থকে।ে
পদ্মা সতেু হয়ে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রসেওয়ে পার হয়ে ভাংগাতে পৌছার পরে দক্ষণি ও দক্ষণি-পশ্চমিাঞ্চলের ২১টি জলোয় সংযুক্ত মহাসড়কগুলো মাত্র ১৮-২৪ ফুট প্রসস্ত । অথচ পদ্মা সেতু চালু হবার পরে এ অঞ্চলের নৌযোগাযোগ প্রায় বন্ধ হয়ে মহাসড়কগুলোতে যানবাহন বেড়েছে দ্বিগুনেরও বেশী। কিন্তু মহাসড়কগুলো বাড়তি যানবাহন চলাচলের সক্ষমতা যেমনি অর্জন করেনি, তেমনি এলক্ষে পদক্ষেপগুলো পরিস্থিতির উন্নয়নকে সুদুর পরাহত করে তুলছে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবাহল মহল।
ঈদ পূর্ব ছুটি শুরু হবার আগের দিন বিকেল থেকে হাজার হাজার মানুষ রাজধানী থেকে পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে বিপুল সংখ্যক যানবাহনে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চল ছাড়াও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলায় ছুটতে শুরু করেন। কিন্তু নাড়ীর টানে ঘরমুখি মানুষের চরম বিড়ম্বনার কারণ হয়ে ওঠে বরিশাল-ফরিদপুর জাতীয় মহাসড়ক সহ এ অঞ্চলরে বভিন্নি মহাসড়কগুলো ।
ফরিদপুরের ভাংগা থেকে বরিশাল পর্যন্ত ৯৫ কিলোমিটার এবং সেখান থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত আরো ১০৮ কিলোমিটার মহাসড়কই অপ্রসস্ত। ফলে গত ১০ দিন ধরে চরম বিড়ম্বনা আর দূর্ভোগে ঈদরে আগরে ঘরমুখি মানুষরে মত ঈদ পরবর্তী দক্ষিণাঞ্চলের কর্মস্থল মুখি মানুষও। পরিবহন মালিক ও কর্মীদের মতে, বিগত ঈদ উল ফিতরের মত ঈদ উল আজহাতেও অন্তত ১০ লাখ মানুষ বরিশাল সহ দক্ষিনাঞ্চলে যাতায়াত করছেন। কিন্তু নিকট জনের সাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে বাড়ি ফেরার মত কর্মস্থলে ফিরতেও মহাসড়কের সীমাহীন বিড়ম্বনা তাদের সব আনন্দকে ম্লান করে দিচ্ছে।
ভাংগাতে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ে শেষ হবার পরে বরিশাল মুখি মহাসড়ক শুরুতেই বিড়ম্বনা আরাম্ভ হচ্ছে। ভাংগাতে হাইওয়ে পুলিশ এবং জেলা পুলিশের দুটি থানা থাকলেও এখানে বরিশাল মুখি মহাসড়কের শুরুতেই বিশৃংখলার শুরু। এরপর মহাসড়কটি বরিশালের দিকে যতই এগুচ্ছে, ততই বিশৃংখলার হাত ধরে বিড়ম্বনা। বরিশালে গৌলনদীতেও একটি হাইওয়ে থানা সহ জেলা পুলিশের আরেকটি থানা রযেছে। কিন্তু উপজেলা সদরের পাশেই অপ্রসস্ত মহাসড়কটির ওপরেই দোকানপাট থেকে শুরু করে যানবাহনের অবৈধ পার্কিং সব সাচ্ছন্দকে কেড়ে নিচ্ছে।
মহাসড়কটির ভাংগা, টেকেরহাট, মোস্তফাপুর, ভুরঘাটা, গৌরনদী,বাটাজোড় হয়ে সব শেষে বরিশাল মহানগরীর নথুল্লাবাদে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল,নবগ্রাম রোড-চৌমহনী, আমতলা মোড়, সাগরদী বাজার ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল এলাকায় বিশৃংখলা আর যানযট লেগেই আছে। গত সপ্তাহখানকে ধরেই চরম বিড়ম্বনা অপেক্ষা করছে এ জাতীয় মহাসড়ক ধরে চলা মানুষগুলোর জন্য। এমনকি মাঝেই দিনেসর যানযট মধ্যরাত পেরিয়ে সকালের পরে অনেক বেলা পর্যন্তই বরিশাল মহানগরীর নথুল্লাবাদ, নবগ্রাম রোড-চৌমহনী ও সাগরদী এলাকায় ভয়াবহ যানযট অব্যহত থাকছে।
ভাংগা ও গৌরনদী হাইওয়ে পুলিশ ছাড়া বরিশাল মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের আন্তরিকতার ঘাটতির সাথে জনবল সংকটেও ঘরমুখি ফেরা মানুষগুলোর মত কর্মস্থল মুখিদেরও বিড়ম্বনা অনেকগুন বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, যানবাহন চলাচলে শৃংখলা বিধানের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এ অবস্থাতইে রাজধানী ঢাকা ছাড়াও উত্তরবঙ্গমুখি জাতীয় মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নীত করার একটি প্রকল্প গত প্রায় ১০ বছর ধরে নানা সমক্ষিায় আবদ্ধ। ফরিদপুরÑবরিশালÑকুয়াকাটা/পায়রা মহাসড়কটি ৬ লেনে উন্নয়নের লক্ষ্যে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সহায়তায় ২০১৫ সাল থেকে সম্ভাব্যতা সমিক্ষা সহ বিস্তারিত নকশা প্রনয়ন সম্পন্ন হলেও প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা ব্যায়সাপেক্ষ প্রকল্পটি চরম অনিশ্চয়তার আবর্তে। মহাসড়কটি উন্নয়নে দেশীয় অর্থে ভ’মি অধিগ্রহনে ১৮শ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে একনেক-এর অনুমোদন সহ অর্থ বরাদ্ব হলেও প্রকল্প মেয়াদ শেষ হবার দু বছর পরেও অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শেষ হয়নি।
এমনকি অর্থের সংস্থান না হওয়ায় মহাসড়কটি প্রাথমিক পর্যায়ে ফরিদপুর থেকে বরিশাল পর্যন্ত ১২৪ কিলোমিটার ৬ লেনে উন্নীত করণের সিদ্ধান্ত হলেও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ২০১৫ সালের সম্ভাব্যতা সমিক্ষা সহ নকশা সংশোধন করতে বলেছে। এ লক্ষে পদক্ষেপ গ্রহন করা হলেও আগামী ডিসেম্বরের আগে বরিশালÑফরিদপুর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমিক্ষা সহ পরিপূর্ণ নকশা প্রনয়ন সম্ভব হচ্ছেনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সড়ক অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল সূত্রের মতে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের এডিপি’তে প্রকল্পটি অন্তভর্’ক্তির সম্ভবনা রয়েছে। তবে ডিপিপি একনেক-এর অনুমোদন ও দাতা সংগ্রহ করে কাজ শুরু হতে কত বছর লাগবে তা বলতে পারছেন না কেউ।
কিন্তু ফরিদপুর থেকে বরিশাল হয়ে মহাসড়কটি পায়রা বন্দর সহ কুয়াকাটা পর্যন্ত উন্নয়ন না হলে পদ্মা সেতু ও বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়ের পরিপূর্ণ সুফল দক্ষিণাঞ্চলে পৌছবে না। এ ব্যাপারে সড়ক অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি ‘বরিশালÑফরিদপুর মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে’ বলে জানান।