বাড়ির মালিক ও চিকিৎসকদের 'গাফিলতিতে' কুবি শিক্ষকের মৃত্যু; মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা
২৩ জুলাই ২০২৩, ০৮:০৯ পিএম | আপডেট: ২৪ জুলাই ২০২৩, ১২:০৫ এএম
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহ একলিমুর রেজার মৃত্যুর ঘটনায় ভাড়া বাড়ির মালিক ও চিকিৎসকদের গাফিলতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও বিভিন্ন স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় ভাড়া বাড়ির মালিকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের অবহেলার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের অপসারণ, একলিমুর রেজার নামে সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মেডিকেল সেন্টার স্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক ডাক্তার নিয়োগ, স্যারের প্রাপ্য আর্থিক প্রণোদনা এক মাসের মধ্যে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করার দাবি জানান।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কোন সাড়া না পেয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তারা। পরে উপ-উপাচার্যের আশ্বাসে অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেওয়া হয়।
পরে বিভাগের শিক্ষকদের সাথে বসে ছয় দফা দাবিতে রেজিস্টার বরাবর স্বাকরলিপি প্রদান করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের মৃত্যু যখন চিকিৎসকদের অবহেলায় হয়, সেটা কখনো মেনে নেওয়ার না। আমাদের শিক্ষক যেদিন মারা গেছেন সেদিন আমাদের অন্যান্য শিক্ষকরা কেন তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেল। যেখানে চিকিৎসার নূন্যতম সেবা নেই।
তারা আরও দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের ডাক্তারদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তারা কোন ধরণের সহযোগিতা করতে পারল না। তাহলে আমাদের মেডিকেলের দরকার কি। শুধুমাত্র নাপা,স্যালাইন, গ্যাস্ট্রিকের ঔষুধ ছাড়া আর কিছু নেই এখানে। আমরা এখানকার ডাক্তারদের অপসারণ চাই এবং একটি আধুনিক মেডিকেল সেন্টারের দাবি জানাচ্ছি।
কর্মসূচির সমন্বয়ক ইমরুল হাসান বলেন, রেজা স্যারের মৃত্যুর সময় চিকিৎসকদের অবহেলা, বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসকদের অসহযোগিতাসহ যেসব অন্যায় করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আজকে আন্দোলন করি আমরা। আমরা প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি তারাও আশ্বস্ত করেছেন ব্যবস্থা গ্রহণের। যদি আমাদের দাবি মেনে ব্যবস্থা নেওয়া না হয় তাহলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।
এদিকে শিক্ষককের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের গাফিলতি ছিল না দাবি করে মেডিকেল সেন্টারের চীফ মেডিকেল অফিসার ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। আমাকে যখন প্রক্টর স্যার কল দেয়, তখন আমি ট্রমা হাসপাতালে দায়িত্বরত ছিলাম। তখন আমি আমার সহকর্মীকে দিয়ে এম্বুলেন্স ম্যানেজ করেছি, পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি উত্থাপন করেছে তাদের সাথে আমি একমত পোষণ করছি। আগামী মঙ্গলবার উপাচার্য মহোদয় আসলে এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
নিউ ইয়র্কের আদালতে অভিযুক্ত লুইজি
কিউবায় সমাবেশ