রাবি মিলনায়তনের সংস্কার কাজে ৭-৮ কোটি টাকার অনিয়ম; সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা
০১ আগস্ট ২০২৩, ০৯:৫৪ পিএম | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২৩, ১২:০১ এএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনের সংস্কার কাজে ৭-৮ কোটি টাকার অনিয়ম, কয়েকটি দোকান করতেই ১ কোটি টাকা খরচ, কৃষি প্রকল্পের ২ কোটি টাকা লোপাট এসব বিষয় নিয়ে কথা বলাতেই প্রশাসনের একটি অংশ আমার পিছনে লেগেছে বলে দাবি করেন সদ্য সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা এম তারেক নূর।
এম তারেক নূরের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ লাখ টাকার নয়ছয়ের অভিযোগ এনে গত ২৯ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৪ লাখ টাকা সমন্বয় না করার অভিযোগ করা হয়। তবে প্রশাসনের এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলছেন তারেক নূর। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে কথা বলার কারণেই তাকে ফাঁসানো হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক এই ছাত্র উপদেষ্টা বলেন, ‘' যে কোনো অনুষ্ঠান করার পরে মোট খরচ হিসেব করে অফিসে জমা দেওয়াকে সমন্বয় বলে। সমন্বয়ের বিষয়টা সাধারণত অফিস পালন করে, ফাইল মেইনটেইন করার দায়িত্ব আমার না। অনেক সময় অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ হয়ে যায়। গত ১৪ ও ১৬ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠান করতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ হয়েছিল। সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন না দেওয়ায় সমন্বয় করা যায়নি। এরকম ঘটনা অনেক রয়েছে।
কেন সমন্বয় করা হয়নি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'যেকোনো অনুষ্ঠান একটা কমিটির মাধ্যমে হয়। যেটার সভাপতি থাকেন একজন প্রো-ভিসি এবং সদস্য সচিব থাকেন ছাত্র উপদেষ্টা। এছাড়া, কমিটির সদস্য থাকেন বেশ কয়েকজন। এখানে দায়ের কথা বলতে গেলে, দায়তো পুরো কমিটির ওপর বর্তাবে। শুধু ছাত্র উপদেষ্টার একার দায় হবে কেনো?'
তিনি আরও বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা অফিসে আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন, সমন্বয়টা ধীরেধীরে হয়। কারণ, আমাদের এতোটা ব্যস্ত থাকতে হয় যে, এটা করার সময় বের করা কঠিন হয়ে যায়। সাধারণত একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি সমন্বয় না করলে, তার রিটায়ারমেন্টের সময় টাকাটা কেটে নেওয়া হয়। আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখবেন, ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টের একজন চেয়ারম্যান দশ বছর আগের বিল কিছুদিন আগে সমন্বয় করেছে।'
রেজিস্ট্রার দপ্তর থেকে বিল সমন্বয় করার চিঠি পাওয়ার দুইমাস হয়ে গেলেও কোনো সাড়া না দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'সমন্বয় করার দায়িত্ব আমার। বকেয়ার বিষয়টাতো আমাকে বলতে হবে। কি কি করেছে সেটার সুনির্দিষ্ট লিস্টসহ কতটাকা বাকি আছে সে বিষয়ে আমার কাছে আসতে হবে পাওনাদারদের। কাজটা একটা কমিটির মাধ্যমে হয়। কোনো বাকি থেকে থাকলে, তা পরিশোধের দায়িত্ব ওই কমিটির।'
উল্লেখ্য, গত মে মাসে রেজিস্ট্রার দপ্তরের পাঠানো এক চিঠিতে এম তারেক নুরকে দ্রুত পাওনা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, ছাত্র উপদেষ্টা থাকাবস্থায় বিভিন্ন কাজে ৬৭ দফায় অগ্রিম ১৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ১৫০ টাকা গ্রহণ করেছে এম তারেক নুর। কিন্তু মাত্র ৬ লক্ষ ১৬ হাজার ১৮৫ টাকার সমন্বয় করেছেন। বাকি ১৩ লক্ষ ৮১ হাজার ৯৭০ টাকা সমন্বয় করেন নি। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে এই টাকার সমন্বয় করা কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনের এমন চিঠির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।##
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গোলশূন্য ড্রয়ে থামল চেলসির জয়রথ
এনার্জিপ্যাকের বার্ষিক সাধারণ সভায় ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ
আমার খাবার কি ফর্টিফায়েড?
হাসিনা পরিবারের নামে ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়, ইউজিসি তাকিয়ে আছে সরকারের দিকে
ব্র্যাক ব্যাংকের রেমিটেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন
দিনাজপুর জেলা শিক্ষা অফিসারের বিদায়ী সংবর্ধনা
নরসিংদীর শিবপুরে প্লাস্টিক কারখানা আগুনে পুড়ে ছাই
ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স শূন্য যে ১০ ব্যাংকে
বিএনপি নির্বাচন ছাড়া ক্ষমতায় আসতে চায় না: আব্দুস সালাম
সরকারের আশ্বাসে শাহবাগ থেকে সরে গেলেন বিএসএমএমইউ ট্রেইনি চিকিৎসকরা
সাকাকে হারিয়ে চিন্তিত আর্সেনাল কোচ
৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের প্রস্তাব জমা হবে : বদিউল আলম মজুমদার
সিনিয়র সচিব ড. নাসিমুল গনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বদলী
মানিকগঞ্জের ঘিওরে ছাত্রদল নেতা লাভলু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন
বঙ্গবাজার পুড়ে যাওয়া মামলায় একজন গ্রেফতার
জনগণের প্রত্যাশা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীর গতিতে চলছে: আমিনুল হক
জমকালো আয়োজনে পালিত হলো বান্দরবান সেনাবাহিনীর ৬৯ ব্রিগেডের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদের সঙ্গে তুর্কী এমপির সাক্ষাৎ
বিহারীরা কেমন আছে
ব্রাহ্মণপাড়ায় ধর্ষণের শিকার হতদরিদ্র প্রতিবন্ধী যুবতীর সন্তান প্রসব! আতংকে ভুক্তভোগী পরিবার