কেরুর মদ বিক্রিতে রেকর্ড, মুনাফা ১৫২ কোটি টাকা
০৩ আগস্ট ২০২৩, ০২:২৯ পিএম | আপডেট: ০৩ আগস্ট ২০২৩, ০২:২৯ পিএম
এক বছরে মদ বেচে ১৫২ কোটি টাকা লাভ করেছে দর্শনার কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। এ অর্থ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৪৩৮ কোটি ৯১ লাখ টাকার মদ বিক্রি করেছে। যা কোম্পানির ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিক্রির রেকর্ড। বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোশাররফ হোসেন এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে শুধু ডিস্টিলারি ইউনিটে (মদ) কোম্পানি সর্বোচ্চ বিক্রি হয়েছে। এবার ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার প্রুফ লিটার মদ বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ প্রুফ লিটার বেশি। ২০২১-২২ অর্থ বছরে হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় সেই বছর ১০ লাখ প্রুফ লিটারের বেশি মদ বিক্রি করে কোম্পানিটি।
মোশাররফ হোসেন জানান, অন্যান্য ইউনিটের সঙ্গে সমন্বয় হলে এ অর্থ বছরে কেরু অ্যান্ড কোম্পানি ৮০ কোটি টাকার বেশি লাভ করবে। চূড়ান্ত অডিটের পর এর পরিমাণ কম-বেশি হতে পারে।
তিনি জানান, এ বছর ডিস্টিলারি বিভাগ থেকে ৫৯ লাখ ৬৭ হাজার লিটার মদ উৎপাদন হয়েছে। এরমধ্য ১৬ লাখ ৪২ হাজার ৬১৯ লিটার বিলেতি মদ ও ৩২ লাখ ৮০ হাজার ২২০ লিটার বাংলা মদ উৎপাদন হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৩৮ সালে চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় প্রতিষ্ঠিত হয় কেরু অ্যান্ড কোম্পানি। বর্তমানে ছয়টি ইউনিটে চিনি, ডিস্টিলারি, ফার্মাসিউটিক্যালস, বাণিজ্যিক খামার, আকন্দবাড়িয়া খামার (পরীক্ষামূলক) এবং জৈব সার উৎপাদন করছে প্রতিষ্ঠানটি। এরমধ্যে শুধু ডিস্টিলারি (মদ) ইউনিটই লাভজনক।
সূত্র জানায়, ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৪২৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি। ওই বছর রাজস্ব আদায় ও কোম্পানি পরিচালনাসহ সব খরচ বা ৪৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা লাভ করে। ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৩১৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকার মদ বিক্রি করে কোম্পানি। ওই বছর লাখ হয় ১৪ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
কোম্পানির হিসেব অনুযায়ী, প্রতিমাসে প্রায় ২১ হাজার কেসেরও বেশি মদ বিক্রি করছে কেরু। প্রতিষ্ঠানটি ১৭৫ মিলিলিটার, ৩৭৫ মিলিলিটার ও ৭৫০ মিলিলিটারের বোতলে বিভিন্ন ধরনের মদ বাজারজাত করে। একটি কেসে ৭৫০ মিলিলিটারের ১২টি, ৩৭৫ মিলিলিটারের ২৪টি এবং ১৭৫ মিলিলিটারের ৪৮টি বোতল থাকে।
কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ডিস্টিলারি ইউনিট নয়টি ব্র্যান্ডের মদ তৈরি করে। এরমধ্যে- ইয়েলো লেভেল মল্টেড হুইস্কি, গোল্ড রিবন জিন, ফাইন ব্র্যান্ডি, চেরি ব্র্যান্ডি, ইম্পেরিয়াল হুইস্কি, অরেঞ্জ কুরাসাও, জারিনা ভদকা, রোজা রাম এবং ওল্ড রাম। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু অ্যান্ড কোম্পানির তিনটি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে। এছাড়া সারাদেশে কেরুর ১৩টি ওয়্যারহাউস রয়েছে।
কেরুর অফিস সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অবস্থিত কারখানা আরও বেশি উৎপাদনে সক্ষম। তাই ১০২ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে উৎপাদন নিতে কাজ চলমান। এখানে অ্যালকোহলের পাশাপাশি ভিনেগার, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সার, চিনি ও গুড়ের মতো অন্যান্য পণ্যও উৎপাদন করে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেটদুনিয়ায় তোলপাড়
জার্মানির ক্রিসমাস মার্কেটে হামলায় ৯ বছরের শিশুর মৃত্যুতে শোকের ছায়া
স্ত্রী-কন্যাসহ সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুরের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষকর্মী নিতে আগ্রহী লিবিয়া
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি
রাওয়ার নেতৃত্বে আবদুল হক ও ইরশাদ সাঈদ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক