'ঐতিহ্যের ধারক ঈদগাহ 'জাহানারা' ইসলাম হবে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়'
০৪ আগস্ট ২০২৩, ০৭:৪১ পিএম | আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২৩, ১২:০২ এএম
নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার একমাত্র প্রাচীনতম নারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদগাহ জাহানারা ইসলাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষা সহ বিভিন্ন কার্যক্রমে সাফল্য ধরে রেখেছে। এসএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠানটি গত বছর শতভাগ পাশ করে কক্সবাজার জেলায় সর্বোচ্চ স্থান দখল করে নেয়। সদ্য প্রকাশিত এবারের ফলাফলে পাশের হারে উপজেলা প্রথম হয়েছে। কবি নুরুল হুদা সড়ক সংলগ্ন হাজারো বৃক্ষের সুশীতল ছায়াঘেরা মনোরম পরিবেশে চারপাশে বাউন্ডারী দেয়াল বেষ্টিত কঠোর নিরাপত্তায় বিদ্যালয়টি পরিচালিত হয়ে আসছে।
স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ও দানশীল ব্যক্তি নজরুল ইসলাম চৌধুরী লেদু মিয়া নারী শিক্ষা প্রসারে নিজের নামের "ইসলাম" শব্দ এবং তার সহধর্মীনি জাহানারা বেগমের "জাহানারা" শব্দটি যোগ করে এলাকার নাম ঈদগাহ ব্যবহার করে ঈদগাহ জাহানারা ইসলমা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ১৯৮৫ সালে । বিদ্যালয়ে ২ একর ২৬ শতক জায়গা রয়েছে। প্রতষ্ঠালগ্ন হতে পাঠক্রমের পাশাপাশি সহ-পাঠক্রমিক কার্যাবলীতে ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে বিদ্যালয়টি। বৃক্ষ রোপনে সরকারের জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্তের পাশাপাশি ফুটবল খেলায় বিভাগীয় পর্য়ায়ে উন্নীত এবং ক্রিকেট, ভলিবল ও বিতর্ক প্রতিযোগিতায় রয়েছে বেশ সাফল্যগাথা।
বর্তমানে সুদক্ষ ২০ জন শিক্ষক ও ৬ শতাধিক ছত্রী নিয়ে চলছে বিদ্যালয়টি। প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন বলেন, দক্ষ পরিচালনা কমিটি ও শিক্ষকমন্ডলীকে নিয়ে বিদ্যালয় উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি। সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া এ বিদ্যালয়ে অব্যাহত রয়েছে।উপজেলার একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়টি সরকারিকরণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপতরে একটি ফাইল ইতোপূর্বে দাখিল করা হয়েছে।
পরিচালনা কমিটির সভাপতি
বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ জিয়াউল হক জানান, তাঁর মামা মরহুম নজরুল ইসলাম চৌধুরী এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন ১৯৮৫ সালে। প্রায় চার দশক ধরে ঐতিহ্যের ধারক বিদ্যালয়টি চমৎকার সাফল্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আমার পূর্ব ঘোষনামতে এ বিদ্যালয় হতে প্রতি বছর যেসব ছাত্রী জিপিএ -৫ পাচ্ছে তাদের জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা হিসেবে উপহার দেয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত আছে। আমার মামার মৃত্যুর পূর্বে প্রতিষ্ঠানটির দেখভাল করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়াহয়েছিল। সেই থেকে এই বিদ্যালয়ের সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি।
বিদ্যালয়ের আজীবন দাতা সদস্য বকতিয়ার কামাল চৌধুরী বলেন এ বিদ্যলয়ের প্রতি আমার আকর্ষণ বেশি। তাই সব সময় আমার কাছে সহযোগিতার দরজা খোলা। বর্তমান কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্য বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সন্তান মহসিন সিদ্দিকীও খুবই আন্তরিকতার সাথে কাজ করছেন। কমিটির সদস্য ফরিদুল আলম, শাহাব উদ্দিন, নাছির উদ্দিন সহ সকলেরই দাবী বিদ্যালয়টি সরকারিকরণ করা হউক।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
টানা তৃতীয়বারের মতো সুপার কাপের ফাইনালে বার্সালোনা
ইন্দোনেশিয়ার নতুন কোচ ক্লাইভার্ট
কোপ দেলরের শেষ ষোলোতে কে কার মুখোমুখি
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন গাপটিল
পরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি লাখো মানুষের
ভোগান্তিতে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ
আদমদীঘিতে ফসলি জমিতে ফের কোল্ড স্টোর নির্মাণ
পদ্মার চরে শিকারিদের কবলে অতিথি পাখি
বাগেরহাটে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ৮ বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, আহত ২০
গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি সোসাইটির নতুন কমিটি গঠন
বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারকালে ২ জনের কারাদ-
মিরপুরে তুরাগ নদী এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান
৪৮ ঘণ্টা পরও লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ
ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির আঘাতের হার বৈশ্বিক গড়ের চেয়ে বেশি
ভারত আইনের শাসন মানে না : রিজভী
ভয়াবহ দাবানলে ছাড়খাড় লস অ্যাঞ্জেলেস
সরকারের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ইমরান খানের
‘উন্নয়ন চাইলেও গণতন্ত্র দরকার সংস্কার চাইলেও গণতন্ত্র দরকার’ : বিএনপি শীর্ষ নেতা নজরুল ইসলাম খান
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাত
সচিবালয়ের সামনে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া