সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাতের দায়ে বাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম | আপডেট: ০৬ আগস্ট ২০২৩, ০৫:১৩ পিএম
সুনামগঞ্জে ডায়মন্ড লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির সহকারী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) তৌহিদ হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে ২ হাজার গ্রাহকের সাড়ে ৩ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত তৌহিদ হোসেন বাবুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ।
রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে বাবুর বিচার দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেন ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। স্মারকলিপি গ্রহণকালে পুলিশ সুপার মো. এহসান শাহ তাদেরকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দিয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এর আগে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গিয়ে জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগী গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, আমরা সুনামগঞ্জের ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ৪০ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কাজ করে আসছি। আমাদের অধীনে অত্র জেলার প্রায় ২ হাজার গ্রাহক সৃষ্টি করে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা গ্রাহকদের নিকট থেকে এনে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি সুনামগঞ্জ শাখার ডিএমডি তৌহিদ হোসেন বাবুর কাছে অফিশিয়াল নিয়ম অনুযায়ী হস্তান্তর করি। তিনি আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হওয়ায় অধিকাংশ সময়েই বিনা রশিদে ডায়মন্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির নামে টাকা জমা রেখে আসি। আমরা তার অধীনস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারী হওয়ায় তিনি আমাদের নিকট থেকে প্রায় সময়ই যারা লাইফ ইন্স্যুরেন্স করেছেন সেই গ্রাহকদের টাকা বিনা রশিদে গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের প্রমোশন দেওয়ার নামে ব্যাংকের হিসাবের খালি চেক ও ১০০ টাকার স্ট্যাম্পে টাকার অংক না বসিয়ে স্বাক্ষর নেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠাবে বলে। পরবর্তীতে হেড অফিস থেকে আমরা জানতে পারি ডিএমডি বাবুর সব কার্যক্রম ভুয়া। পরে তার কাছে গ্রাহকের টাকা ফেরত চাইলে পূর্বের নেওয়া খালি চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। প্রাণ বাঁচাতে আমরা থানায় জিডিও করেছি।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, আমরা জানতে পেরেছি যে, সে যে কোনো মুহূর্তে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে পারে। বর্তমানে সে পলাতক রয়েছে। তাই তাকে জরুরি ভিত্তিতে আইনের আওতায় না আনা হলে হাজারো গ্রাহকের টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, যে কাউকে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অধিক সতর্ক থাকা উচিত ছিল। টাকা দেওয়ার আগে ভালোভাবে যাছাই বাছাই করা প্রয়োজন। টাকা উদ্ধারের বিষয়ে জেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করা হবে।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
মারা গেলেন 'মুজিব' বায়োপিকের নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল
মানবাধিকার সংগঠন রাইটস যশোর আয়োজিত যৌন শিশু পাচার প্রতিরোধে অ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত
যশোরে আদালত চত্বরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের বিক্ষোভ
ফাইনালে মুখোমুখি মেট্রো-রংপুর
চুয়াডাঙ্গার গোয়ালপাড়া থেকে ১ কেজি ১৯৪ দশমিক ৩২ গ্রাম ওজনের ৪টি অবৈধ স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিজিবি
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাই
কুয়াকাটা টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরাম’র সভাপতি কাজী সাঈদ, সম্পাদক মিজান
শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর চিঠি নিয়ে যা জানাল ভারত
বিডিআর হত্যাকাণ্ড তদন্তে ৭ সদস্যের কমিশনে আছেন যারা
‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’-এ বারের অন্তর্ভুক্তিকরণ প্রস্তাব
সোনারগাঁওয়ে বাস-অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ১০
মামলা রেকর্ড করতে ঘুষ গ্রহণ, কুষ্টিয়ায় ওসি ও এসআই ক্লোজ
কুমিল্লায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে লাঞ্ছিতের ঘটনায় জামায়াতের ২ কর্মী বহিষ্কার
পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের গত ১৭ বছরের নির্যাতন ভুলে যাবার সুযোগ নেই: আমিনুল হক
পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চে প্রাক বড়দিন উৎসব অনুষ্ঠিত
পূর্বধলায় শীতার্ত মানুষের মাঝে ইসলামী যুব আন্দোলনের কম্বল বিতরণ
ধর্ম-বর্ণ নয়, সমান মর্যাদায় হোক নাগরিক পরিচয়: জোনায়েদ সাকি
এসবিএসি ব্যাংকের শরিয়াহ্ সুপারভাইজরি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
আ.লীগের হাতেও নির্যাতিত হয়েছিলেন সেই মুক্তিযোদ্ধা, কিন্তু তুলে ধরেনি গণমাধ্যম!
ভারত বাংলাদেশ থেকে বস্তা বস্তা টাকা লুট করেছে : দুদু