ফরিদপুরে ডেঙ্গুতে আরো এক নারীর মৃত্যু ভর্তি ১৩৭ মোট মৃত্যু ৬ জন
০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৪:০৭ পিএম | আপডেট: ০৭ আগস্ট ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়না বেগম (৪০) নামের আরো এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৩৭। ফরিদপুর সহ আশ পাশের জেলা ও উপজেলা হতে চিকিৎসা নিতে আসা এ পর্যন্ত এই হাসপাতালে ডেঙ্গুতে মারা গেছে মোট ৬জন। তবে যারা গেছে বেশীরভাগ ই পার্শ্ববর্তি জেলা মাগুড়া,রাজবাড়ি ও মাদারিরপুর জেলার।
সোমবার (৭ আগস্ট) নতুন করে এক নারীর মৃত্যুর বিষয়টি ইনকিলাবকে নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক।
ময়না বেগমের বাড়ি ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলার যদুনন্দি গ্রামে।
সে ওই গ্রামের ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এনামুল হক জানান, ময়না বেগম ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে রোববার (৬ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
তিনি আরও জানান, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬ রোগী। তার মধ্যে রাজবাড়ী জেলার তিন, ফরিদপুরের দুইজন এবং মাগুরা জেলার একজন। বর্তমানে হাসপাতালটিতে ১৮৬ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১৩৭ জন রোগী। বর্তমানে জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৩৮ জন।
তিনি আরও জানান, জেলায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৮৭৮ জন। এরমধ্যে ১ হাজার ৫৩৪ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
তবে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা বহু রোগীর অভিভাবকরা সংবাদকর্মীদের কাছে অভিযোগ করছেন। প্রয়োজনের সময় অফিস টাইমেও ডাক্তারা বেশীরভাগ থাকেন বেসরকারি চেম্বারে। হাসপাতালে সরকারি সিনিয়র জুনিয়র নার্সরা চিকিৎসা সেবা দিতে প্রানপন চেষ্টা চালচ্ছেন।
কিন্ত হাসপাতালের গোটা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা চলে গেছে এখন স্হানীয় দালাল চক্র ও বিনাবেতনে কথিত আউটসোর্সিং এর ষ্টাফদের হাতে। চিকিৎসা নিতে আসা মাগুড়ার করিমন,মাদারিরপুরের জুলহাস, ফরিদপুর সদর থানার গুহলক্ষীপুরের খবিরের স্ত্রী সন্তানরা ইনকিলাবের কাছে অভিযোগ করেন। আমরা হাসপাতালে ভর্তি। প্রতিদিন ১০০/২০০ টাকা বাড়তি চাঁদা দেওয়া লাগে ট্রলি ম্যান এবং পরিছন্নকর্মী এবং ড্রেসিংরুমে নেওয়া ট্রলিম্যানদের খরচ আগে বা পরে না দিলে আমরা সেবা পাই না। তবে চাঁদা নেওয়া লোকেরা স্হানীয় দালাল চক্রের সদস্য এবং বিনাবেতনে আউটসোর্সিং এ কাজ করা জুলুমবাজরা। এরা কেউ সরকারি ষ্টাফ নয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
রানার অটোমোবাইলস পিএলসির এজিএম সম্পন্ন
আগামী নির্বাচনে ধানের শীষের বিজয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজের আহ্বান: এমরান আহমদ চৌধুরী
নকল পণ্য প্রতিরোধে আমদানির উপর শুল্ক কমানোর দাবি বাজারের ২০ শতাংশ খাদ্য মানহীন
লক্ষ্মীপুরে চুরির অপবাদে জনসম্মুখে যুবককে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, নাকে খত
বাঘায় মেয়াদ উত্তীর্ণ ৪ ইউপিতে প্রশাসক নিয়োগ
বিশ্বে বছরজুড়ে আলোচনায় যুদ্ধ, নির্বাচন ও মূল্যস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্র আগুন নিয়ে খেলছে : চীন
আওয়ামী দুঃশাসনের বিচার না হলে জুলাই আগষ্টের শহীদদের রক্তের সাথে বেঈমানী হবে: ডা. জাহিদ হোসেন
মেক্সিকোতে প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত ৭
মাথাপিছু ১৪০০ ডলারের চেক পাচ্ছেন ১০ লাখ মার্কিনি
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরাইল
মোজাম্বিকে ঘূর্ণিঝড় চিডোরে নিহত ৯৪
মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতার মালা পড়িয়ে সম্মানহানী
রাফালের আগমনে ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি
উত্তর প্রদেশে নিহত ৩ খলিস্তানি নেতা
ভারতে বাল্যবিবাহবিরোধী অভিযানে আটক ৫০০০
মুজিবল্যান্ড বানিয়ে হিন্দুস্তানে থাকুক আ.লীগ : রাশেদ প্রধান
গ্রেফতার ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
পানামা খাল দখলের হুমকিকে ভর্ৎসনা পানামা প্রেসিডেন্টের
স্বৈরাচারের দোসর শাহরিয়ার আলমের স্ত্রী-সন্তানসহ দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা