শেষ শ্রাবনের বর্ষন আমনের জন্য আশির্বাদ

বগুড়া ব্যুরো

২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম | আপডেট: ২৪ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৫৭ পিএম

প্রায় বৃষ্টিহীন আষাঢ়ের পর শ্রাবনের শেষ ও ভাদ্রের প্রথম প্রান্তিকের অতি বর্ষন আমনের জন্য আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।
বগুড়ার আমন চাষীদের অভিমত হল এসময়ে বৃষ্টি নাহলে বড়ো বিপদে পড়তে হত। এমনিতেই
শুষ্কতার কারণে একদফা স্কিমের সেচের পানি
দিতে হয়েছে। শেষ সময়ের এই বৃষ্টিটুকু না হলে
বিঘা প্রতি খরচ বাড়তো গড়ে ৮ শ' টাকা।
বগুড়া কৃষি বিভাগ সুত্রে জানান হয়, বগুড়ায় চলতি মৌসুমে ১ লাখ ৭৩ হাজার হেক্টর জমিতে
আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।
২৪ আগষ্ট পর্যন্ত বগুড়ার ১২ উপজেলা থেকে
পাঠানো তথ্যে প্রায় শতভাগ টার্গেট পুরণের
ধারণা পাওয়া গেছে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার যমুনার চরে এবার বিপুল পরিমাণ
স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা জাতের আমনের চাষ হচ্ছে। ওই পরিমান জমি কাউন্ট করলে বগুড়ায়
বগুড়ায় আমন চাষের মোট পরিমাণ ২ লক্ষ হেক্টর ছাড়িয়ে যাবে।
কৃষি বিভাগ সুত্র আরও জানায়, শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকুল থাকলে বগুড়ায় মৌসুমে এবার চার লক্ষাধিক মেট্রিক টন আমনের উৎপাদন হতে পারে।
তবে আমন চাষীরা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরে বগুড়ায় আমন ক্ষেতে পামরী ও মাজরা পোকার আক্রমণ দেখা যাচ্ছে। চলতি মৌসুমেও
সেটার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে তাদের আশংকা। আমন চাষীরা তাই কৃষি বিভাগের দৃষ্টি আকর্ষন করে বলেন, সময় থাকতে প্রতিকার মুলক ব্যবস্থা নিলে চাষীরা উপকৃত
হতো।
বগুড়া আবহাওয়া অফিসের তথ্যে দেখা যায়,
এবার বর্যা মৌসুমে জুন মাসে ১২৩.৩ মিলিমিটার, জুলাই মাসে ১৮১ মিলিমিটার বৃষ্টি
হয়। আগষ্ট মাসে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বেড়েছে। এমাসের একদিনেই (৮ আগষ্ট ) বৃষ্টি হয়েছে ২১৩ মিলিমিটার।
তবে এর ফলে আমন চাষের কোন ক্ষতি হয়নি।