কক্সবাজারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী
২৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৮ এএম | আপডেট: ২৯ আগস্ট ২০২৩, ১১:৩৮ এএম
কক্সবাজারে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আক্রান্তের সংখ্যা বেশী। গত জুলাই মাসের ৩১ দিনে জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ৩ হাজার ২৫২ জন। অথচ আগষ্ট মাসের ২৭ দিনেই আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫২০ জন। কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেওয়া এক তথ্যবিবরণী বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে কক্সবাজারে নতুন করে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৫৬৮ জন। যার মধ্যে ১ হাজার ২৯৭ জন রোহিঙ্গা এবং ২৭১ জন স্থানীয় বাসিন্দা। শুধু রোহিঙ্গাদের আক্রান্তের হার ৮২ দশমিক ৭১ শতাংশ।
তথ্যবিবরণী অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত কক্সবাজারে মোট ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ১০ হাজার ২২৬ জন। যার মধ্যে ৮ হাজার ৫৩৮ জন রোহিঙ্গা ও ১ হাজার ৬৮৮ জন স্থানীয় রয়েছেন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল জানিয়েছেন, জানুয়ারি থেকে ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন রোহিঙ্গা ও ২ জন স্থানীয়। সোমবার পর্যন্ত নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ৩৩ জন।
তিনি জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত বিবেচনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও তার আশপাশের এলাকা ক্রমাগত অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৪৭৪ জন। যেখানে রোহিঙ্গা সংখ্যা ৮ হাজার ৩৪২ জন এবং স্থানীয় ১ হাজার ১৩২ জন।
পরিসংখ্যান মতে, গত ৭ দিনে রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক নতুন করে ১ হাজার ৪৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। যেখানে ১ হাজার ২৭০ জন রোহিঙ্গা এবং ১৯১ জন স্থানীয় বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছেন।
এর বাইরে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৭ আগষ্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫২ জন। যেখানে ৫৫৬ জন স্থানীয় বাংলাদেশি এবং ১৯৬ জন রোহিঙ্গা।
ডা. শাহ ফাহিম আহমদ ফয়সাল জানিয়েছেন, আক্রান্তের বিবেচনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১, ১ (পশ্চিম), ১ (পূর্ব) ৪, ৯, ১৭ নম্বর ক্যাম্প সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এ ছাড়া কক্সবাজার পৌরসভা ও চকরিয়ায় অধিক সংখ্যক রোগী পাওয়া যাচ্ছে। বন্যা-পরবর্তী গত ৩ সপ্তাহে এমন বিষয়টি দেখা যাচ্ছে।
কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোমিনুর রহমান জানিয়েছেন, সোমবার (২৮ আগস্ট) জেলা সদর হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। আগষ্ট মাসের শুরু থেকে জেলায় বৃষ্টি বেড়েছে। এর কারণে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা, নালায় আবর্জনা হয়ে পানি জমে থাকার কারণে এডিস মশার প্রজনন বেড়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে গত মাসের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
কক্সবাজারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয়ের স্বাস্থ্য সমন্বয়ক ডা. আবু তোহা মো. আর. হক ভূইঞা জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ঘনবসতি, অপরিচ্ছন্ন নালা, যেখানে সেখানে পানি জমে থাকার কারণে স্বাভাবিকভাবে মশার প্রজনন থাকে। যেখানে আগে থেকেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি। এ মাসে তা আরও একটু বেড়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কক্সবাজারে মোট ১৯ হাজার ২৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল। যার মধ্যে ১৫ হাজার ৬৩৬ জন রোহিঙ্গা ও ৩ হাজার ৫৮৫ জন স্থানীয়। এই এক বছরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৯ জনের মৃত্যু হয়। যার মধ্যে ২৬ জন
রোহিঙ্গা ও ১৩জন স্থানীয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঘন কুয়াশায় এক্সপ্রেসওয়েতে ৭ যানবাহনের সংঘর্ষ, আহত ৫
ঢাকার বায়ুমানে উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই, বিপজ্জনকের কাছাকাছি
উগ্রবাদী সন্ত্রাসী 'সাদ' পন্থীদের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন
বাংলাদেশ সীমান্তে অত্যাধুনিক ড্রোন মোতায়েন ভারতের
নরসিংদীতে দুর্বৃত্তের গুলিতে ছাত্রদলকর্মী নিহত
সিনেটে প্রার্থী হতে সরে দাঁড়ালেন লারা ট্রাম্প
আমাদেরকে আর স্বৈরাচার হতে দিয়েন না : পার্থ
মার্চের মধ্যে রাষ্ট্র-সংস্কার কাজ শেষ হবে : ধর্ম উপদেষ্টা
জামালপুরে দুই ইজিবাইকের চাপায় সাংবাদিক নুরুল হকের মৃত্যু
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী রাখাইনের সামরিক সদর দফতরের দখল নিয়েছে আরাকান আর্মি
ব্রাজিলে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে নিহত ৩২
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ সিরিয়ায়
ঘনকুয়াশায় ৩ ঘন্টা পর আরিচা-কাজিরহাট নৌরুটে ফেরি সার্ভিস চালু
গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে
কনসার্ট মঞ্চে স্বৈরাচার হাসিনার বিচার দাবি
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত আরও ১৪ ফিলিস্তিনি
ঘনকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে: ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়