সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসের ঠিকাদার অন্তরের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির পাহাড়
০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫০ পিএম | আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:৫০ পিএম
টাঙ্গাইলের সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসের ঠিকাদার অন্তরের বিরুদ্ধে বদলি বাণিজ্য,ট্রান্সফরমার,তার চুরি সহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে গত দুই বছরে বিদ্যুৎবিল বিতরনকারী থেকে কোটিপতি বনে গেছে। এ যেন আলাদিনের চেরাগ। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এর আওতাধীন বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ,বিউবো,সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসের এপিপি ভ’ক্ত কাজ ও জরুরী মেরামত,রক্ষনাবেক্ষন কাজ সম্পাদন করার ক্ষেত্রে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, বর্তমান অর্থবছরের অনুমোদিত কাজ, গত অর্থবছরের চলমান কাজের গুনগত মান ও কার্যসম্পাদনে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির গুঞ্জন লোকমুখে শোনা যাচ্ছে। গত বছরের চলমান কাজ কাগজে-কলমে সম্পাদিত কাজের সিংহভাগ কাজই দেওয়া হয়েছে ফাহিম এন্টার প্রাইজ প্রোঃ অন্তর আহম্মেদ নামের একজন ঠিকাদারকে। এক্ষেত্রে ঠিকাদারি তালিকাভুক্তকরন কাজ সঠিক নিয়ম মেনে করা হয় নাই বলে জানিয়েছেন অত্র দপ্তরের সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য ঠিকাদারগন। অর্ধশিক্ষিত অন্তর আহম্মেদ হঠাৎ করে আলাদিনের চেরাগের মতো বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলীর আমলে এতো কাজ কোন মাধ্যমে পেলেন তার প্রশ্ন সকলের মুখে মুখে।অন্তর আহম্মেদের পাওয়া বেশির ভাগ কাজ বাস্তবে সঠিকভাবে সম্পাদন না করে কাগজে কলমে বিল পাশ করে নিয়ে যাচ্ছে। এতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড(বিপিডিবি) এর বিপুল পরিমান ক্ষতি হচ্ছে। সে দুই বছর আগে সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসে বিল বিতরণ এর কাজ করতেন, চাকরি বা ব্যবসা বানিজ্য ছাড়াই বর্তমানে কোটিপতি বনে গেছে, গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন।ঠিকাদারি ছাড়া অন্য কোন আয়ের উৎস না থাকলেও সে দুই বছরের মধ্যে কি করে বিশাল বাড়ি ও নিজস্ব দামি গাড়ি ব্যবহার করেন তা অনেকের কাছেই প্রশ্ন? তার অবৈধ অনৈতিক কাজের সহযোগিতা না করার কারনে বিদ্যুৎ অফিসের উপ-সহকারি প্রকৌশলীদের নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে উপ-সহকারি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে অন্তরের বিরুদ্ধে সখিপুর থানায় জিডি(জিডি নং৬৯৪ তারিখ ১৫/০২/২০২৩ইং)। তার যন্ত্রনায় অতিষ্ঠ হয়ে উপ-সহকারি প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম,অচ্যুদাশ গুপ্ত,জাহিদুল ইসলাম গত ১৩/০২/২০২৩ইং তারিখ একযোগে অন্যত্র বদলি হওয়ার জন্য আবেদন করেন।
এতে অন্তর আহম্মেদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের মধ্য থেকে দুইজনকে অন্যত্র বদলি করে মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ওই দুইজনের পদে সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসে অন্য দুইজনকে স্থলাভিষিক্ত করেছেন। এছাড়াও তার অবৈধ কাজে সহযোগিতা করার জন্য বর্তমান সহকারি প্রকৌশলী আল আমিনকে জামালপুর থেকে বদলি করে সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসে পদায়ন করেছেন।তার অবৈধ কাজকে আড়াল করার জন্য সে বিভিন্ন সময়ে সুযোগ মতো বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছে।বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়,বর্তমান স্থানীয় এমপি’র সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে ডিও লেটারের মাধ্যমে একই অফিসে ১৭বছর চাকুরি করার সুবাধে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকা উচ্চ মান সহকারি জিয়ারত হোসেনকে বদলি হওয়ার কয়েকমাস পরেই সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং এমপি’র ডিও লেটারের মাধ্যমে বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর তালুকদারকে সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসে বদলি করে এনে অন্তর আহম্মেদ সবচেয়ে বড় বদলি বানিজ্য করেছেন বলে সকলের মুখে মুখে একই আলোচনা চলছে। সঙ্গতকারনেই এই প্রকৌশলী সখিপুরে যোগদান করার পর থেকেই অন্তরকে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য জোর তদবির চালিয়ে কাজ পাইয়ে দিয়ে থাকেন।সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসে বর্তমান নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর তালুকদার আসার পর থেকেই একের পর এক বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার চুরি হওয়ার কারনে গ্রাহকদের মনে ভয় ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। নির্বাহী প্রকৌশলীর অব্যবস্থাপনা,স্বেচ্ছাচারিতার কারনে সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসের গ্রাহক সেবার মান দিনকে দিন নিম্মমুখি ও টাঙ্গাইর সার্কেলের মধ্যে পূর্বের তুলনায় অফিসের পারফরমেন্স অনেক নিচে নেমে গেছে। যে সকল ট্রান্সফরমার চুরি হচ্ছে তা প্রতিস্থাপন করতে মোটা অংকের টাকা গুনতে হচ্ছে সাধারন গ্রাহকদের। ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপনে মোটা অংকের টাকার লেনদেন করতে হয় অন্তর আহম্মেদের সাথে। সাগরদিঘী তে মোড়,মকরম চৌরাস্তা হাবিুল্লাহ মাষ্টারের,ভারতের চালা,দাড়িপাকা এলাকায় ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপনে ৯০ থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকা অন্তর নিয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের লাইনম্যান দীনেশ,খোরশেদ বলেন,ট্রান্সফরমার প্রতিস্থাপনে কোন টাকা পয়সা লাগে না। একটি সূত্র জানায়, অন্তর আহম্মেদের বদলি বানিজ্যের সহযোগি হিসাবে কাজ করছেন ময়মনসিংহ বিদ্যৎ অফিসের প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম এবং টাঙ্গাইলের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মো.উবায়দুল ইসলাম। কেননা এই দুইজন কর্মকর্তা সকল বিতর্কিত বদলির আদেশ দিয়েছেন।
বিদ্যুৎ অফিসের ঠিকাদার অন্তর আহম্মেদ তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,যে হুমকি দিতে পারে সেইতো হুমকি দেয়। সখিপুর বিদ্যুৎ অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বকর তালুকদার বলেন,কাউকে আমি আলাদা সুযোগ সুবিধা দেই না,গ্রাহক সেবার মান উন্নত করার জন্য আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তবে ঠিকাদার নয় জিন্নাহ নামের এক ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক প্রচার-প্রচারনা চালাচ্ছেন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
ঘণকুয়াশায় আরিচা-কাজিরহাট, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ
আওয়ামী লীগ যা করেছে, বিএনপি তার বিপরীত কাজ করে সুন্দর সমাজ গড়বে- কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা ইয়াকুব চৌধুরী
রোমাঞ্চকর ম্যাচে বার্সাকে হারিয়ে শীর্ষে আতলেটিকো
জেসুসের জোড়া গোলের রাতে আর্সেনালের বড় জয়
বিলুপ্তির পথে মাটির ঘর
চোর সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
প্রতিবন্ধী স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
কেরু চিনিকলে আখ মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন
বিহারিরা কেমন আছে
লক্ষ্মীপুরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি
আসাদ সরকারের পতন : নতুন সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসন
মেটলাইফ বাংলাদেশের গ্রাহকরা ডিসকাউন্ট পাবেন ওশান প্যারাডাইস হোটেলস ও রিসোর্টে
১৫ নারী ও শিশুকে হস্তান্তর
আবাসন ও গার্মেন্ট খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে
মেহেরপুরে বেড়েছে গরম কাপড় বিক্রি
কাশিয়ানীর হাট-বাজার নিষিদ্ধ পলিথিনে সয়লাব
অ্যানুয়াল বিজনেস কন্টিনিউয়িটি প্ল্যান ড্রিল ২০২৪ আয়োজন করলো ব্র্যাক ব্যাংক
সমস্যায় জর্জরিত আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
সবুজ গালিচায় হলুদের সমারোহ
আখাউড়ায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মেধা বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত