রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ান
১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৫ পিএম | আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ এএম
বিশ্ববাসীর কল্যাণের জন্যই রাসূল (সা.) এর আগামন। যুদ্ধ বিগ্রহ, মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাসী রাহাজানি, ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় সমস্যা দূর করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করেছেন। অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই। আজ জুমা পূর্ব খুৎবার বয়ানে খতিব এসব কথা বলেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মো.রুহুল আমিন আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেছেন, আল্লাহপাক সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ধন সম্পদ দিয়ে রেখেছেন। কোনো মতেই আল্লাহপাকের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া যাবে না। নবীর আদর্শ মনে প্রাণে ধারণ করতে হবে। রাসূল (সা.) কে ধন সম্পদ ও নারীর লোভ দেখিয়েও আল্লাহর দাওয়াতের আহবান থেকে ফেরাতে পারেনি কাফের মোরশেকরা। খতিব বলেন, আত্মহত্যার প্রবণতা দিন দিন বাড়ছ্।ে পথভ্রষ্ট সন্তানরা লাইভ দিয়েও আত্মহত্যার মতো গর্হিত কাজ করছে। কোনো মু’মেন আত্মহত্যা করতে পারে না। সন্তানদের কোরআনী শিক্ষা না দেয়ায় তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে আত্মহত্যার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। কেউ মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়লে দু’রাকাত নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেই হৃদয়ে প্রশান্তি আসবে। অনেক সন্তান স্ত্রীর কথা অনুযায়ী
গর্ভধারিনী মাকে রেল স্টেশনে ফেলে দিয়ে আসছে। এসব সন্তান স্ত্রীকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে মায়ের সাথে অসদাচরণ করে বিপদগামী হচ্ছে। মায়ের জাতিকে যথাযথ শ্রদ্ধা করতে হবে। রক্তের আত্মীয় স্বজনের সাথে সৎব্যবহার করতে হবে। খতিব বলেন, সন্তানরা মোবাইলের অপব্যবহার করে দিন দিন বিপদগামী হচ্ছে। সন্তানদের নামাজ কোরআন শিক্ষা দিতে হবে। দশ বছর বয়সের সময়ে নামাজ না পড়লে শাস্তি দেয়ার বিধান রয়েছে। খতিব বলেন, ডেঙ্গুতে শত শত মানুষ মারা যাচ্ছে। সর্বত্র সীসার কারণে বাতাস দূষিত হচ্ছে। বাতাস দূষিত হয় এমন কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে। দূষণমুক্ত পরিবেশ রক্ষায় খতিব প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন। খতিব বলেন, দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতকরণে প্রত্যেক নাগরিককেই সচেতন থাকতে হবে। তিনি বলেন, সেই ব্যক্তিই সবচেয়ে উত্তম যেব্যক্তি মানুষের উপকারে আসে। যারা মানুষের উপকারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালায় আল্লাহর পক্ষ থেকে তাদের ওপর রহমত বর্ষিত হবে। নবীর আদর্শকে ধারণ করেই জীবন চালাতে হবে বলে খতিব উল্লেখ করেন। মিরপুরের ঐতিহ্যবাহী বাইতুল মামুর জামে মসজিদের খতিব মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী আজ জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, বিশ্ববাসীর কল্যাণের জন্যই রাসূল (সা.) এর আগামন। যুদ্ধ বিগ্রহ, মারামারি, কাটাকাটি, সন্ত্রাসী রাহাজানি, ব্যক্তিগত পারিবারিক সামাজিক রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্রীয় সমস্যা দূর করে বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রেরণ করেছেন । তাইতো রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার উত্তম আদর্শে কথায় কথায়, গোত্রে গোত্রে যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়া যুদ্ধবাজ আরব জাতিকে এক প্লাটফর্মে এনে ঘোষণা করলেন "মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই " । (আল হাদিস )। তদ্রূপ অমুসলিমদের সাথেও এক আল্লাহর সৃষ্টি জীব হিসেবে সন্ধি প্রক্রিয়ায় সম্পর্ক স্থাপন করে ঘোষণা করলেন " তাদের (অমুসলিমদের) মাল সম্পদ তোমাদের (মুসলমানের) সম্পদের মত, তাদের রক্ত (জীবন) তোমাদের জীবনের ন্যায় সংরক্ষণযোগ্য । (আল হাদিস)। যার প্রেক্ষিতে অন্ধকার অমানিশা ও পাপাচারে নিমজ্জিত আরব সমাজের মানুষেরা জান্নাতী মানুষে পরিণত হয়ে গেল । সমাজের চুরি ডাকাতি, সন্ত্রাসী রাহাজানি, মারামারি কাটাকাটি , দুর্নীতি, অবিচার অনাচার, নারীদের ইজ্জত লুণ্ঠন, খুন গুম, হত্যা ও অযথা যুদ্ধ বিগ্রহ দূর হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে শান্তির বাতাস ও কল্যাণের হাওয়া প্রবাহিত হতে লাগল । আর সাথে সাথে আল্লাহ তায়ালার ঘোষণাও প্রতিফলিত হয়ে গেল "হে রাসূল, আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর কল্যাণের জন্য পাঠিয়েছি । সুরা আম্বিয়া, আয়াত নং ১০৭।
খতিব বলেন, আজ আবার সারা বিশ্বে মানুষ অশান্তির দাবানলে দাউদাউ করে জ্বলছে। ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক , রাজনৈতিক অঙ্গনসহ বিশ্বের দেশে দেশে অশান্তির ঘনঘটা লক্ষ করা যাচ্ছে । তাই আসুন, শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত হযরত রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আগামনের এ মাস রবিউল আউয়াল (আজ) থেকেই আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় জীবনে রাসূলের আদর্শ বাস্তবায়নের আপ্রাণ চেষ্টা করি এবং সারা বিশ্বে সবাই মিলে আওয়াজ ছড়িয়ে দেই "অশান্ত বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় রাসূল (সা.) এর আদর্শ অনুসরণের বিকল্প নেই "। আল্লাহ সকলকে নবীর আদর্শ অনুসরণের তাওফিক দান করেন। আমিন।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
গ্রেপ্তারের ভয়ে পোল্যান্ড সফর বাতিল করলেন নেতানিয়াহু
নাটোরে ৬ ট্রাকের সংঘর্ষে চালকসহ নিহত ২, আহত ৭
রাখাইনের অস্থিরতায় টেকনাফ স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি কমেছে ৯০ ভাগ
ক্রিসমাস মার্কেট হামলা, জার্মান কর্তৃপক্ষের কাছে গত বছরেই এসেছিল সতর্কবার্তা
উপদেষ্টা হাসান আরিফকে বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন
ডলার বাজারে অস্থিরতা, দাম বেড়ে ১২৯ টাকা
উত্তরার বিপ্লবী জনতাকে যে কঠিন মূল্য দিতে হয়েছিল
পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার হুমকি ট্রাম্পের
বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষকর্মী নিতে আগ্রহী লিবিয়া
৯১ শিশু খেলোয়াড়সহ ৬৪৪ ক্রীড়াবিদকে হত্যা করেছে ইসরায়েল
ইইউভুক্ত দেশে গ্যাস সরবরাহ বন্ধের হুমকি কাতারের
দক্ষিণ কোরিয়ার সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে বিপদের ফাঁদে পর্যটকরা
ঢাকার বাতাস আজ ‘ঝুঁকিপূর্ণ’
২৮ ডিসেম্বর দেশে ফিরছেন সাবেক মন্ত্রী কায়কোবাদ
হিরো নয় কারিনার ছেলের চরিত্রে অভিনয় করতে পারি
রাওয়ার নেতৃত্বে আবদুল হক ও ইরশাদ সাঈদ
স্লোভাক প্রধানমন্ত্রীর মস্কোতে পুতিনের সঙ্গে বৈঠক
কুমিল্লায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৩ কিশোর নিহত
গাজীপুরে কারখানা থেকে দগ্ধ আরও এক লাশ উদ্ধার
সিরিয়ার আকাশে নিষিদ্ধ হলো ইরানের বিমান