ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের (পীর সাহেব চরমোনাই) আমির মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম বলেছেন, আমাদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে নির্বাচনে নিয়ে নিজেদের ক্ষমতায় জাওয়ার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে দিনের ভোট রাতে বাক্সে ঢুকিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। এই সরকার কিন্তু জনগনের ভোটের সরকার নয়, এই সরকার অবৈধ সরকার।
মঙ্গলবার বিকালে সাভার থানা রোডের কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮সালে আপনি বলেছিলেন আমি শেখ মুজিবর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা বলছি; আপনারা নির্বাচনে আসেন আমি আপনাদের একটি স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিব। আমরা বুঝি নাই আমাদের ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে নির্বাচনে নিয়ে নিজেদের ক্ষমতায় জাওয়ার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে দিনের ভোট রাতে বাক্সে ঢুকিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন।
তিনি বলেন, এই সরকার কিন্তু জনগনের ভোটের সরকার নয়, এই সরকার অবৈধ সরকার।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সারাবিশ্বের মধ্যে ৫বারের মতো দূর্নীতিতে প্রথম হয়েছে বাংলাদেশ। একটি স্বার্থনেষী মহল ক্ষমতায় যাওয়ার পরে বিরোধী দলকে নিশ্চিহৃ করে দেয়। প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নামলে গুম হয়ে যায়।
যে কষ্ট ও জীবনের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল সেই স্বাধীনতা আজ বাংলাদেশে বেশ ঝুকিপূর্ন ও ধ্বংস হওয়ার পথে।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম আওয়ামীলীগের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখন কিন্তু আপনারা বলেন তত্তাবধায়ক সরকার আর আমরা বলি জাতীয় সরকার এক কথায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার যারা দাবী করে আর আমরা যারা জাতীয় সরকারের নির্বাচনের দাবী করি মূল কিন্তু একটা যে, বাংলাদেশের ভিতরে জাতীয় র্নিাচন হবে স্বচ্ছ এবং বির্তকের উর্দ্ধে।
তিনি আওয়ামীল সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, দেশ ও দেশের মানুষের কল্যানের জন্য রাজনীতি করে থাকেন, আবার আপনারই জাতীয় ও তত্ত্বাবধায় সরকারের জন্য হরতাল দিয়ে এই দেশকে ফতুর করেছিলেন। লগি বৈঠা দিয়ে মানুষকে পিটিয়ে আহত করেছিলেন সেই ইতিহাস কিন্তু মানুষ জানে। আপনারা ক্ষমতায় যাওয়ার পরে বলেছেন, দলীয় ভাবে স্বচ্ছ নির্বাচন দিবেন। এই কথাগুলো আমরা বিশ্বাস করতাম যদি বিগত দিনের এই ধরনের কোন ইতিহাস না থাকতো।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ঢাকা জেলা উত্তরের সভাপতি মোহাম্মদ ফারুক খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক টি এম মাহফুজুর হোসাইনের সঞ্চালনায় সমাবেশে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লেঅকমান হোসেন জাফরী প্রমুখ।