সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম রফিকুল ইসলাম বলেছেন জেলেরা বাইশ দিন মা ইলিশ ধরা বন্ধ রাখলে এর সুফল পাবে ছেলেরা সহ সবাই। সে কারণেই ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সাগরে ইলিশ শিকার একেবারেই বন্ধ রাখতে হবে। সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে। সেজন্য চাই সকলের সহযোগিতা। আর কেউ এ নিয়ম না মানলে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
আজ মঙ্গলবার উপজেলা মৎস্য দপ্তর আয়োজিত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের ‘২২দিন মা ইলিশ শিকার বন্ধে’ ষ্টোক হোল্ডারদের সাথে মত বিনিময় সভায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলে। তুমি আরো বলেন সাগরে যেন কেউ মা' ইলিশ ধরতে না পারে সেজন্য ,নৌপুলিশ,কোষ্টগার্ডসহ
সকলে কাজ করবে।
ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠানে উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ কামাল উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আলাউদ্দিন, সীতাকুণ্ড প্রেস ক্লাবের সভাপতি সৌমিত্র চক্রবর্তী, কোষ্টগার্ডের কন্টিজেন্ট কমান্ডার মোঃ ইসমাইল ও কুমিরা নৌপুলিশের এএসআই মোঃ রায়হান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উত্তর চট্টলা জেলে কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শ্রী লিটন দাশ, জেলে সর্দার ব্রজ দাশ, হরিলাল দাশ, মৎস্য আড়তদার মোঃ জাবেদ,রাসেল প্রমুখ। এদিকে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বক্তব্যে বলেন, ২২ দিন মৎস্য শিকার বন্ধের সময় ৪১১৫ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে মোট ১০৩ মে.ট ভিজিএফ চাউল দেয়া হবে। কিন্তু জেলেদের এ সহযোগিতা যথেষ্ট নয়। সাগরে ইলিশ ধরা বন্ধ রাখলে আরো অনেক বেশি সহযোগিতা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত ছেলে সম্প্রদায় মানুষগুলো।