বিএনপির ভাবনা ১০ হুন্ডা,২০টা গুন্ডা,নির্বাচন ঠান্ডা
১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম | আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৪৭ পিএম
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন,প্রথমে পদ্মাসেতু, তারপর পদ্মাসেতুতে রেল উপহার দিলাম। আগামীতে আমরা ক্ষমতায় আসলে ফরিদপুর একটিপূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে। ফরিদপুর একটি পুরাতন জেলা,সে হিসেবে এখানে তেমন কোন কাজ হয়নি। তবে পদ্মাসেতু সড়ক, রেল সেতু চালু হওয়া ২১ জেলার মানুষের ভাগের দুয়ার খুলে গেল। কিন্ত বিএনপি কি করেছে? লুটপাট করছে।এরশাদ যা করছে বিএনপি ও তাই করছে। ইতিমধ্যে, ৪ টি বিভাগে আমরা ৪ টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করেছি। ফরিদপুরে ২৫০ বেডের হাসপাতালকে আমরা ১০০০ বেডে উন্নীত করেছি। আমরা প্রত্যেকটি জেলায় একটি করে কারিগরি স্কুল এন্ড ট্রেনিং সেন্টার করেছি।দেশের সকল মানুষ ঘরে বসে কথা বলার তথা মোবাইল সেবার আওতায় আনছি। লাখ লাখ কৃষকের কৃষি উপকরণ সহজ লভ্যে বিতরন করেছি। কৃষকের সুবিধার জন্য কৃষি যন্ত্রাংশ বিতরনে সরকারি ভুর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সেবার মান উন্নত করে শ্রমিক খরচ কমিয়ে আনা হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপন ছিল কৃষিতে বিল্পব ঘটাতে এবং কৃষককে স্বাবলম্বী করে ৫০%/৭০% ভুর্তুকি দিয়ে যা যা করা দরকার তাই করেছি। কোবিটের সময় কৃষকদের ক্ষেতের ধান ছাত্রলীগ/ যুবলীগ /স্বেচ্ছায় কেটে তাদের ঘরে তুলে দিয়েছে। বাংলারদেশের প্রত্যেকটি জেলা উপজেলা পাড়া মহল্লা এবং প্রত্যন্ত ও চরাঞ্চল্যের মধে্য তথা অজপাড়াগাঁয়ে আমরা বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিয়েছি
ঘরে ঘরে। আমি
২০০১ সালে পদ্মাসেতুর ভিওিপ্রস্তর স্হাপন করি। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) ২০২৩ তারিখ পদ্মাসতুতে, রেল সেতুর উদ্বোধন করলাম আলহামদুলিল্লাহ। আমি শেখ মুজিবুরের মেয়ে।আমি অপরাদ করি না। আমার বাবাকে স্বাধীনতা পরবর্তী প্রশ্ন করা হয়েছিল, গরীব দেশের অভাব কিভাবে ঘুছাবেন। তিনি বলেছিলেন "মাটি আছে মানুষ আছে,সেই মাটির মানুষ দিয়েই আমি দেশ গড়ব"। বাংলার মানুষ আমাদের সাথে আছে তাই আমরা সবকিছু করতে পারবো ইনশাআল্লাহ। সারাদেশে আমরা ৫৬০ টি মডেল মসজিদ করেছি। এদেশে আপনার আমার তথা আপামার জনতার। "ধর্ম যার যার উৎসব সবার"। যার যার ধর্ম তাদের মতই পালন করবেন। আমরা উন্নয়নে বিশ্বাসী তাই এদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা চলমান রাখবো। বাংলাদেশে কোন অনাবাদি এক ফোটা জমিও থাকবে না।কোন জমি পতিত থাকবে না। গণভবন একটি খামার বাড়ী হয়ে গেছে। এখানে যে পরিমাননজমি আছে তাতেও আমি ফসলের মাঠে রূপান্তরিত করেছি। গনভবনে পেঁয়াজ, কাঁচামরিচ, আলু,সবজি সবধরনেরই ফসল হচ্ছে। আমরা দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরন করেও শিক্ষাবৃওির চালু রেখেছি। প্রত্যেক জেলা উপজেলায় একটি করে সরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছি।৮ লাখ ৪০ হাজার গৃহহীন মানুষকে বিনামূল্যে ঘর দিয়েছি।বীরমুক্তিযোদ্বাদের বীর নিবাস করে দিয়েছি। হিজরা,বেদে,জেলে কেউ সেবাবঞ্চিত হয়নি। ২০২৬ সালের মধ্যে এদেশ উন্নয়নশীল মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ। নৌপথ, বিমানপথ, রেলপথ, সবকিছুর সমস্যা সমাধান করেছি। আপনারা ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে জয়জক্তু করবেন, আমরা ও আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করবো। বিএনপি লুট করে আওয়ামীগ দেশ গড়ে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ইতিমধ্যে ফরিদপুর-শরীয়তপুরের নদী ভাঙ্গন এবং নদী শাসন ও ড্রেজিং ব্যাবস্হার উন্নতি করেছি। ফরিদপুরবাসী আগামীতে আপনার সকলে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগকে জয়যুক্ত করবেন আমরা ফরিদপুরের ব্যাপক উন্নয়ন করবো। আগামী ৪১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ কে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত করব।৷ ফরিদপুর জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত জনসভায়, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব, শামীম হকের সভাপতিত্বে, প্রধানমন্ত্রী তার প্রধান অথিতির ভাষনে তিনি উপরোল্লিখিত কথাগুলো তিনি বলেন। তিনি আরো বলেন, "" বিএনপির ভাবনা ১০ হুন্ডা ২০ টা গুন্ডা,নির্বাচন ঠান্ডা "। জনসভাটির সঞ্চালনায় ছিলেন, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইশতিয়াক আরিফ, এসময় বক্তব্য রাখেন,কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম কাজী জাফর উল্ল্যা,, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, ফরিদপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোঃ মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্মন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহাবুদ্দিন, মোঃ আনোয়ার হোসেন,ফরিদপুর, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন, এবং বহওর জেলা ও উপজেলা সদরের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
এর আগে পদ্মাসেতু হয়ে ট্রেনযোগে মাত্র ৫৪ মিনিটে মাওয়া থেকে ভাঙ্গায় প্রধানমন্ত্রী
এই যাত্রায় পদ্মা সেতু পাড়ি আসেন। পদ্মাসেতু পারি দিতে সময় লাগে আট মিনিটের মতো। বেলা ১টা ৭ মিনিটে ট্রেনটি পদ্মা সেতুতে উঠে। অপর প্রান্তে ইঞ্জিনের দেখা মিললো বেলা ১টা ১৫ মিনিটে।
১৩৩ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘাটিয়ে পদ্মা নদীর বুক চিড়ে ট্রেনের প্রথম যাত্রা শেষ হলো ৫৪ মিনিটে।
পদ্মায় সড়ক সেতু উদ্বোধনের সোয়া এক বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেল পথ উদ্বোধনকে ঘিরে পদ্মার দুই পাড়ের মানুষের ছিল উন্মুখ অপেক্ষা। ১০ অক্টোবর ২০২৩ এই তারিখটি এখন ফরিদপুরবাসীর জন্য একটি স্বরণীয় স্বপ্নিল দিন।
মঙ্গলবার, সড়ক পথে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় থেকে রেল চলাচল উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান। এরপর বেলা ১২টা ৫৯ মিনিটে তাকে বহনকারী ট্রেনটি ফরিদপুরের ভাঙ্গার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। তাকে নিয়ে ট্রেনটি
১৪ কোচের বিশেষ এই ট্রেনের দুই পাশেই ছিল দুটি ইঞ্জিন। ৪০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সেটি বেলা ১টা ৫৫ মিনিটে সেই ট্রেন পৌঁছে ভাঙ্গা স্টেশনে এসে পৌঁছালে পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। চারিদিকে কান ফাটানো শ্লোগানে প্রায় এক কিলোমিটার পথ জনাকীর্ণ পরিবেশের অনতারনা ঘটে।
এই বার পদ্মা সেতু পাড়ি দিতে সময় লাগে আট মিনিটের মতো। বেলা ১টা ৭ মিনিটে ট্রেনটি সেতুতে উঠে। সেতু পাড়ি দিয়ে ট্রেনটির ইঞ্জিনের দেখা মেলে ১টা ১৫ মিনিটে।
ভাঙ্গায় পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানান ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
শেখ হাসিনা এই পথে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করলেও ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর থেকে। এ নিয়ে আবার মানুষের মধ্যে চলছে অস্হিরতা। ঢাকা থেকে খুলনা পর্যন্ত চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে যশোরের বেনাপোল পর্যন্ত চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেসের রুট পাল্টে চলবে পদ্মা সেতু হয়ে। স্বপ্ন এখন বাস্তব রূপে পরিনত হলো।
পাশাপাশি রাজশাহী থেকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পর্যন্ত চলাচলকারী মধুমতি এক্সপ্রেস ট্রেনটির যাত্রাপথ বাড়বে বহুলাংশে। সেদিন থেকে এই ট্রেনটি চলবে রাজশাহী থেকে ঢাকা পর্যন্ত।
এই রুট চালুর পর মাদারীপুর মুন্সীগঞ্জ,শরীয়তপুর,নড়াইল
জেলা রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হবে। কিন্ত একটু সময় সময় সাপেক্ষ বিষয়।এছাড়া ভাঙ্গা-রাজবাড়ী- পাচুরিয়া সেকশনও পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকার সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে।
রেল লাইন উদ্বোধনের এই দিনটিতে প্রধানমন্ত্রী মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও ভাঙ্গায় সমাবেশের আয়োজন রাখা হয় আগে থেকেই।
ভাঙ্গা উপজেলার
ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে সকাল ১০টা থেকেই প্ল্যাকার্ড, ব্যানার, ফেস্টুন ও বাদ্যযন্ত্র নিয়ে দলে দলে আসতে থাকে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। মিছিল-স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে জনসভাস্থল।
দীর্ঘ ৬ বছর পর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আসছেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে স্বাগত জানাতে মহাসড়ক বা অলিগলি সবখানে ব্যানার, ফেস্টুন ও তোরণে তাকে স্বাগত জানিয়ে তুলে ধরা হয়েছে সরকারের উন্নয়ন কাজের ফিরিস্তি এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বদলে যাওয়ার চিত্র। তারপরও প্রশ্ন রয়ে গেল ২১ জেলার মানুষের ভাগ্য খুললো রেল প্রকল্পের প্রজেক্ট। কিন্ত বঞ্চিত রয়ে গেল বৃহওর বরিশাল বিভাগের ৬ টি জেলা এবং বৃহওর ফরিদপুরের ৫ মোট ১১ টি জেলার আওতায় রেলপথের সেবা পেতে কবে শেষ হবে অপেক্ষার পালা সেটাই এখন আলোচনার বিষয়।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
এই বিভাগের আরও
আরও পড়ুন
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টার সাথে বিশ্ব ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্টের বৈঠক
যশোরে সাবেক এমপি, এসপিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
এস আলম গ্রুপের সম্পত্তি স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া রিটের আদেশ আগামী রোববার
গণহত্যাকারী আ.লীগের সঙ্গে আলোচনা নয় : আসিফ নজরুল
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসি’র সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরু
প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে নোবিপ্রবি শিক্ষক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একদিনের বেতন প্রদান
সিল্ক রোড উৎসবে ইরানের ‘মেলোডি’
বেনজির ও আজিজসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের
৬ ব্যাংকের এমডি নিয়োগ বাতিল
১৪৩ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এলো সেপ্টেম্বরের ১৭ দিনে
ইউনূস গুড উইলের প্রতিফলন দেখতে চায় জনগণ: রিজভী
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর আমীর আলী চৌধুরীর ইন্তেকাল
ভারতের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হবে: আইন উপদেষ্টা
মেজর জে. অব. তারেক সিদ্দিকসহ ১০ জনের নামে মামলা
বহিঃশক্তি শকুনের মত শিল্প কলকারখানায় থাবা দেয়ার চেষ্টা করছে : শিমুল বিশ্বাস
বিচার-বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বরদাশত করা হবে না: আইন উপদেষ্টা
মূল সংস্কার উদ্যোগে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার অঙ্গীকার
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী রেজাউল করিমের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা
রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ৬ ব্যাংকের এমডির নিয়োগ বাতিল, জটিলতার শঙ্কা
বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন পরিচালক ড. ফাহমিদা আকতার