বিসিএস ক্যাডার সাধারণ শিক্ষা সমিতির ডাকে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো শেরপুরে চলছে সরকারি কলেজের শিক্ষকদের সর্বাত্মক কর্মবিরতি। এতে হতাশা ক্ষোভ প্রকাশ করছে শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানায়।
জেলার সরকারি কলেজে ক্লাস, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, শিক্ষা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধীনে ভর্তি, ফরম পূরণ, সব ধরনের পরীক্ষা, প্রশিক্ষণ কর্মশালা এবং দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রয়েছে। যে কারণে ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমার পাশাপাশি অনেককে ক্লাস বন্ধ দেখে হতাশ হয়ে ঘুরে যেতে দেখা যাচ্ছে। ছাত্রদের অভিযোগ তারা ক্লাস, ভর্তি ও পরীক্ষা দিতে এসে কাউকে না পেয়ে হতাশ। তারা শিক্ষকদের দাবি মেনে নয়ার আহ্বান জানান।
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শরিফুর রহমান বাবু বলেন, আমরা ক্লাস করতে এসে নতুন ক্লাস করতে পারলাম না। সরকারের উচিত স্যারদের দাবি মেনে নেয়া।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) সকালে শেরপুর সরকারি কলেজসহ অন্যন্য কলেজে এমন চিত্র দেখা গেছে। কলেজগুলোতে সকাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির ক্লাস শুরু হওয়ার কথা থাকলেও কোনো শ্রেণিকক্ষই খোলা হয়নি। বিভাগগুলোতেও শিক্ষকদের উপস্থিতি নেই। কর্মচারীরাও আসছেন ঢিমেতালে।
আগামীকাল থেকে ক্লাসে ফিরবেন শিক্ষকগন। তবে দাবি আদায় না হলে কেন্দ্র ঘোষিত পরবর্তী কর্মসূচি আরও কঠোরভাবে পালন করা হবে বলে জানান বিসিএস শিক্ষা সমিতির নেতারা।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন, সুপার নিউমারারি পদে পদোন্নতি, অধ্যাপক পদ তৃতীয় গ্রেডে উন্নীতকরণ, অর্জিত ছুটি প্রদান, ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিয়োগবিধি বাতিল, শিক্ষা ক্যাডার তফসিলভুক্ত পদ থেকে শিক্ষা ক্যাডার বহির্ভূতদের প্রত্যাহার ও প্রয়োজনীয় পদ সৃজনসহ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের সব ন্যায্য দাবি পূরণ করার দাবী সংগঠনটির।
শেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুর রশিদ বলেন, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন চাই। আমাদের দাবিগুলো ন্যায্য। এ দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।
সংগঠনের শেরপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক শিব শঙ্কর কারোয়া জানান, নানাভাবে আমাদের দাবিগুলো উপেক্ষা করা হচ্ছে। আমাদের ন্যায্য দাবী না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তিনদিনের কর্মসূচির আজ শেষদিন। পরবর্তীতে কেন্দ্র থেকে যে কর্মসূচি কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। আশা করছি সরকার আমাদের দাবি মেনে নিবেন।