মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের নগর মহানগরগুলোতে বিএনপি আহুত সকাল-সন্ধ্যা হরতালের বড় ধরনের প্রভাব না পরলেও মহানগর গুলোতে যানবাহন চলাচল যথেষ্ঠ কম। সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশাল মহানগরীর রাস্তাঘাটে স্বাভাবিকের কিছু কম যানবাহন চলাচল লক্ষ্য করা গেলেও বেলা বাড়ার সাথে পরিস্থিতি অনেকটাই পরিবর্তন ঘটে। তবে দুপুরে এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নগরীর রাস্তাঘাটে সাধারন মানুষের চলাচল অনেকটাই কম ছিল।
অপরদিকে বরিশালÑফরিদপুর-ঢাকা, বরিশালÑপিরোজপুর-খুলনা, বরিশাল-ভোলা-লক্ষ্মীপুর-চট্টগ্রাম ও বরিশাল-পটুয়াখালী-কুয়াকাটা জাতীয় মহাসড়ক গুলোতে বেলা বাড়ার সাথে যানবাহনের সংখ্যা কিছুটা লক্ষ্য করা গেলেও দুপুর ১২টার পরে তা আবার কমে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে গুরত্বপূর্ণ বরিশাল-ফরিদপুর-ঢাকা জাতীয় মহাসড়কে হাতেগোনা যানবাহন চলছে। এ মহাসড়ক সহ দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো সড়কের সেতুর টোলপ্লাজা গুলোর লোকজন অনেকটাই অখন্ড সময় পাড় করছেন। এ অঞ্চলের প্রায় ২০টি ফেরি পয়েন্টে গাড়ীর অপেক্ষায় ফেরি বসে আছে। এমনকি দক্ষিণাঞ্চলের অন্যান্য আঞ্চলিক ও জেলা সংযোগ সড়কগুলোতেও যানবাহন চলাচল এখনো স্বাভাবিক নয়। নদ-নদী নির্ভর দক্ষিণাঞ্চলের নৌ পথেও লঞ্চ চলাচল অনেকটাই সিমিত রয়েছে। তবে রোববার সকালে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স-এর নিয়মিত ফ্লাইট ঢাকা থেকে বরিশাল বিমান বন্দরে অবতরন করে নির্ধারিত সময়ে ফিরে গেছে বলে বিমান-এর জেলা ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন।
বেশীরভাগ নেতা-কর্মী ঢাকায় থাকায় বরিশাল মহানগরী সহ এ অঞ্চলে কোন নগর মহানগরেই বিএনপি ও অংগ সংগঠনের তেমন কোন পিকেটিং লক্ষ্য করা যায়নি। তবে বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন শহরে ছাত্রলীগ ও যুব লীগ নেতা-কর্মীদের সতর্ক অবস্থান সহ মোটর সাইকেল মহড়া জনমনে কিছুটা ভীতি সৃষ্টি করলেও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বরিশাল মহানগরী সহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা সদরে সশস্ত্র পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। টহলের পাশাপাশি স্পর্ষকাতর এলাকাগুলোতে পুলিশ চৌকিও বসান হয়েছে।