বগুড়ায় ২৮ অক্টোবরের হরতাল ও তৎপরবর্তি টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসুচির জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। চলছে ধর পাকড় ও পুলিশের অভিযান। ইতোমধ্যেই বগুড়া জেলা বিএনপির সিনিয়র দুই নেতা এম আর ইসরাম স্বাধীন ও শেখ তাহাউদ্দিন নাহিন সহ ২০ /২৫ জন নেতা কর্মি গ্রেফতার হয়েছেন। হরতালের দিনের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা ও সাধারণ সম্পাদক আলী অজগর তালুকদার হেনা সহ ৮৪ জন নেতা কর্মির বিরুদ্ধে নামে এবং অজ্ঞাতনামা হিসেবে আরও শতাধিক নেতা কর্মিদের নামে মামলা করা হয়েছে।

সোমবার রাতে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগে দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় এই মামলাটি করেন। বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওয়ালিউল্লাহ জানান , এই মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ তবে প্রেফতার অভিযান চলছে।

বগুড়া জেলা বিএনপির সুত্র সাংবাদিকদের জানিয়েছে , ২৮ অক্টোবরের ঢাকা মহাসমাবেশে যোগদানের জন্য ২৭ অক্টোবর রাতে বগুড়া রেরওয়ের প্লাটফরম থেকে গ্রেফতার হন জেরা বিএনপি নেতা শেখ তাহা উদ্দিন নাহিন ও তার কয়েকজন সহযোগি । অপরদিকে ২৮ অক্টোবর রাজধানীর মহাসমাবেশ শেষ করে সিরাজগঞ্জ হয়ে মাইক্রোবাস যোগে বগুড়ায় ফেরার পথে মাঝরাতে সিরাজগঞ্জ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, শাজাহানপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাশার সহ তাদের কয়েকজন সহযোগি।
বগুড়ার সিনিয়র আইনজীবী ও বিএনপি নেতা এ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক জানান, বগুড়ায় গত তিনদিনে বেশ কয়েকজন বিএনপি নেতা ও কর্মি গ্রেফতার হয়েছেন। কতজন গ্রেফতার হয়েছেন , তার একটা তালিকা প্রনয়নের কাজ চলছে। জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মীর শাহে আলম জানান, ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা শিবগঞ্জের ১১ জন নেতা কর্মি গ্রেফতার হয়েছেন। সব মিলিয়ে গ্রেফতারকৃত নেতা কর্মির সংখ্যা ২০/২৫ জনের কম হবেনা বলে ধারনা তার।