নোয়াখালীর হাতিয়ায় নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করায় ১৬ জেলেকে আটক করা হয়েছে। এ সময় ১২০ কেজি ইলিশ মাছ, জালসহ একটি মাছধরা ট্রলার জব্দ করে নৌপুলিশ।

মঙ্গলবার সকালে আটক জেলেদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় জব্দ করা ট্রলারটি হাতিয়া উপজেলা মৎস্য কার্যালয়ের অধীনে জব্দ করে রাখার আদেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম সরওয়ারের আদালত। পরে জব্দ করা ইলিশ মাছ এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। আটক জেলেদের বাড়ি হাতিয়ার বুড়িরচর ইউনিয়নে।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে হাতিয়ার পূর্বপাশে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরের মোহনা থেকে ট্রলারটি আটক করা হয়।

নলচিরা নৌ-পুলিশের (ভারপ্রাপ্ত) ইনচার্জ অমিত সাহা জানান, নদীতে মাছ শিকার করা অবস্থায় একটি ট্রলার জব্দ করা হয়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৬ জেলেকে আটক করে নলচিরা নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ১৬ জন জেলেকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন। জব্দ করা ট্রলারটি নৌ-পুলিশের জিম্মায় রেখে দেয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম সরওয়ার জানান, আটক জেলেদের ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। ট্রলারটি নৌ-পুলিশের জিম্মায় দেওয়া হয়। ২ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর ছেড়ে দেয়া হবে।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাজু চৌধুরী বলেন, ‘কিছু কিছু জেলে রাতের আঁধারে নদীতে মাছ শিকারে যায়। গত কয়েক দিন থেকে এ ধরনের সংবাদ আসছে। এ জন্য রাতে ও দিনে আমরা অভিযান পরিচালনা করছি। আগামী ২ নভেম্বর পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।’