প্রত্যাবাসন ইস্যুতে আবারো টেকনাফে মিয়ানমারের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল
০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম | আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৩, ১২:০৫ এএম
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার আওতায় রোহিঙ্গাদের তথ্য যাচাই-বাছাই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আবারও টেকনাফে এসেছে মিয়ানমারের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
বুধবার (০১ নভেম্বর) বিকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. সামছু-দ্দৌজা।
তিনি জানান, বুধবার সকালে নদীপথ পাড়ি দিয়ে মিয়ানমারের ২৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল টেকনাফ জেটিঘাটে পৌঁছায়। এ সময় তাদের স্বাগত জানানো হয়। এরপর তাদের সরকারি রেস্ট হাউসে নেওয়া হয়। সেখানে রোহিঙ্গাদের ৬০ পরিবারের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম চলছে। যা বিকেল নাগাদ চলে। আজকে মিয়ানমার প্রতিনিধি হিসেবে যারা এসেছে, তারা মূলত: রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই করতে এসেছেন বলে জানা যায়।
ইতিপুর্বে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মিয়ানমারের ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল টেকনাফ আসে। প্রতিনিধি দলটি দুভাগে বিভক্ত হয়। একটি দল রোহিঙ্গাদের ৮০টি পরিবারের যাচাই-বাছাই কার্যক্রম করে এবং আরেকটি দল ১০০টি পরিবার প্রধানের সঙ্গে প্রত্যাবাসন বিষয়ে আলোচনা করে। পরে সন্ধ্যায় তারা কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত ছাড়া মিয়ানমারের ফিরে যায়।
মিয়ানমার প্রতিনিধি দল আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে টেকনাফ রেস্ট হাউস এলাকায়। এপিবিএন, পুলিশের পাশাপাশি রয়েছে বিজিবিও।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) তৃতীয় দফায় টেকনাফ আসে মিয়ানমারের ৩৪ সদস্যের প্রতিনিধি দল। ওই সময় মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন রাখাইন প্রাদেশিক সরকারের ইমিগ্রেশন ডিরেক্টর স নাইং। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার বিষয়ক সেলের মহাপরিচালক মিয়া মো. মাইনুল কবির। এ সময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান, অতিরিক্ত আরআরআরসি মো. সামছু-দ্দৌজাসহ এপিবিএন পুলিশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রত্যাবাসন চুক্তির পর, ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর ও ২০১৯ সালের ২৩ আগস্ট দিনক্ষণ ঠিক হলেও তা ভেস্তে যায় মিয়ানমারের ছলচাতুরিতে। এরপর চলতি বছর চীনের মধ্যস্থতায় নতুন করে আলোচনায় আসে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। ৩ দফায় দেশটির প্রতিনিধি দল আসলেও প্রশ্নের মুখেই রয়েছে মিয়ানমারের অবস্থান।
২০১৮ সালে কয়েক দফায় ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গার তালিকা মিয়ানমারকে হস্তান্তর করে বাংলাদেশ। তারমধ্যে মাত্র এক লাখ ১০০০ রোহিঙ্গার তালিকা ভেরিফাই করে মিয়ানমার সরকার। কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি ক্যাম্পে ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয়ে রয়েছেন। কিন্তু গত ছয় বছরে একজন রোহিঙ্গাকেও তাদের দেশে ফেরত নেয়নি মিয়ানমার। অধিকন্তু ফাঁকে ফাঁকে মিয়ানমার থেকে নতুন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যুক্ত হবার কথা শুনা যাচ্ছে। তবে, প্রতি বছর অর্ধলক্ষের উপরে রোহিঙ্গা শিশুর জন্ম হয়ে মোট রোহিঙ্গাদের সাথে সংযুক্ত হচ্ছে তা বলাই বাহুল্য।
বিভাগ : বাংলাদেশ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ডাইং কারখানায় আগুন
প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করুন
একনেকে দুই হাজার কোটি টাকায় ১০ প্রকল্প অনুমোদন
মার্কিন বিমানবাহী রণতরী হামলা হুথিদের, যুদ্ধবিমান ভূপাতিত
ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্রসহ মাদক উদ্ধার
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ও রাজনীতি নিয়ে জাতীয় সেমিনার
লোহাগড়ায় কাঠ বোঝাই নসিমন উল্টে হেলপার নিহত
বাসার আল-আসাদ ও আসমা’র ডিভোর্সের সংবাদ প্রত্যাখ্যান রাশিয়ার
রাজশাহীতে সড়ক দূর্ঘটনায় মহানগরী জামায়াতের আমিরসহ আহত ৩
সাধারণ ক্ষমার বিনিময়ে দোষ স্বীকার করছেন আসাদের সৈন্যরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিদুৎস্পর্শে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজশাহীতে ছাত্রীনিবাসে নি¤œমানের খাবার, গভীর রাতে রাস্তায় নেমে ছাত্রীদের বিক্ষোভ
কুমিল্লায় মুক্তিযোদ্ধাকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে লাঞ্ছিত
টিকটক-এ ৭ কোটি বারের বেশি দেখা হয়েছে স্বল্পদৈর্ঘ্যের ওয়েব সিরিজ ‘প্রেমের বিকাশ’
'সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নগরীর যানজট নিরসন করা হবে' ---বিভাগীয় কমিশনার মোখতার আহমেদ
অস্তিত্ব সংকটে ট্রাম্প টাওয়ারসহ ৩৫ বিলাসবহুল ভবন
রাজশাহী সীমান্তে গভীর রাতে বিএসএফের দফায় দফায় গুলি বর্ষন
আজীবন সন্মাননা পাচ্ছেন আবদুল হাদি-খুরশিদ আলম
প্রকৌশলীর দুর্নীতির ৮ প্রকল্পের ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাতের সত্যতা পেয়েছে দুদক